০৬:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ বিশ্বকাপ ক্রিকেট থেকে বাংলাদেশের বিদায়।

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:২৭:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
  • 35

পেসারদের তোপে মুখ থুবড়ে পড়েছিল দলের ব্যাটিং লাইনআপ। ফখর জামান-আব্দুল্লাহ শফিকদের ব্যাটিং ঝড়ে উড়ে গেল বোলিং বিভাগও। সঙ্গে ফিল্ডিংটাও হলো যাচ্ছেতাই। সব বিভাগেই ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করে টানা ষষ্ঠ হারের তিক্ত স্বাদ পেল বাংলাদেশ।

আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ত্রয়োদশ আসরের ৩১তম ম্যাচে মঙ্গলবার সাকিব আল হাসানের দলের হার ৭ উইকেটে। ৪৫.১ ওভারে ২০৪ রানে গুটিয়ে যায় দল। ১০৫ বল হাতে রেখে লক্ষ্য পূরণ করে পাকিস্তান। এই হারে খাতা-কলমে শেষ চারের আশা শেষ সাকিব বাহিনীর।

তবে বিশ্বকাপ থেকে এখনও প্রাপ্তির সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশ দলের। এবার পয়েন্ট টেবিলের সেরা আটে থেকে আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকেট নিশ্চিতের লক্ষ্য।

৭ ছক্কা ও ৩ চারে ৭৪ বলে ৮১ রান করে ম্যাচের নায়ক ফখর। চোট কাটিয়ে দলে ফিরেই দারুণ কীর্তি গড়লেন এই বাঁহাতি মারকুটে ব্যাটার। বিশ্বকাপে ইমরান নাজিরের পর দ্বিতীয় পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান হিসেবে ইনিংসে ৭ বা এর বেশি ছক্কা মারলেন ফখর।

পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যানের এক ইনিংসে ৭ বা এর বেশি ছক্কা মারার সর্বশেষ ঘটনাটি ২০২১ সালের এপ্রিলে। সেবারও ব্যাটসম্যান ছিলেন ফখরই, জোহানেসবার্গে ১৯৩ রানের ইনিংসে তিনি মেরেছিলেন ১০টি ছক্কা।

মামুলি লক্ষ্য তাড়ায় ওপেনিং জুটিতেই ফখর-আব্দুল্লাহ যোগ করেন ২১ ওভারে ১২৮ রান। ৬৯ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৬৮ রান করেন আব্দুল্লাহ।

পাকিস্তান উইকেট হারিয়েছে মূলত দ্রুত ম্যাচ শেষ করার চেষ্টায়। তিনটি উইকেটই নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

টানা চার হারের পর জয়ের স্বাদ পেল পাকিস্তান। এই জয়ে সেমিফাইনালের নিভু নিভু স্বপ্ন এখনও বেঁচে আছে বাবর আজমদের। ৭ ম্যাচে তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা উঠে এসেছে পাঁচে। দল দলের এই তালিকায় নয়ে বাংলাদেশ।

৬ ম্যাচে শতভাগ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে ভারত। ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিনে থাকা নিউইল্যান্ড ও চারের দল অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট সমান ৮ করে।

আব্দুল্লাহকে এলবিডব্লিউ করে জুটি ভাঙেন মিরাজ। যে উইকেটে আগুন ঝরান শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফরা। সেখানে নিজেদের খুঁজে ফেরেন তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমানরা।

বাকি দুই উইকেটও আসে স্পিনার মিরাজের হাত ধরে। মিরাজকে হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন বাবর (১৬ বলে ৯)। মিরাজের পরের ওভারে একই আউট হন ফখরও।

ফখরের উইকেটটি ছিল মিরাজের শততম ওয়ানডে উইকেট। ৮৬ ইনিংসে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন এই স্পিনিং অলরাউন্ডার।

মোহাম্মদ রিজওয়ান আর ইফতিখার আহমেদ বাকি কাজ অনায়াশে সারেন। ম্যাচে বেশ কয়েকটি রান আউটের সুযোগ তাতছাড়া করেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা।

এই ম্যাচেও ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায় বাংলাদেশ। কিন্তু এবারও সেই ব্যর্থতার গল্প। তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়দের ব্যর্থতার মাঝে এবারও হেসেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট।

