০৬:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সৌদি থেকে বাংলাদেশে ফাইনাল এক্সিট দিয়ে পাঠানো হবে ১ হাজার ৭০০

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:২৪:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২
  • 18

পবিত্র নগরী মদিনায় অবস্থিত ‘বিয়াহ্‌ ক্লিনিং কোম্পানি’ প্রায় ১ হাজার ৭০০ কর্মীকে ফাইনাল এক্সিট দিয়ে সৌদি থেকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।‘বিয়াহ্‌ ক্লিনিং কোম্পানি’র ক্যাম্পে অবস্থানরত একজনের সঙ্গে আলাপ করলে সময় সংবাদকে তিনি জানান, বেতন বাড়ানোর জন্য দীর্ঘ কয়েক দিন কোম্পানির বাংলাদেশি শ্রমিকেরা কর্মবিরতিসহ বিভিন্ন আন্দোলন করে যাচ্ছে এবং শ্রমিকদের চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কোম্পানিতে কর্মরত কয়েকজন শ্রমিক বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, এ কোম্পানির বিভিন্ন সেকশনের বাংলাদেশি সুপারভাইজারদের সিন্ডিকেটের শিকার সাধারণ শ্রমিকরা। তাদের বিরুদ্ধে ৫০০/১০০০ রিয়ালের বিনিময়ে সাধারণ শ্রমিকদের কাজের ধরন পাল্টানোর অভিযোগ উঠেছে। এদিকে বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন মারামারি ভাঙচুরের কারণেই কোম্পানির এ সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন শ্রমিকদের আরেক অংশ।

তবে এ বিষয়ে জেদ্দা কনস্যুলেট লেবার কাউন্সিলর কাজী এমদাদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, গত দুদিন থেকেই আমরা এ বিষয়ে মদিনা লেবার মিনিস্ট্রিসহ ওই কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় আলাপ-আলোচনা করছি। জেদ্দা কনস্যুলেটের লেভার কাউন্সিলরের একটি প্রতিনিধি দল সেখানে অবস্থান করছেন।

তিনি আরও জানান, প্রতিষ্ঠানটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মোট ২ হাজার ২২৫ জন বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে তাদের। এদের মধ্যে থেকে যারা বিভিন্ন সময়ে কর্মবিরতি ও বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন করে আসছে তাদের ভেতর থেকে ১ হাজার ৭ শত জন বাংলাদেশি শ্রমিককে ফাইনাল এক্সিটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

এসব শ্রমিকের সব পাওনা পরিশোধ করে তাদের পর্যায়ক্রমে নিজ দেশে পাঠানো হবে।

জেদ্দা কনস্যুলেটের লেবার কাউন্সিলর কাজী এমদাদুল ইসলাম আরও বলেন, আমরা ওই কোম্পানিতে কর্মরত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও আমাদের জানিয়েছেন, আমরা দীর্ঘ ১৭-১৮ বছর কাজ করেছি এ কোম্পানিতে। আমরা আমাদের সব পাওনা বুঝে নিয়ে দেশে যেতে চাই।

মোট ২২ শতাধিক শ্রমিকের মধ্য থেকে ৫ শ’ ২৫ জন শ্রমিক ওই কোম্পানিতে কাজ করবেন। বাকিদের নিজ দেশে পাঠানো হবে। কোম্পানির সঙ্গে শ্রমিকদের চুক্তি শেষ হওয়ার মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি সপ্তাহে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

সৌদি থেকে বাংলাদেশে ফাইনাল এক্সিট দিয়ে পাঠানো হবে ১ হাজার ৭০০

Update Time : ০১:২৪:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২

পবিত্র নগরী মদিনায় অবস্থিত ‘বিয়াহ্‌ ক্লিনিং কোম্পানি’ প্রায় ১ হাজার ৭০০ কর্মীকে ফাইনাল এক্সিট দিয়ে সৌদি থেকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।‘বিয়াহ্‌ ক্লিনিং কোম্পানি’র ক্যাম্পে অবস্থানরত একজনের সঙ্গে আলাপ করলে সময় সংবাদকে তিনি জানান, বেতন বাড়ানোর জন্য দীর্ঘ কয়েক দিন কোম্পানির বাংলাদেশি শ্রমিকেরা কর্মবিরতিসহ বিভিন্ন আন্দোলন করে যাচ্ছে এবং শ্রমিকদের চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কোম্পানিতে কর্মরত কয়েকজন শ্রমিক বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, এ কোম্পানির বিভিন্ন সেকশনের বাংলাদেশি সুপারভাইজারদের সিন্ডিকেটের শিকার সাধারণ শ্রমিকরা। তাদের বিরুদ্ধে ৫০০/১০০০ রিয়ালের বিনিময়ে সাধারণ শ্রমিকদের কাজের ধরন পাল্টানোর অভিযোগ উঠেছে। এদিকে বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন মারামারি ভাঙচুরের কারণেই কোম্পানির এ সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন শ্রমিকদের আরেক অংশ।

তবে এ বিষয়ে জেদ্দা কনস্যুলেট লেবার কাউন্সিলর কাজী এমদাদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, গত দুদিন থেকেই আমরা এ বিষয়ে মদিনা লেবার মিনিস্ট্রিসহ ওই কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় আলাপ-আলোচনা করছি। জেদ্দা কনস্যুলেটের লেভার কাউন্সিলরের একটি প্রতিনিধি দল সেখানে অবস্থান করছেন।

তিনি আরও জানান, প্রতিষ্ঠানটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মোট ২ হাজার ২২৫ জন বাংলাদেশি শ্রমিক রয়েছে তাদের। এদের মধ্যে থেকে যারা বিভিন্ন সময়ে কর্মবিরতি ও বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন করে আসছে তাদের ভেতর থেকে ১ হাজার ৭ শত জন বাংলাদেশি শ্রমিককে ফাইনাল এক্সিটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

এসব শ্রমিকের সব পাওনা পরিশোধ করে তাদের পর্যায়ক্রমে নিজ দেশে পাঠানো হবে।

জেদ্দা কনস্যুলেটের লেবার কাউন্সিলর কাজী এমদাদুল ইসলাম আরও বলেন, আমরা ওই কোম্পানিতে কর্মরত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও আমাদের জানিয়েছেন, আমরা দীর্ঘ ১৭-১৮ বছর কাজ করেছি এ কোম্পানিতে। আমরা আমাদের সব পাওনা বুঝে নিয়ে দেশে যেতে চাই।

মোট ২২ শতাধিক শ্রমিকের মধ্য থেকে ৫ শ’ ২৫ জন শ্রমিক ওই কোম্পানিতে কাজ করবেন। বাকিদের নিজ দেশে পাঠানো হবে। কোম্পানির সঙ্গে শ্রমিকদের চুক্তি শেষ হওয়ার মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি সপ্তাহে।