০৫:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজিপিসহ ৩৩০ জন আজ ফেরত যাচ্ছে মিয়ানমারে।

  • অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ১০:১৯:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • 34

বিজিপিসহ ৩৩০ জনকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে মিয়ানমারে, হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ফলে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেওয়া দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যসহ ৩৩০ জনকে ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম চলছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টার দিকে তাদেরকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম স্কুল থেকে বাসে করে কক্সবাজারের ইনানী জেটিঘাটে নেওয়া শুরু হয়। এরপর সেখান থেকে তাদেরকে জাহাজে করে ফেরত পাঠানো হবে।

ঘটনাস্থল থেকে এনটিভির সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট তামজিদ সুমন জানান, বিজিবি সদস্যরা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যদের নিরস্ত্র অবস্থায় বিজিবি সদস্যদের কড়া পাহারায় বাসে তুলে ইনানী জেটিঘাটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সেখান থেকে তাদেরকে জাহাজে করে সমুদ্রপথে মিয়ানমারে পৌঁছানো হবে। তাদের মধ্যে বিজিপি সদস্য ছাড়াও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা, সামরিক বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি বেসামরিক লোকজনও রয়েছেন।
তাদের মধ্যে একজন নারী ও দুটি শিশু রয়েছে। সবার বায়োমেট্রিক পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে এই স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়। মাঝ সমুদ্রে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের তত্ত্বাবধানে তাদেরকে মিয়ানমারের জাহাজে তুলে দেওয়া হবে।
মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধদলের বৈঠকের মাধ্যমে দেশটির নাগরিকদের হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

গতকাল বুধবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিলেন, বিজিবির তত্ত্বাবধানে কক্সবাজার জেলার ইনানীর নৌ জেটিঘাট দিয়ে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যসহ মিয়ানমারের নাগরিকদের সকালে দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছিলেন, শিগগিরই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।

বিজিবিসহ একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কয়েক দিনে এই ৩৩০ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। যেখানে বিজিবির অধীনে আহতদেরও চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
উভয় দেশের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ বাংলাদেশের সীমানায় আসবে। জাহাজটি গভীর সাগরে অবস্থান করবে। আশ্রয়রত ৩৩০ জনকে পৃথক নৌযানে ওই জাহাজে নিয়ে গিয়ে এদের হস্তান্তর করা হবে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

বিজিপিসহ ৩৩০ জন আজ ফেরত যাচ্ছে মিয়ানমারে।

Update Time : ১০:১৯:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিজিপিসহ ৩৩০ জনকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে মিয়ানমারে, হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ফলে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেওয়া দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যসহ ৩৩০ জনকে ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম চলছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টার দিকে তাদেরকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম স্কুল থেকে বাসে করে কক্সবাজারের ইনানী জেটিঘাটে নেওয়া শুরু হয়। এরপর সেখান থেকে তাদেরকে জাহাজে করে ফেরত পাঠানো হবে।

ঘটনাস্থল থেকে এনটিভির সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট তামজিদ সুমন জানান, বিজিবি সদস্যরা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিজিপি সদস্যদের নিরস্ত্র অবস্থায় বিজিবি সদস্যদের কড়া পাহারায় বাসে তুলে ইনানী জেটিঘাটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সেখান থেকে তাদেরকে জাহাজে করে সমুদ্রপথে মিয়ানমারে পৌঁছানো হবে। তাদের মধ্যে বিজিপি সদস্য ছাড়াও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা, সামরিক বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি বেসামরিক লোকজনও রয়েছেন।
তাদের মধ্যে একজন নারী ও দুটি শিশু রয়েছে। সবার বায়োমেট্রিক পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে এই স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়। মাঝ সমুদ্রে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের তত্ত্বাবধানে তাদেরকে মিয়ানমারের জাহাজে তুলে দেওয়া হবে।
মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধদলের বৈঠকের মাধ্যমে দেশটির নাগরিকদের হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

গতকাল বুধবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিলেন, বিজিবির তত্ত্বাবধানে কক্সবাজার জেলার ইনানীর নৌ জেটিঘাট দিয়ে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যসহ মিয়ানমারের নাগরিকদের সকালে দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এর আগে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছিলেন, শিগগিরই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে।

বিজিবিসহ একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে কয়েক দিনে এই ৩৩০ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। যেখানে বিজিবির অধীনে আহতদেরও চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
উভয় দেশের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ বাংলাদেশের সীমানায় আসবে। জাহাজটি গভীর সাগরে অবস্থান করবে। আশ্রয়রত ৩৩০ জনকে পৃথক নৌযানে ওই জাহাজে নিয়ে গিয়ে এদের হস্তান্তর করা হবে।