এবার মাহমুদউল্লাহ প্রমোশন পেয়ে উপরে উঠে পেলেন ফিফটি। সঙ্গে লিটন কুমার দাস আর সাকিব আল হাসানের লড়াকু দুটি চল্লিশোর্ধো ইনিংসে দুইশ পার করতে পারে বাংলাদেশ।

৯ ওভারে স্রেফ ২৩ রানে তিন উইকেট নিয়ে টপ অর্ডার গুটিয়ে দেন শাহিন। ৮.১ ওভারে ৩১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে লেজ ছেটে দেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। নিজের সবশেষ সাত বলে ১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন এই পেসার। মাঝে মুশফিক ও সাকিবের গুরুত্বপূর্ণ দুই উইকেট নেন আরেক জোরে বোলার হারিস রউফ।

প্রথম ওভারেই এদিন তানজিদ হাসানকে এলবিডব্লিউ করে পেসারদের মধ্যে দ্রুততম একশ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন শাহিন। এজন্য তার লেগেছে ৫১ ইনিংস। ৫২ ইনিংস লেগেছিল অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্কের।

ছয় ওভারে ২৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর মাহমুদউল্লাহ ও লিটনের জুটি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়েছিল বেশ। কিন্তু ইফতিখারের বলে ২১তম ওভারের প্রথম বলে লিটন আউট হয়ে ফেরার পর আর পথ খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ।

আগা সালমানের স্পিনে মিডউইকেটে ক্যাচ প্রাকটিস করিয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন। ভাঙে চতুর্থ উইকেটে ৮৯ বলে ৭৯ রানের জুটি। ৬৪ বলে ৪৫ রান লিটনের।

এরপর ত্রিশোর্ধো জুটি নেই আর। সপ্তম উইকেটে সাকিব-মিরাজ জুটি থেকে আসে ৪৮ বলে ৪৫। এই জুটি পরে লড়াকু সংগ্রহের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। কিন্তু শর্ট বলে মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাকিব।

পঞ্চম উইকেটে সাকিব-মাহমুদউল্লাহ জুটি আশা জাগিয়েও শেষ হয় ৫৯ বলে ২৮ রানে। ফিফটির আগে দারুণ খেলতে থাকা মাহমুদউল্লাহ ৭০ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫৬ রান করে আউট হন শাহিনের দারুণ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে।

উইকেটে রান পেতে লড়ছিলেন সাকিব। ইফতিখারের করা ৩৭তম ওভারে টানা তিন বাউন্ডারিতে খোলসবন্দি হওয়ার আভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আউট হন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আলগা শটে। ৬৪ বলে চার বাউন্ডারিতে ৪৩ রান সাকিবের। ১৯ রানে শেষ ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আগামী ৬ নভেম্বর, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ৪৫.১ ওভারে ২০৪ (তানজিদ ০, লিটন ৪৫, নাজমুল ৪, সাকিব ৪৩, মুশফিকুর ৫, তাওহিদ ৭, মাহমুদউল্লাহ ৫৬, মিরাজ ২৫, তাসকিন ৬, মোস্তাফিজুর ৩, শরীফুল ১*; অতিরিক্ত ৯; শাহিন ৯-১-২৩-৩, ইফতিখার ১০-০-৪৪-১, হারিস ৮-০-৩৬-২, ওয়াসিম ৮.১-১-৩১-৩, উসামা ১০-০-৬৬-১)।

পাকিস্তান: ৩২.৩ ওভারে ২০৫/৩ (আব্দুল্লাহ ৬৮, ফখর ৮১, বাবর ৯, রিজওয়ান ২৬*, ইফতিখার ১৭*; অতিরিক্ত ৪; তাসকিন ৬-১-৩৬-০, শরিফুল ৪-১-২৫-০, মিরাজ ৯-০-৬০-৩, মুস্তাফিজ ৭-০-৪৭-০, সাকিব ৫.৩-০-৩০-০, শান্ত ১-০-৫-০)।

ফল: পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দা ম্যাচ: ফখর জামান।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ: আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ বিশ্বকাপ ক্রিকেট থেকে বাংলাদেশের বিদায়।

