০২:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মসজিদের কাঁঠাল নিলাম নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৪

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় মসজিদের কাঁঠাল নিলাম নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারজন।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালেদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (১০ জুলাই) সকালে উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, হাসনাবাদ গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে নরুল হক (৪৫),
আব্দুস সুফির ছেলে বাবুল মিয়া (৫০), আব্দুল বাসিরের ছেলে শাহজাহান মিয়া (৫৫) ও আছির মাহমদের ছেলে মুখলেছুর রহমান (৬০)।

জানা গেছে, রোববার (৯ জুলাই) বিকেলে হাসনাবাদ গ্রামের মসজিদের কাঁঠাল নিলাম
নিয়ে সরাইমরল ও মালদার এই দুই পক্ষের লোকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এর জের ধরে সোমবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এ সময় দুই পক্ষের লোকেরা দেশীয় ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই সরাইমরল পক্ষের নুরুল হক ও বাবুল মিয়া নিহত এবং প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে মালাদার পক্ষের শাহজাহান মিয়া নামে আরেকজন ছাতক কৈতক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এদিকে ওই ঘটনার পর স্থানীয় বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পুলিশের ভয়ে আত্মগোপন ছিলেন আহত বৃদ্ধা মুখলেছুর।
পরে সোমবার রাতে আত্মীয়ের বাড়িতে মৃত্যু হয় তার।
নিহত বৃদ্ধা গ্রামের মালদার পক্ষের লোক।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালেদ চৌধুরী জানান, সেমাবার সকালে ওই ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
অভিযান চালিয়ে উভয়পক্ষের ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
মখলছুরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তবে এ সংঘর্ষেই তার মৃত্যু হয়েছে কি না, এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

Tag :
About Author Information

৫০০ টাকার জন্য শিশুকে ব্রহ্মপুত্রে ফেলে দিলো কিশোর।

মসজিদের কাঁঠাল নিলাম নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ৪

Update Time : ০৫:৪৭:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় মসজিদের কাঁঠাল নিলাম নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারজন।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালেদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (১০ জুলাই) সকালে উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, হাসনাবাদ গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে নরুল হক (৪৫),
আব্দুস সুফির ছেলে বাবুল মিয়া (৫০), আব্দুল বাসিরের ছেলে শাহজাহান মিয়া (৫৫) ও আছির মাহমদের ছেলে মুখলেছুর রহমান (৬০)।

জানা গেছে, রোববার (৯ জুলাই) বিকেলে হাসনাবাদ গ্রামের মসজিদের কাঁঠাল নিলাম
নিয়ে সরাইমরল ও মালদার এই দুই পক্ষের লোকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এর জের ধরে সোমবার সকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এ সময় দুই পক্ষের লোকেরা দেশীয় ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এতে ঘটনাস্থলেই সরাইমরল পক্ষের নুরুল হক ও বাবুল মিয়া নিহত এবং প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে মালাদার পক্ষের শাহজাহান মিয়া নামে আরেকজন ছাতক কৈতক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এদিকে ওই ঘটনার পর স্থানীয় বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পুলিশের ভয়ে আত্মগোপন ছিলেন আহত বৃদ্ধা মুখলেছুর।
পরে সোমবার রাতে আত্মীয়ের বাড়িতে মৃত্যু হয় তার।
নিহত বৃদ্ধা গ্রামের মালদার পক্ষের লোক।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালেদ চৌধুরী জানান, সেমাবার সকালে ওই ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
অভিযান চালিয়ে উভয়পক্ষের ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
মখলছুরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তবে এ সংঘর্ষেই তার মৃত্যু হয়েছে কি না, এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।