০৭:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে সেমিফাইনালের দ্বারপ্রান্তে নিউজিল্যান্ড

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:০৩:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩
  • 47

লিগ পর্বে নিজেদের নবম ও শেষ ম্যাচে শ্রীলংকাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখলো গতবারের রার্নাস-আপ নিউজিল্যান্ড। শ্রীলংকার ছুড়ে দেয়া ১৭২ রানের টার্গেট ১৬০ বল বাকী রেখে ম্যাচ জিতে কিউইরা। ১৬০ বল হাতে রেখে ম্যাচ শেষ করায়, রান রেট অনেকখানি রেড়ে গেছে নিউজিল্যান্ডের। এতে সেমির টিকিট পাবার ক্ষেত্রে শক্ত অবস্থানে পৌঁছে গেছে কেন উইলিয়ামসনের দল।
৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানেই আছে নিউজিল্যান্ড। সেমির দৌড়ে এখনও আছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। ৮ ম্যাচে ৮ করে পয়েন্ট আছে তাদের। কিন্তু রান রেটে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে অনেক পিছিয়ে পড়েছে তারা। নিউজিল্যান্ডের আছে ০.৭৪৩, পাকিস্তানের আছে -০.০৩৬ ও আফগানদের আছে -০.৩৩৮ রান রেট। নিজেদের শেষ ম্যাচে জয় ছাড়াও কঠিন সমীকরণের মুখে পড়তে হবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানকে। ৯ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নবমস্থানে নেমে গেল শ্রীলংকা। এ অবস্থায় ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার আশা ঝুলে রইল লংকানদের। ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের পরের ম্যাচের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে শ্রীলংকাকে।
বেঙ্গালুরুতে টস জিতে প্রথমে শ্রীলংকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ওভারে পেসার টিম সাউদির চতুর্থ বলে শ্রীলংকার ওপেনার কুশল পেরেরার ক্যাচ ফেলেন উইকেটরক্ষক টম লাথাম। তবে পরের ডেলিভারিতেই লাথামকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা(২)।
এরপর নিউজিল্যান্ডের বোলারদের উপর চড়াও হয়ে ১০ বলে ২০ রান তুলে নেন পেরেরা। এ অবস্থায় পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে শ্রীলংকাকে শিবিরে দ্বিতীয় ধাক্কা দেন পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। ৬ রান করা লংকান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসকে বিদায় দেন বোল্ট। মেন্ডিসকে শিকার করে বিশ^কাপ ইতিহাসে  ষষ্ঠ ও নিউজিল্যান্ডের প্রথম বোলার হিসেবে ৫০ উইকেট পূর্ণ করেন তিনি। সেই সাথে টিম সাউদি ও ড্যানিয়েল ভেট্টোরির পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬শ উইকেটের মালিক হন বোল্ট।
বিশ^কাপে উইকেটের হাফ-সেঞ্চুরির পর বোল্ট মিডল অর্ডারে সাদিরা সামারাবিক্রমাকে ১ রানে পিরিয়ে দিলে  ৩২ রানে ৩ উইকেটে পরিনত হয় শ্রীলংকা।
সতীর্থরা যাওয়া-আসার মিছিলে থাকলেও ব্যাট হাতে মারমুখী মেজাজে ছিলেন পেরেরা। অষ্টম ওভারে ওয়ানডেতে ১৭তম হাফ-সেঞ্চুরি করতে মাত্র ২২ বল খেলেছেন তিনি। ্ ইনিংস দিয়ে  শ্রীলংকার পক্ষে বিশ^কাপে দ্বিতীয় দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরির নজির গড়েন পেরেরা।
পেরেরার ঝড়ো হাফ-সেঞ্চুরির পর নবম ওভারে শ্রীলংকা শিবিরে আবারও আঘাত হানেন বোল্ট। ৮ রান তুলে প্যাভিলিয়নে ফিরেন বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা চারিথ আসালঙ্কা। পেরেরার সাথে চতুর্থ উইকেটে ২২ বলে ৩৮ রানের জুটি গড়েন আসালঙ্কা।
