১১:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সচল চট্টগ্রামের মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:২৩:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
  • 26

বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এবং কথিত অবরোধ প্রতিরোধকল্পে চট্টগ্রামে আজ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বিভিন্ন স্থানে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করেছে। এসব সমাবেশের মাধ্যমে নেতাকর্মীরা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেন। ফলে অবরোধের প্রথম দিন বিরোধী দলগুলোর লক্ষ্য কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। অন্যান্য দিনের মতোই সচল রয়েছে চট্টগ্রাম।
আজ দুপুরে বহদ্দারহাট মোড়ে ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, হরতাল-অবরোধের মতো জনস্বার্থবিরোধী রাজনীতির কারণে বিএনপিকে মুসলিম লীগের পরিণতি ভোগ করতে হবে। পুলিশ ও জনগণের ওপর হামলার মধ্য দিয়ে বিএনপি প্রমাণ করেছে যে- তারা আবার সন্ত্রাসী চরিত্রে ফিরে গেছে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতকে মোকাবিলা করতে হবে। আর সেজন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। বিএনপিকে বলব, বিদেশি অপশক্তির উস্কানিতে কান না দিয়ে নির্বাচনে এসে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করুন। অন্যথায় বিএনপি হারিয়ে যাবে, টিকে থাকবে জনগণের দল আওয়ামী লীগ। উন্নয়নের যে জয়যাত্রা শেখ হাসিনা শুরু করেছেন- তা অব্যাহত রাখতে জনগণ ঐক্যবদ্ধ।
সাবেক কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন সাইফুর সঞ্চালনায় ও পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের  সভাপতি মো. সামসুল আলমের সভাপতিত্বে শান্তি ও উন্নয়নের সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আলহাজ আবদুস সালাম, মহানগর সাংস্কৃতিক সম্পাদক আলহাজ আবু তাহের, কাউন্সিলর আশরাফুল আলম, নূর মোস্তাফা টিনু, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, নূর মো. নুরু, আইয়ুব খান, আতিকুর রহমান, শহীদ সরোয়ারদী, মোজাহেরুল ইসলাম, এড. শাকিল প্রমুখ।
বিএনপি-জামায়েতসহ স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি প্রতিরোধকল্পে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দারুল ফজল মার্কেট চত্বরে নাশকতা ও অরাজকতাবিরোধী এবং জননিরাপত্তা সুরক্ষায় শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
সকালে সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন হবেই। নির্বাচন বানচালকারীদের আমরা চিহ্নিত করে ফেলেছি। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। গণতন্ত্র রক্ষায় আলোচনার বিকল্প নেই। তবে এই আলোচনা হতে হবে শর্তহীন। কেননা আওয়ামী লীগ কখনো কোন দাসত্বনামায় বন্দী হবে না।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়েত তাদের বিদেশি প্রভূদের কাছে দাসখত দিয়েছে। তারা দেশের স্বার্থকে বিসর্জন দিতে চায়। পারলে তারা দেশও বিক্রি করে দেবে।
তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের নৃশংসতার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ঢাকায় পুলিশকে হত্যা করে তার পকেট থেকে মোবাইল ও টাকা চুরি করে নেয়ার ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। তারা ক্ষমতায় গেলে জনগণের পকেট তো মারবেই, পুরো বাংলাদেশ ব্যাংক লুট করে বিদেশে পাচার করে দেবে। এ ধরণের গণশত্রুকে কখনো রাষ্ট্র ক্ষমতায় জাতি দেখতে চায় না।
তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের নৃশংসতার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ঢাকায় পুলিশকে হত্যা করে তার পকেট থেকে মোবাইল ও টাকা চুরি করে নেয়ার ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। তারা ক্ষমতায় গেলে জনগণের পকেট তো মারবেই, পুরো বাংলাদেশ ব্যাংক লুট করে বিদেশে পাচার করে দেবে। এ ধরণের গণশত্রুকে কখনো রাষ্ট্র ক্ষমতায় জাতি দেখতে চায় না।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, দপ্তর সম্পাদক হাসান মাহমুদ শমসের, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য আলহাজ পেয়ার মোহাম্মদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের স্বপন কুমার মজুমদার, মো. ইকবাল হাসান, আফছার উদ্দিন চৌধুরী, লায়ন আশীষ ভট্টাচার্য্য, রুহুল আমিন তপন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর প্রমুখ।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগ শাহ আমানত ব্রিজের প্রবেশমুখে বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আজ দুপুরে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহিদুল আলমের সভাপতিত্বে ও ১৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার আলম জাহেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড আওয়মী লীগের সভপতি আহমেদ ইলিয়াছ, মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য প্রকৌশলী বিজয় কিষাণ চৌধুরী, ১৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আজিম নূরু, ৩৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক, ৩৫ নং ওয়াড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল্লা চৌধুরী বাহাদুর, ১৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহবায়ক মো. ইউনুস কোম্পানি, যুগ্ম-আহবায়ক আলী নেওয়াজ, মহানগর যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক সুমন, সহ সভাপতি নুরুল আনোয়ার, চট্টগ্রাম  মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি দেবাশিষ নাথ দেবু, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর  প্রমুখ।
পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজকে হত্যার প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা কমিটির গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর শাখার আহবায়ক সাহেদ মুরাদ সাকু’র সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান সজীবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদ। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মোহাম্মদ নূর উদ্দিন, সহকারী কমান্ডার সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুন লুবনা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের  চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন চৌধুরী, চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, সাবেক ছাত্রনেতা শাহজাহান  সেলিম, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রনেতা রাকিব অয়ন, যুবনেতা আমিনুল ইসলাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাকিবুল ইসলাম সাকিব। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সদস্য সচিব কাজী মুহাম্মদ রাজিশ ইমরান।
প্রতিবাদ সভায়প্রধান অতিথি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ বলেছেন, জামাত-বিএনপি পাকিস্তানী প্রেতাত্মারা কখনো এদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনি। তারা কখনো বাংলাদেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধি মেনে নিতে পারেনি। তাই আজকের এই স্মার্ট বাংলাদেশে তারা মহাসমাবেশের নামে গত ২৮ অক্টোবর সন্ত্রাসী কর্মকা-, নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ও জ্বালাও-পোড়াও’র  রাজনীতি শুরু করেছে। তাদের সহিংসতার শিকার হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রাষ্ট্রীয় স্থাপনা। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিহত পুলিশ কনস্টেবল পারভেজের খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। অন্যথায় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা রাজপথে নামবে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

আগামীকাল থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু, বন্ধ থাকবে আ্যসেম্বলি।

সচল চট্টগ্রামের মোড়ে মোড়ে আওয়ামী লীগের অবস্থান

Update Time : ১১:২৩:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এবং কথিত অবরোধ প্রতিরোধকল্পে চট্টগ্রামে আজ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বিভিন্ন স্থানে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করেছে। এসব সমাবেশের মাধ্যমে নেতাকর্মীরা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে অবস্থান নেন। ফলে অবরোধের প্রথম দিন বিরোধী দলগুলোর লক্ষ্য কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। অন্যান্য দিনের মতোই সচল রয়েছে চট্টগ্রাম।
আজ দুপুরে বহদ্দারহাট মোড়ে ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, হরতাল-অবরোধের মতো জনস্বার্থবিরোধী রাজনীতির কারণে বিএনপিকে মুসলিম লীগের পরিণতি ভোগ করতে হবে। পুলিশ ও জনগণের ওপর হামলার মধ্য দিয়ে বিএনপি প্রমাণ করেছে যে- তারা আবার সন্ত্রাসী চরিত্রে ফিরে গেছে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতকে মোকাবিলা করতে হবে। আর সেজন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। বিএনপিকে বলব, বিদেশি অপশক্তির উস্কানিতে কান না দিয়ে নির্বাচনে এসে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করুন। অন্যথায় বিএনপি হারিয়ে যাবে, টিকে থাকবে জনগণের দল আওয়ামী লীগ। উন্নয়নের যে জয়যাত্রা শেখ হাসিনা শুরু করেছেন- তা অব্যাহত রাখতে জনগণ ঐক্যবদ্ধ।
সাবেক কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন সাইফুর সঞ্চালনায় ও পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের  সভাপতি মো. সামসুল আলমের সভাপতিত্বে শান্তি ও উন্নয়নের সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আলহাজ আবদুস সালাম, মহানগর সাংস্কৃতিক সম্পাদক আলহাজ আবু তাহের, কাউন্সিলর আশরাফুল আলম, নূর মোস্তাফা টিনু, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা নাজিম উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, নূর মো. নুরু, আইয়ুব খান, আতিকুর রহমান, শহীদ সরোয়ারদী, মোজাহেরুল ইসলাম, এড. শাকিল প্রমুখ।
বিএনপি-জামায়েতসহ স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি প্রতিরোধকল্পে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দারুল ফজল মার্কেট চত্বরে নাশকতা ও অরাজকতাবিরোধী এবং জননিরাপত্তা সুরক্ষায় শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