Update Time : ১০:২৭:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩

পেসারদের তোপে মুখ থুবড়ে পড়েছিল দলের ব্যাটিং লাইনআপ। ফখর জামান-আব্দুল্লাহ শফিকদের ব্যাটিং ঝড়ে উড়ে গেল বোলিং বিভাগও। সঙ্গে ফিল্ডিংটাও হলো যাচ্ছেতাই। সব বিভাগেই ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করে টানা ষষ্ঠ হারের তিক্ত স্বাদ পেল বাংলাদেশ।

আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ত্রয়োদশ আসরের ৩১তম ম্যাচে মঙ্গলবার সাকিব আল হাসানের দলের হার ৭ উইকেটে। ৪৫.১ ওভারে ২০৪ রানে গুটিয়ে যায় দল। ১০৫ বল হাতে রেখে লক্ষ্য পূরণ করে পাকিস্তান। এই হারে খাতা-কলমে শেষ চারের আশা শেষ সাকিব বাহিনীর।

তবে বিশ্বকাপ থেকে এখনও প্রাপ্তির সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশ দলের। এবার পয়েন্ট টেবিলের সেরা আটে থেকে আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টিকেট নিশ্চিতের লক্ষ্য।

৭ ছক্কা ও ৩ চারে ৭৪ বলে ৮১ রান করে ম্যাচের নায়ক ফখর। চোট কাটিয়ে দলে ফিরেই দারুণ কীর্তি গড়লেন এই বাঁহাতি মারকুটে ব্যাটার। বিশ্বকাপে ইমরান নাজিরের পর দ্বিতীয় পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান হিসেবে ইনিংসে ৭ বা এর বেশি ছক্কা মারলেন ফখর।

পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যানের এক ইনিংসে ৭ বা এর বেশি ছক্কা মারার সর্বশেষ ঘটনাটি ২০২১ সালের এপ্রিলে। সেবারও ব্যাটসম্যান ছিলেন ফখরই, জোহানেসবার্গে ১৯৩ রানের ইনিংসে তিনি মেরেছিলেন ১০টি ছক্কা।

মামুলি লক্ষ্য তাড়ায় ওপেনিং জুটিতেই ফখর-আব্দুল্লাহ যোগ করেন ২১ ওভারে ১২৮ রান। ৬৯ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় ৬৮ রান করেন আব্দুল্লাহ।

পাকিস্তান উইকেট হারিয়েছে মূলত দ্রুত ম্যাচ শেষ করার চেষ্টায়। তিনটি উইকেটই নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

টানা চার হারের পর জয়ের স্বাদ পেল পাকিস্তান। এই জয়ে সেমিফাইনালের নিভু নিভু স্বপ্ন এখনও বেঁচে আছে বাবর আজমদের। ৭ ম্যাচে তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা উঠে এসেছে পাঁচে। দল দলের এই তালিকায় নয়ে বাংলাদেশ।

৬ ম্যাচে শতভাগ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে ভারত। ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। তিনে থাকা নিউইল্যান্ড ও চারের দল অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট সমান ৮ করে।

আব্দুল্লাহকে এলবিডব্লিউ করে জুটি ভাঙেন মিরাজ। যে উইকেটে আগুন ঝরান শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফরা। সেখানে নিজেদের খুঁজে ফেরেন তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমানরা।

বাকি দুই উইকেটও আসে স্পিনার মিরাজের হাত ধরে। মিরাজকে হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন বাবর (১৬ বলে ৯)। মিরাজের পরের ওভারে একই আউট হন ফখরও।

ফখরের উইকেটটি ছিল মিরাজের শততম ওয়ানডে উইকেট। ৮৬ ইনিংসে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন এই স্পিনিং অলরাউন্ডার।

মোহাম্মদ রিজওয়ান আর ইফতিখার আহমেদ বাকি কাজ অনায়াশে সারেন। ম্যাচে বেশ কয়েকটি রান আউটের সুযোগ তাতছাড়া করেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা।

এই ম্যাচেও ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায় বাংলাদেশ। কিন্তু এবারও সেই ব্যর্থতার গল্প। তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, তাওহিদ হৃদয়দের ব্যর্থতার মাঝে এবারও হেসেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট।