পরের ওভারে বিদায় ঘন্টা বাজে পেরেরার। পেসার লুকি ফার্গুসনের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিচেল স্যান্টনারকে ক্যাচ দেন তিনি। ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৮ বলে ৫১ রানে থামেন  পেরেরা। এতে ৭০ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় শ্রীলংকা। এর  মাধ্যমে  বিশ^কাপে প্রথম দশ ওভারে সবচেয়ে বেশি উইকেট হারানোতে বাংলাদেশকে টপকে শীর্ষে উঠলো লংকানরা। এখন অবধি ২০টি উইকেট হারিয়েছে লংকানরা। বাংলাদেশ হারিয়েছে ১৮ উইকেট।
ষষ্ঠ উইকেটে জুটি বেঁধে নিউজিল্যান্ডের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। সাবধানে খেলে রানের চাকা সচল রেখে  শ্রীলংকার রান তিন অংকে নিয়ে যান তারা।
বড় জুটির ইঙ্গিত দেয়া ম্যাথুজ-ডি সিলভার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান স্পিনার স্যান্টনার। ২টি চারে ১৬ রান করা ম্যাথুজ শিকার হন  স্যান্টনারের। ষষ্ঠ উইকেটে ডি সিলভার সাথে ৪৩ বলে ৩৪ রান তুলেন ম্যাথুজ।
ম্যাথুজের পর ডি সিলভাকে ১৯ রানে তুলে নেন স্যান্টনার। এতে ১০৫ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়ে দ্রুত গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে শ্রীলংকা। এরপর ১২৮ রানে নবম উইকেট পতন হয় শ্রীলংকার।
তবে শেষ উইকেটে নিউজিল্যান্ড বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন মহেশ থিকশানা ও দিলশান মাদুশঙ্কা। শেষ উইকেটে ৮৭ বল খেলে ৪৩ রান যোগ করেন তারা। বিশ^কাপে নবম বা তার নীচের উইকেটে সর্বোচ্চ রান ও শেষ উইকেটে সবচেয়ে বেশি বল খেলার রেকর্ডও গড়েছে তারা। এতে দেড়শ রান পেরিয়ে ১৭১ রানের সম্মানজনক সংগ্রহ পায় শ্রীলংকা। ৪৬তম ওভারের চতুর্থ বলে মাদুশঙ্কাকে শিকার করে শ্রীলংকা ইনিংসের ইতি টানেন স্পিনার রাচিন রবীন্দ্র। মাদুশঙ্কা ৪৮ বলে ১৯ রানে আউট হলেও, ৩টি চারে ৯১ বলে ক্যারিয়ার সেরা  ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন থিকশানা।
নিউজিল্যান্ডের বোল্ট ৩টি, ফার্গুসন-স্যান্টনার ও রবীন্দ্র ২টি করে উইকেট নেন।
১৭২ রানের জবাবে দারুন শুরু করেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র। উদ্বোধনী জুটিতে ৭৪ বলে ৮৬ রান যোগ করে যথাক্রমে ১৩ ও ১৪তম ওভারে বিদায় নেন তারা। ৯টি চারে ৪৫ রান করা কনওয়েকে শিকার করেন পেসার দুসমন্থ চামিরা। স্পিনার থিকশানার শিকার হবার আগে ৩টি করে ছক্কায় ৩৪ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলেন রবীন্দ্র। এই ইনিংসের সুবাদে দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কককে টপকে বিশ^কাপে এখন সর্বোচ্চ রানের মালিক রবীন্দ্র। সেই সাথে অভিষেক বিশ^কাপে সর্বোচ্চ রানের বিশ^ রেকর্ডও গড়েছেন তিনি।
৮৮ রানের মধ্যে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেটে ২৯ বলে ৪২ রান যোগ করেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেল। ১৫ বলে ১৪ রান তুলে ম্যাথুজের বলে আউট হন উইলিয়ামসন। পাঁচ নম্বরে নামা মার্ক চাপম্যান ৭ রানে রান আউট হলেও মারমুখী ব্যাটিংয়ে দ্রুত ম্যাচ শেষ করার চেষ্টা করেন মিচেল। কিন্তু দলের জয় থেকে ১০ রান দূরে থাকতে থামেন ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩১ বলে ৪৩ রান করা মিচেল।
এরপর ষষ্ঠ উইকেটে ৪ বলে অবিচ্ছিন্ন ১০ রান তুলে নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন গ্লেন ফিলিপস ও টম লাথাম। ফিলিপস ৩টি চারে ১০ বলে ১৭ ও লাথাম ২ রানে অপরাজিত থাকেন। শ্রীলংকার ম্যাথুজ ২৯ রানে ২ উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
শ্রীলংকা : ১৭১/১০, ৪৬.৪ ওভার (পেরেরা ৫১, থিকশানা ৩৮*, বোল্ট ৩/৩৭)।
নিউজিল্যান্ড : ১৭২/৫, ২৩.২ ওভার (কনওয়ে ৪৫, মিচেল ৪৩, ম্যাথুজ ২/২৯)।
ফল : নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: ট্রেন্ট বোল্ট(নিউজিল্যান্ড)।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