সকালে সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচন হবেই। নির্বাচন বানচালকারীদের আমরা চিহ্নিত করে ফেলেছি। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। গণতন্ত্র রক্ষায় আলোচনার বিকল্প নেই। তবে এই আলোচনা হতে হবে শর্তহীন। কেননা আওয়ামী লীগ কখনো কোন দাসত্বনামায় বন্দী হবে না।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়েত তাদের বিদেশি প্রভূদের কাছে দাসখত দিয়েছে। তারা দেশের স্বার্থকে বিসর্জন দিতে চায়। পারলে তারা দেশও বিক্রি করে দেবে।
তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের নৃশংসতার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ঢাকায় পুলিশকে হত্যা করে তার পকেট থেকে মোবাইল ও টাকা চুরি করে নেয়ার ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। তারা ক্ষমতায় গেলে জনগণের পকেট তো মারবেই, পুরো বাংলাদেশ ব্যাংক লুট করে বিদেশে পাচার করে দেবে। এ ধরণের গণশত্রুকে কখনো রাষ্ট্র ক্ষমতায় জাতি দেখতে চায় না।
তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের নৃশংসতার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ঢাকায় পুলিশকে হত্যা করে তার পকেট থেকে মোবাইল ও টাকা চুরি করে নেয়ার ঘটনা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। তারা ক্ষমতায় গেলে জনগণের পকেট তো মারবেই, পুরো বাংলাদেশ ব্যাংক লুট করে বিদেশে পাচার করে দেবে। এ ধরণের গণশত্রুকে কখনো রাষ্ট্র ক্ষমতায় জাতি দেখতে চায় না।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, দপ্তর সম্পাদক হাসান মাহমুদ শমসের, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য আলহাজ পেয়ার মোহাম্মদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের স্বপন কুমার মজুমদার, মো. ইকবাল হাসান, আফছার উদ্দিন চৌধুরী, লায়ন আশীষ ভট্টাচার্য্য, রুহুল আমিন তপন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর প্রমুখ।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগ শাহ আমানত ব্রিজের প্রবেশমুখে বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আজ দুপুরে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহিদুল আলমের সভাপতিত্বে ও ১৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার আলম জাহেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড আওয়মী লীগের সভপতি আহমেদ ইলিয়াছ, মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য প্রকৌশলী বিজয় কিষাণ চৌধুরী, ১৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আজিম নূরু, ৩৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী নুরুল হক, ৩৫ নং ওয়াড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল্লা চৌধুরী বাহাদুর, ১৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহবায়ক মো. ইউনুস কোম্পানি, যুগ্ম-আহবায়ক আলী নেওয়াজ, মহানগর যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক সুমন, সহ সভাপতি নুরুল আনোয়ার, চট্টগ্রাম  মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি দেবাশিষ নাথ দেবু, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর  প্রমুখ।
পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজকে হত্যার প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড, চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা কমিটির গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর শাখার আহবায়ক সাহেদ মুরাদ সাকু’র সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান সজীবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদ। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার মোহাম্মদ নূর উদ্দিন, সহকারী কমান্ডার সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুন লুবনা, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের  চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন চৌধুরী, চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দীন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, সাবেক ছাত্রনেতা শাহজাহান  সেলিম, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রনেতা রাকিব অয়ন, যুবনেতা আমিনুল ইসলাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাকিবুল ইসলাম সাকিব। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সদস্য সচিব কাজী মুহাম্মদ রাজিশ ইমরান।
প্রতিবাদ সভায়প্রধান অতিথি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ বলেছেন, জামাত-বিএনপি পাকিস্তানী প্রেতাত্মারা কখনো এদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনি। তারা কখনো বাংলাদেশের উন্নয়ন সমৃদ্ধি মেনে নিতে পারেনি। তাই আজকের এই স্মার্ট বাংলাদেশে তারা মহাসমাবেশের নামে গত ২৮ অক্টোবর সন্ত্রাসী কর্মকা-, নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ও জ্বালাও-পোড়াও’র  রাজনীতি শুরু করেছে। তাদের সহিংসতার শিকার হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও রাষ্ট্রীয় স্থাপনা। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিহত পুলিশ কনস্টেবল পারভেজের খুনিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। অন্যথায় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা রাজপথে নামবে।