০৪:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে নববিবাহিত তরুণ।

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:১১:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 24

কাজের সন্ধানে বাবার সাথে ঢাকায় এসে ফুপুর বাসায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে নববিবাহিত তরুণ।  বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা সাঁতারকুল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে, নিহত তরুণ মো. রবিন মিয়া (১৯) ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার চরগোয়াডাঙ্গা গ্রামের রিকশাচালক মো. বাচ্চু মিয়ার ছেলে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে রবিন ছিল দ্বিতীয়।

নিহতের বাবা বাচ্চু মিয়া জানান, তার ছেলে বেশ কিছুদিন ধরে হতাশাগ্রস্ত ছিল। ছেলের এ অবস্থা দেখে তাকে মাত্র ১৫ দিন আগে বিয়ে করানো হয়। নববধূকে গ্রামের বাড়িতে রেখে কাজের সন্ধানে বাবার সাথে তিনদিন আগে সাঁতারকুল এলাকার কদরদিয়ায় ফুপু নাজমা বেগমের বাসায় ওঠেন তারা।  তিনি আরও জানান, সেখানে থেকে তিনি রিকশা চালান। তার ছেলে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। তার ফুপু ও ফুপাতো বোন গার্মেন্টস কর্মী।

বাচ্চু মিয়া জানান, দিনে সকলেই কাজে বাইরে ছিলেন। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজার ফাঁকা দিয়ে দেখতে পান ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে ঝুলছে রবিন।

তিনি আরও জানান, বাসার ছিটকিনি ভেঙ্গে দ্রুত ঝুলন্ত অবস্থা থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সোয়া নয়টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবিহিত করা হয়েছে।

Tag :
About Author Information

৫০০ টাকার জন্য শিশুকে ব্রহ্মপুত্রে ফেলে দিলো কিশোর।

ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে নববিবাহিত তরুণ।

Update Time : ১০:১১:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

কাজের সন্ধানে বাবার সাথে ঢাকায় এসে ফুপুর বাসায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে নববিবাহিত তরুণ।  বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা সাঁতারকুল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে, নিহত তরুণ মো. রবিন মিয়া (১৯) ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার চরগোয়াডাঙ্গা গ্রামের রিকশাচালক মো. বাচ্চু মিয়ার ছেলে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে রবিন ছিল দ্বিতীয়।

নিহতের বাবা বাচ্চু মিয়া জানান, তার ছেলে বেশ কিছুদিন ধরে হতাশাগ্রস্ত ছিল। ছেলের এ অবস্থা দেখে তাকে মাত্র ১৫ দিন আগে বিয়ে করানো হয়। নববধূকে গ্রামের বাড়িতে রেখে কাজের সন্ধানে বাবার সাথে তিনদিন আগে সাঁতারকুল এলাকার কদরদিয়ায় ফুপু নাজমা বেগমের বাসায় ওঠেন তারা।  তিনি আরও জানান, সেখানে থেকে তিনি রিকশা চালান। তার ছেলে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। তার ফুপু ও ফুপাতো বোন গার্মেন্টস কর্মী।

বাচ্চু মিয়া জানান, দিনে সকলেই কাজে বাইরে ছিলেন। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজার ফাঁকা দিয়ে দেখতে পান ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে ঝুলছে রবিন।

তিনি আরও জানান, বাসার ছিটকিনি ভেঙ্গে দ্রুত ঝুলন্ত অবস্থা থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সোয়া নয়টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবিহিত করা হয়েছে।