নতুন গন্তব্যে এমভি আবদুল্লাহ, ২৩ নাবিকের দেশে ফেরা নিয়ে নতুন তথ্য

শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে সেমিফাইনালের দ্বারপ্রান্তে নিউজিল্যান্ড

Update Time : ১০:০৩:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

লিগ পর্বে নিজেদের নবম ও শেষ ম্যাচে শ্রীলংকাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখলো গতবারের রার্নাস-আপ নিউজিল্যান্ড। শ্রীলংকার ছুড়ে দেয়া ১৭২ রানের টার্গেট ১৬০ বল বাকী রেখে ম্যাচ জিতে কিউইরা। ১৬০ বল হাতে রেখে ম্যাচ শেষ করায়, রান রেট অনেকখানি রেড়ে গেছে নিউজিল্যান্ডের। এতে সেমির টিকিট পাবার ক্ষেত্রে শক্ত অবস্থানে পৌঁছে গেছে কেন উইলিয়ামসনের দল।
৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানেই আছে নিউজিল্যান্ড। সেমির দৌড়ে এখনও আছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। ৮ ম্যাচে ৮ করে পয়েন্ট আছে তাদের। কিন্তু রান রেটে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে অনেক পিছিয়ে পড়েছে তারা। নিউজিল্যান্ডের আছে ০.৭৪৩, পাকিস্তানের আছে -০.০৩৬ ও আফগানদের আছে -০.৩৩৮ রান রেট। নিজেদের শেষ ম্যাচে জয় ছাড়াও কঠিন সমীকরণের মুখে পড়তে হবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানকে। ৯ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নবমস্থানে নেমে গেল শ্রীলংকা। এ অবস্থায় ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার আশা ঝুলে রইল লংকানদের। ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের পরের ম্যাচের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে শ্রীলংকাকে।
বেঙ্গালুরুতে টস জিতে প্রথমে শ্রীলংকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ওভারে পেসার টিম সাউদির চতুর্থ বলে শ্রীলংকার ওপেনার কুশল পেরেরার ক্যাচ ফেলেন উইকেটরক্ষক টম লাথাম। তবে পরের ডেলিভারিতেই লাথামকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা(২)।
এরপর নিউজিল্যান্ডের বোলারদের উপর চড়াও হয়ে ১০ বলে ২০ রান তুলে নেন পেরেরা। এ অবস্থায় পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে শ্রীলংকাকে শিবিরে দ্বিতীয় ধাক্কা দেন পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। ৬ রান করা লংকান অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসকে বিদায় দেন বোল্ট। মেন্ডিসকে শিকার করে বিশ^কাপ ইতিহাসে  ষষ্ঠ ও নিউজিল্যান্ডের প্রথম বোলার হিসেবে ৫০ উইকেট পূর্ণ করেন তিনি। সেই সাথে টিম সাউদি ও ড্যানিয়েল ভেট্টোরির পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬শ উইকেটের মালিক হন বোল্ট।
বিশ^কাপে উইকেটের হাফ-সেঞ্চুরির পর বোল্ট মিডল অর্ডারে সাদিরা সামারাবিক্রমাকে ১ রানে পিরিয়ে দিলে  ৩২ রানে ৩ উইকেটে পরিনত হয় শ্রীলংকা।
সতীর্থরা যাওয়া-আসার মিছিলে থাকলেও ব্যাট হাতে মারমুখী মেজাজে ছিলেন পেরেরা। অষ্টম ওভারে ওয়ানডেতে ১৭তম হাফ-সেঞ্চুরি করতে মাত্র ২২ বল খেলেছেন তিনি। ্ ইনিংস দিয়ে  শ্রীলংকার পক্ষে বিশ^কাপে দ্বিতীয় দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরির নজির গড়েন পেরেরা।
পেরেরার ঝড়ো হাফ-সেঞ্চুরির পর নবম ওভারে শ্রীলংকা শিবিরে আবারও আঘাত হানেন বোল্ট। ৮ রান তুলে প্যাভিলিয়নে ফিরেন বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা চারিথ আসালঙ্কা। পেরেরার সাথে চতুর্থ উইকেটে ২২ বলে ৩৮ রানের জুটি গড়েন আসালঙ্কা।
পরের ওভারে বিদায় ঘন্টা বাজে পেরেরার। পেসার লুকি ফার্গুসনের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিচেল স্যান্টনারকে ক্যাচ দেন তিনি। ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৮ বলে ৫১ রানে থামেন  পেরেরা। এতে ৭০ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় শ্রীলংকা। এর  মাধ্যমে  বিশ^কাপে প্রথম দশ ওভারে সবচেয়ে বেশি উইকেট হারানোতে বাংলাদেশকে টপকে শীর্ষে উঠলো লংকানরা। এখন অবধি ২০টি উইকেট হারিয়েছে লংকানরা। বাংলাদেশ হারিয়েছে ১৮ উইকেট।
ষষ্ঠ উইকেটে জুটি বেঁধে নিউজিল্যান্ডের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। সাবধানে খেলে রানের চাকা সচল রেখে  শ্রীলংকার রান তিন অংকে নিয়ে যান তারা।
বড় জুটির ইঙ্গিত দেয়া ম্যাথুজ-ডি সিলভার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান স্পিনার স্যান্টনার। ২টি চারে ১৬ রান করা ম্যাথুজ শিকার হন  স্যান্টনারের। ষষ্ঠ উইকেটে ডি সিলভার সাথে ৪৩ বলে ৩৪ রান তুলেন ম্যাথুজ।
ম্যাথুজের পর ডি সিলভাকে ১৯ রানে তুলে নেন স্যান্টনার। এতে ১০৫ রানে সপ্তম উইকেট হারিয়ে দ্রুত গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে শ্রীলংকা। এরপর ১২৮ রানে নবম উইকেট পতন হয় শ্রীলংকার।
তবে শেষ উইকেটে নিউজিল্যান্ড বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন মহেশ থিকশানা ও দিলশান মাদুশঙ্কা। শেষ উইকেটে ৮৭ বল খেলে ৪৩ রান যোগ করেন তারা। বিশ^কাপে নবম বা তার নীচের উইকেটে সর্বোচ্চ রান ও শেষ উইকেটে সবচেয়ে বেশি বল খেলার রেকর্ডও গড়েছে তারা। এতে দেড়শ রান পেরিয়ে ১৭১ রানের সম্মানজনক সংগ্রহ পায় শ্রীলংকা। ৪৬তম ওভারের চতুর্থ বলে মাদুশঙ্কাকে শিকার করে শ্রীলংকা ইনিংসের ইতি টানেন স্পিনার রাচিন রবীন্দ্র। মাদুশঙ্কা ৪৮ বলে ১৯ রানে আউট হলেও, ৩টি চারে ৯১ বলে ক্যারিয়ার সেরা  ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন থিকশানা।
নিউজিল্যান্ডের বোল্ট ৩টি, ফার্গুসন-স্যান্টনার ও রবীন্দ্র ২টি করে উইকেট নেন।
১৭২ রানের জবাবে দারুন শুরু করেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র। উদ্বোধনী জুটিতে ৭৪ বলে ৮৬ রান যোগ করে যথাক্রমে ১৩ ও ১৪তম ওভারে বিদায় নেন তারা। ৯টি চারে ৪৫ রান করা কনওয়েকে শিকার করেন পেসার দুসমন্থ চামিরা। স্পিনার থিকশানার শিকার হবার আগে ৩টি করে ছক্কায় ৩৪ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলেন রবীন্দ্র। এই ইনিংসের সুবাদে দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কককে টপকে বিশ^কাপে এখন সর্বোচ্চ রানের মালিক রবীন্দ্র। সেই সাথে অভিষেক বিশ^কাপে সর্বোচ্চ রানের বিশ^ রেকর্ডও গড়েছেন তিনি।
৮৮ রানের মধ্যে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেটে ২৯ বলে ৪২ রান যোগ করেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেল। ১৫ বলে ১৪ রান তুলে ম্যাথুজের বলে আউট হন উইলিয়ামসন। পাঁচ নম্বরে নামা মার্ক চাপম্যান ৭ রানে রান আউট হলেও মারমুখী ব্যাটিংয়ে দ্রুত ম্যাচ শেষ করার চেষ্টা করেন মিচেল। কিন্তু দলের জয় থেকে ১০ রান দূরে থাকতে থামেন ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩১ বলে ৪৩ রান করা মিচেল।
এরপর ষষ্ঠ উইকেটে ৪ বলে অবিচ্ছিন্ন ১০ রান তুলে নিউজিল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন গ্লেন ফিলিপস ও টম লাথাম। ফিলিপস ৩টি চারে ১০ বলে ১৭ ও লাথাম ২ রানে অপরাজিত থাকেন। শ্রীলংকার ম্যাথুজ ২৯ রানে ২ উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
শ্রীলংকা : ১৭১/১০, ৪৬.৪ ওভার (পেরেরা ৫১, থিকশানা ৩৮*, বোল্ট ৩/৩৭)।
নিউজিল্যান্ড : ১৭২/৫, ২৩.২ ওভার (কনওয়ে ৪৫, মিচেল ৪৩, ম্যাথুজ ২/২৯)।
ফল : নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: ট্রেন্ট বোল্ট(নিউজিল্যান্ড)।