১১:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসামীর স্ত্রী‌কে হেনস্থা ও টাকা পয়সা লুট কর‌লো এএসআই

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৫১:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২
  • 28

চট্টগ্রামে আসামি ধরতে গিয়ে আসামীর স্ত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে সীতাকুণ্ড থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুব মোরশেদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খবর বাসসের।

তিনি জানান, আসামি ধরতে গিয়ে এসআই মাহবুব মোরশেদের বিরুদ্ধে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অপেশাদার আচরণের অভিযোগ ওঠে। প্রাথমিক তদন্তে এর সত্যতা মেলায় রোববার তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলছে।

এর আগে রোববার খালেদা আক্তার নামে সীতাকুণ্ড উপজেলার এক গৃহবধূ চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের কাছে এসআই মাহবুবের বিরুদ্ধে মারধর ও টাকা লুটের অভিযোগ করেন।

আসামীর স্ত্রী খালেদা আক্তারের অভিযোগে জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল দুপুরে খালেদা আক্তারের স্বামী পরোয়ানাভুক্ত আসামি নুর ইসলামকে ধরতে যান এসআই মাহবুব মোরশেদ, তার সোর্স নুরুজ্জামান ও সাদা পোশাকে থাকা দুই পুলিশ সদস্যসহ তাদের বাড়িতে আসেন। নুর ইসলামকে না পেয়ে আলমারির চাবি দিতে বলেন এসআই মাহবুব। খালেদা আক্তার চাবি দিতে অস্বীকার করলে তাকে লাথি মারেন। এরপর চাবি নিয়ে ঘরের আলমারি তল্লাশি করে গরু বিক্রির এক লাখ ৪২ হাজার টাকা, আধাভরি স্বর্ণালংকার, ঘরে থাকা দুটি মোবাইল ফোন ও ছেলে-মেয়েদের জন্ম নিবন্ধন, বিভিন্ন শিক্ষা সনদ নিয়ে যান।

অভিযোগ অস্বীকার করে মাহবুব মোরশেদ বলেন, গত শনিবার দুপুরে পরোয়ানাভুক্ত নুর ইসলামকে গ্রেপ্তারের জন্য তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। তাকে না পেয়ে আমরা ফিরে আসি। এর মধ্যে অভিযোগ উঠেছে, আমি নাকি আসামির স্ত্রী-ছেলেকে মারধর করেছি, টাকা নিয়েছি, আরো কত কিছু। সব মিথ্যা।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ: আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আসামীর স্ত্রী‌কে হেনস্থা ও টাকা পয়সা লুট কর‌লো এএসআই

Update Time : ০৬:৫১:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২

চট্টগ্রামে আসামি ধরতে গিয়ে আসামীর স্ত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে সীতাকুণ্ড থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুব মোরশেদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খবর বাসসের।

তিনি জানান, আসামি ধরতে গিয়ে এসআই মাহবুব মোরশেদের বিরুদ্ধে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অপেশাদার আচরণের অভিযোগ ওঠে। প্রাথমিক তদন্তে এর সত্যতা মেলায় রোববার তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত চলছে।

এর আগে রোববার খালেদা আক্তার নামে সীতাকুণ্ড উপজেলার এক গৃহবধূ চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপারের কাছে এসআই মাহবুবের বিরুদ্ধে মারধর ও টাকা লুটের অভিযোগ করেন।

আসামীর স্ত্রী খালেদা আক্তারের অভিযোগে জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল দুপুরে খালেদা আক্তারের স্বামী পরোয়ানাভুক্ত আসামি নুর ইসলামকে ধরতে যান এসআই মাহবুব মোরশেদ, তার সোর্স নুরুজ্জামান ও সাদা পোশাকে থাকা দুই পুলিশ সদস্যসহ তাদের বাড়িতে আসেন। নুর ইসলামকে না পেয়ে আলমারির চাবি দিতে বলেন এসআই মাহবুব। খালেদা আক্তার চাবি দিতে অস্বীকার করলে তাকে লাথি মারেন। এরপর চাবি নিয়ে ঘরের আলমারি তল্লাশি করে গরু বিক্রির এক লাখ ৪২ হাজার টাকা, আধাভরি স্বর্ণালংকার, ঘরে থাকা দুটি মোবাইল ফোন ও ছেলে-মেয়েদের জন্ম নিবন্ধন, বিভিন্ন শিক্ষা সনদ নিয়ে যান।

অভিযোগ অস্বীকার করে মাহবুব মোরশেদ বলেন, গত শনিবার দুপুরে পরোয়ানাভুক্ত নুর ইসলামকে গ্রেপ্তারের জন্য তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। তাকে না পেয়ে আমরা ফিরে আসি। এর মধ্যে অভিযোগ উঠেছে, আমি নাকি আসামির স্ত্রী-ছেলেকে মারধর করেছি, টাকা নিয়েছি, আরো কত কিছু। সব মিথ্যা।