এবার মাহমুদউল্লাহ প্রমোশন পেয়ে উপরে উঠে পেলেন ফিফটি। সঙ্গে লিটন কুমার দাস আর সাকিব আল হাসানের লড়াকু দুটি চল্লিশোর্ধো ইনিংসে দুইশ পার করতে পারে বাংলাদেশ।

৯ ওভারে স্রেফ ২৩ রানে তিন উইকেট নিয়ে টপ অর্ডার গুটিয়ে দেন শাহিন। ৮.১ ওভারে ৩১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে লেজ ছেটে দেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। নিজের সবশেষ সাত বলে ১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন এই পেসার। মাঝে মুশফিক ও সাকিবের গুরুত্বপূর্ণ দুই উইকেট নেন আরেক জোরে বোলার হারিস রউফ।

প্রথম ওভারেই এদিন তানজিদ হাসানকে এলবিডব্লিউ করে পেসারদের মধ্যে দ্রুততম একশ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন শাহিন। এজন্য তার লেগেছে ৫১ ইনিংস। ৫২ ইনিংস লেগেছিল অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্কের।

ছয় ওভারে ২৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর মাহমুদউল্লাহ ও লিটনের জুটি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়েছিল বেশ। কিন্তু ইফতিখারের বলে ২১তম ওভারের প্রথম বলে লিটন আউট হয়ে ফেরার পর আর পথ খুঁজে পায়নি বাংলাদেশ।

আগা সালমানের স্পিনে মিডউইকেটে ক্যাচ প্রাকটিস করিয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন। ভাঙে চতুর্থ উইকেটে ৮৯ বলে ৭৯ রানের জুটি। ৬৪ বলে ৪৫ রান লিটনের।

এরপর ত্রিশোর্ধো জুটি নেই আর। সপ্তম উইকেটে সাকিব-মিরাজ জুটি থেকে আসে ৪৮ বলে ৪৫। এই জুটি পরে লড়াকু সংগ্রহের স্বপ্ন দেখাচ্ছিল। কিন্তু শর্ট বলে মিডউইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাকিব।

পঞ্চম উইকেটে সাকিব-মাহমুদউল্লাহ জুটি আশা জাগিয়েও শেষ হয় ৫৯ বলে ২৮ রানে। ফিফটির আগে দারুণ খেলতে থাকা মাহমুদউল্লাহ ৭০ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫৬ রান করে আউট হন শাহিনের দারুণ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে।

উইকেটে রান পেতে লড়ছিলেন সাকিব। ইফতিখারের করা ৩৭তম ওভারে টানা তিন বাউন্ডারিতে খোলসবন্দি হওয়ার আভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আউট হন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আলগা শটে। ৬৪ বলে চার বাউন্ডারিতে ৪৩ রান সাকিবের। ১৯ রানে শেষ ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের পরের ম্যাচ আগামী ৬ নভেম্বর, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ: ৪৫.১ ওভারে ২০৪ (তানজিদ ০, লিটন ৪৫, নাজমুল ৪, সাকিব ৪৩, মুশফিকুর ৫, তাওহিদ ৭, মাহমুদউল্লাহ ৫৬, মিরাজ ২৫, তাসকিন ৬, মোস্তাফিজুর ৩, শরীফুল ১*; অতিরিক্ত ৯; শাহিন ৯-১-২৩-৩, ইফতিখার ১০-০-৪৪-১, হারিস ৮-০-৩৬-২, ওয়াসিম ৮.১-১-৩১-৩, উসামা ১০-০-৬৬-১)।

পাকিস্তান: ৩২.৩ ওভারে ২০৫/৩ (আব্দুল্লাহ ৬৮, ফখর ৮১, বাবর ৯, রিজওয়ান ২৬*, ইফতিখার ১৭*; অতিরিক্ত ৪; তাসকিন ৬-১-৩৬-০, শরিফুল ৪-১-২৫-০, মিরাজ ৯-০-৬০-৩, মুস্তাফিজ ৭-০-৪৭-০, সাকিব ৫.৩-০-৩০-০, শান্ত ১-০-৫-০)।

ফল: পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দা ম্যাচ: ফখর জামান।