০৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিয়ে করলেন ৮০ বছরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রহিম,

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:২১:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 14

নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলায় ৮০ বছর বয়সে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আ: রহিম বিয়ে করলেন ৬০ বছরের এক বিধাব নারীকে।

আজ শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে কলমাকান্দা উপজেলা সদরের থানা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এটি দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের মুন্সিপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত আব্দুল জব্বার। পাত্রী একই গ্রামের মৃত মিরাজ আলী স্ত্রী রাবিয়া বেগম। রাবিয়া বেগমের ভাইয়ের ছেলে মাহফুজ মিয়া গণমাধ্যমকে এ বিয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, ১৯৭০ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আ: রহিম পাশ্ববর্তী গ্রামের সাহেরা খাতুন নামের এক নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের ছয় মাস পর স্ত্রীকে রেখে ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি বাড়িতে ফিরেন। বাড়ি ফেরার দুই বছর পর তার স্ত্রী সাহেরা খাতুন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাদের দাম্পত্য জীবনে কোন সন্তান ছিলনা।

আর রাবিয়া বেগমের স্বামী মিরাজ আলী ১৯৮০ সালে ৫ মেয়ে ও ১ ছেলে রেখে মারা যান। ছেলে মেয়েরা বর্তমানে বিয়ে করে আলাদা বসবাস করছেন। পরে রাবিয়া বেগমের স্বামী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আ: রহিমের স্ত্রী না থাকায় শুক্রবার বিকালে উভয় পরিবারের লোকজনের সম্মতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

Tag :
About Author Information

৫০০ টাকার জন্য শিশুকে ব্রহ্মপুত্রে ফেলে দিলো কিশোর।

বিয়ে করলেন ৮০ বছরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রহিম,

Update Time : ১০:২১:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলায় ৮০ বছর বয়সে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আ: রহিম বিয়ে করলেন ৬০ বছরের এক বিধাব নারীকে।

আজ শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে কলমাকান্দা উপজেলা সদরের থানা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এটি দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের মুন্সিপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত আব্দুল জব্বার। পাত্রী একই গ্রামের মৃত মিরাজ আলী স্ত্রী রাবিয়া বেগম। রাবিয়া বেগমের ভাইয়ের ছেলে মাহফুজ মিয়া গণমাধ্যমকে এ বিয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, ১৯৭০ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আ: রহিম পাশ্ববর্তী গ্রামের সাহেরা খাতুন নামের এক নারীকে বিয়ে করেন। বিয়ের ছয় মাস পর স্ত্রীকে রেখে ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি বাড়িতে ফিরেন। বাড়ি ফেরার দুই বছর পর তার স্ত্রী সাহেরা খাতুন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তাদের দাম্পত্য জীবনে কোন সন্তান ছিলনা।

আর রাবিয়া বেগমের স্বামী মিরাজ আলী ১৯৮০ সালে ৫ মেয়ে ও ১ ছেলে রেখে মারা যান। ছেলে মেয়েরা বর্তমানে বিয়ে করে আলাদা বসবাস করছেন। পরে রাবিয়া বেগমের স্বামী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আ: রহিমের স্ত্রী না থাকায় শুক্রবার বিকালে উভয় পরিবারের লোকজনের সম্মতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।