০৭:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪, ৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এশিয়া কাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন টাইগাররা, প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজয়ের মাসে এ জয় আমাদের খেলোয়াড়দের আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ওপেনার আশিকুর রহমানের ১২৯ রানে ভর করে ৮ উইকেটে ২৮২ রান তুলেছিল বাংলাদেশের যুবারা। জবাবে রান তাড়ায় আমিরাতকে ২৪.৫ ওভারে ৮৭ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ জিতেছে ১৯৫ রানে।

২০২০ সালেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই এশিয়া কাপের ট্রফিটা ছুঁয়ে দেখা হয়নি টাইগার যুবাদের। অবশেষে সেই অপূর্ণতাও ঘোচাল লাল-সবুজের দল। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে প্রথমবার এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মাহফুজুর রহমান রাব্বীর দল।

বাংলাদেশের দেওয়া ২৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি পেসারদের তোপের মুখে পড়ে আরব আমিরাত। শুরুটা করেন বাঁ-হাতি পেসার মারুফ মৃধা। এই বাঁ-হাতি পেসার পঞ্চম ওভারে ফিরিয়ে দেন আমিরাতের ওপেনার আর্যাংশ শর্মাকে। নিজের পরের ওভারেই মারুফ আরেক ওপেনার অক্ষত রাইয়ের উইকেট উপড়ে ফেলেন।

এরপর কাজে নামেন রোহনাত। টানা তিন ওভারে এই মিডিয়াম পেসার তুলে নেন তানিশ সুরি, ইথান ডি’সুজা ও আমিরাত অধিনায়ক আইয়ান আফজাল খানকে। ২৫টি ওয়ানডে ও ২১টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা আইয়ান যখন উইকেটকিপার আশিকের ক্যাচ হলেন আমিরাতের স্কোর ৪৫/৫।

আমিরাত ষষ্ঠ ও সপ্তম উইকেট হারায় ১৫তম ওভারে । টানা দুই বলে যাযিন রাই ও আম্মার বাদামিকে তুলে নেন ইকবাল হোসেন। পেসাররা টানা ৭ উইকেট নেওয়ার পর দৃশ্যপটে আসেন এক স্পিনার। অফ স্পিনার শেখ পারভেজ হার্দিক রাইকে বোল্ড করে আমিরাতের স্কোরটাকে ৭১/৮ বানিয়ে ফেলেন।

মারুফ মৃধা আবার আক্রমণে এসে নবম উইকেটটি তুলে নেওয়ার পর শেখ পারভেজ শেষ উইকেটটি তুলে নিতেই এশিয়া জয়ের উৎসবে মাতেন বাংলাদেশের যুবারা।

আমিরাতের ইনিংসে যা একটু প্রতিরোধ গড়েন ধ্রুব পরাশর। চারে নামা ব্যাটসম্যান করেছেন সর্বোচ্চ ২৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশের যুবারা। কিন্তু পঞ্চম ওভারের শেষ বলে জিশান আলম ১৫ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর রিজওয়ানের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১২৫ রান যোগ করেন শিবলী।

রিজওয়ান ৬০ রান করে ফিরে গেলেও সাবলীল ব্যাটিংয়ে অবিচল ছিলেন শিবলী। তৃতীয় উইকেটে আরিফুল ইসলামকে নিয়ে ৮৬ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে নেন তিনি। আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে ফিফটির দেখাও পেয়ে যান আরিফুল। তবে ৪০ বলে ৬ চারে ৫০ রানে থামে তার ইনিংস।

এর মাঝে ১২৯ বলে আসরে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন শিবলী। এবারের এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১১৬ রানের দারুণ এক নক খেলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তার আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৭১ ও জাপানের বিপক্ষে ৫৫ রান করেন।

এরপর খানিক ধুঁকেছে বাংলাদেশ। আহরার আমিন এবং মোহাম্মদ শিহাব দুজনেই আউট হয়েছেন দ্রুত। তবে শেষদিকে দ্রুতগতির এক কার্যকরী ইনিংস উপহার দিয়েছেন অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। ১০ বলে ২১ রান করে দলের ইনিংসে রেখেছেন কার্যকরী ভূমিকা।

তবে একপ্রান্ত আগলে ধরে ব্যাট হাতে অবিচল ছিলেন শিবলী। নিজের ইনিংসটা টেনে নিয়েছেন ১২৯ পর্যন্ত। তার ১৪৯ বলের ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও ১টি ছক্কার মার। তাতে বাংলাদেশও পেয়েছে ২৮২ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

এশিয়া কাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন টাইগাররা, প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন

Update Time : ০৬:৫৬:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজয়ের মাসে এ জয় আমাদের খেলোয়াড়দের আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ওপেনার আশিকুর রহমানের ১২৯ রানে ভর করে ৮ উইকেটে ২৮২ রান তুলেছিল বাংলাদেশের যুবারা। জবাবে রান তাড়ায় আমিরাতকে ২৪.৫ ওভারে ৮৭ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ জিতেছে ১৯৫ রানে।

২০২০ সালেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই এশিয়া কাপের ট্রফিটা ছুঁয়ে দেখা হয়নি টাইগার যুবাদের। অবশেষে সেই অপূর্ণতাও ঘোচাল লাল-সবুজের দল। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে প্রথমবার এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মাহফুজুর রহমান রাব্বীর দল।

বাংলাদেশের দেওয়া ২৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশি পেসারদের তোপের মুখে পড়ে আরব আমিরাত। শুরুটা করেন বাঁ-হাতি পেসার মারুফ মৃধা। এই বাঁ-হাতি পেসার পঞ্চম ওভারে ফিরিয়ে দেন আমিরাতের ওপেনার আর্যাংশ শর্মাকে। নিজের পরের ওভারেই মারুফ আরেক ওপেনার অক্ষত রাইয়ের উইকেট উপড়ে ফেলেন।

এরপর কাজে নামেন রোহনাত। টানা তিন ওভারে এই মিডিয়াম পেসার তুলে নেন তানিশ সুরি, ইথান ডি’সুজা ও আমিরাত অধিনায়ক আইয়ান আফজাল খানকে। ২৫টি ওয়ানডে ও ২১টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা আইয়ান যখন উইকেটকিপার আশিকের ক্যাচ হলেন আমিরাতের স্কোর ৪৫/৫।

আমিরাত ষষ্ঠ ও সপ্তম উইকেট হারায় ১৫তম ওভারে । টানা দুই বলে যাযিন রাই ও আম্মার বাদামিকে তুলে নেন ইকবাল হোসেন। পেসাররা টানা ৭ উইকেট নেওয়ার পর দৃশ্যপটে আসেন এক স্পিনার। অফ স্পিনার শেখ পারভেজ হার্দিক রাইকে বোল্ড করে আমিরাতের স্কোরটাকে ৭১/৮ বানিয়ে ফেলেন।

মারুফ মৃধা আবার আক্রমণে এসে নবম উইকেটটি তুলে নেওয়ার পর শেখ পারভেজ শেষ উইকেটটি তুলে নিতেই এশিয়া জয়ের উৎসবে মাতেন বাংলাদেশের যুবারা।

আমিরাতের ইনিংসে যা একটু প্রতিরোধ গড়েন ধ্রুব পরাশর। চারে নামা ব্যাটসম্যান করেছেন সর্বোচ্চ ২৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশের যুবারা। কিন্তু পঞ্চম ওভারের শেষ বলে জিশান আলম ১৫ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর রিজওয়ানের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১২৫ রান যোগ করেন শিবলী।

রিজওয়ান ৬০ রান করে ফিরে গেলেও সাবলীল ব্যাটিংয়ে অবিচল ছিলেন শিবলী। তৃতীয় উইকেটে আরিফুল ইসলামকে নিয়ে ৮৬ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে নেন তিনি। আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে ফিফটির দেখাও পেয়ে যান আরিফুল। তবে ৪০ বলে ৬ চারে ৫০ রানে থামে তার ইনিংস।

এর মাঝে ১২৯ বলে আসরে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন শিবলী। এবারের এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১১৬ রানের দারুণ এক নক খেলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তার আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৭১ ও জাপানের বিপক্ষে ৫৫ রান করেন।

এরপর খানিক ধুঁকেছে বাংলাদেশ। আহরার আমিন এবং মোহাম্মদ শিহাব দুজনেই আউট হয়েছেন দ্রুত। তবে শেষদিকে দ্রুতগতির এক কার্যকরী ইনিংস উপহার দিয়েছেন অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। ১০ বলে ২১ রান করে দলের ইনিংসে রেখেছেন কার্যকরী ভূমিকা।

তবে একপ্রান্ত আগলে ধরে ব্যাট হাতে অবিচল ছিলেন শিবলী। নিজের ইনিংসটা টেনে নিয়েছেন ১২৯ পর্যন্ত। তার ১৪৯ বলের ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও ১টি ছক্কার মার। তাতে বাংলাদেশও পেয়েছে ২৮২ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি।