১০:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইদহে মাদক ও স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেটের হোতাসহ গ্রেফতার ৩

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৫০:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 22

দক্ষিণবঙ্গের মাদক স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেটের প্রধান ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের রেজাউল ইসলাম পাঠানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর বাজার এলাকা থেকে দুই সঙ্গীসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার অপর দুইজন হলো, যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের ছেলে মো. ইমরান হোসেন নয়ন এবং কোটচাঁদপুর বাজার পাড়ার সিরাজুলের ছেলে একরামুল হক।

এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে উদ্ধার করা হয়েছে চারটি চাইনিজ কুড়াল ও স্টিলের পাইপ। সর্বশেষ রেজাউল পাঠানকে গ্রেফতার করা হয় চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি। এ খবর নিশ্চিত করেছেন মহেশপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইসমাইল হোসেন।

ইসমাইল হোসেন জানান, রেজাউল পাঠানসহ ৯-১০ জন মহেশপুরের খালিশপুর বাজারের হাজী মসজিদের কাছে ফাঁকা স্থানে গোপন বৈঠক করছে এমন খবরের ভিত্তিতে এলাকাটি ঘিরে ফেলা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ৭ জন পলিয়ে যায়। ধরা পড়ে রেজাউল পাঠানসহ অপর দুইজন।

অভিযানের নেতৃত্বদানকারী পুলিশ পরিদর্শক আরও জানান, দুইটি প্রাইভেটকার পাশাপাশি রেখে অভিনব কৌশলে বৈঠক করছিল তারা। রেজাউল পাঠানের বাড়ি কোটচাঁদপুর উপজেলা শহরের আদর্শ পাড়ায়। তার বাবার নাম মমিন পাঠান। বর্তমানে মহেশপুর উপজেলা পুরন্দপুর গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে থাকে সে। ইতোপূর্বে কয়েক দফায় র‍্যাব-পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘ দিন কারাগারে ছিল সে। মাদক, স্বর্ণ চোরাচালান, অস্ত্র, ডাকাতির ঘটনায় অসংখ্য মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, রেজাউল পাঠান এক সময় কোটচাঁদপুর পৌরসভার কমিশনার ছিল। পুলিশের সোর্স থেকে আন্ডার ওয়ার্ল্ডের গডফাদার হয়ে উঠে। স্বর্ণ এবং মাদক ধরিয়ে দেয়ার কাজ করতো সে। এক পর্যায়ে চোরাকারবারিদের স্বর্ণ ডাকাতি শুরু করে রেজাউল।

Tag :
About Author Information

৫০০ টাকার জন্য শিশুকে ব্রহ্মপুত্রে ফেলে দিলো কিশোর।

ঝিনাইদহে মাদক ও স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেটের হোতাসহ গ্রেফতার ৩

Update Time : ১১:৫০:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

দক্ষিণবঙ্গের মাদক স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেটের প্রধান ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের রেজাউল ইসলাম পাঠানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর বাজার এলাকা থেকে দুই সঙ্গীসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার অপর দুইজন হলো, যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের ছেলে মো. ইমরান হোসেন নয়ন এবং কোটচাঁদপুর বাজার পাড়ার সিরাজুলের ছেলে একরামুল হক।

এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে উদ্ধার করা হয়েছে চারটি চাইনিজ কুড়াল ও স্টিলের পাইপ। সর্বশেষ রেজাউল পাঠানকে গ্রেফতার করা হয় চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি। এ খবর নিশ্চিত করেছেন মহেশপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইসমাইল হোসেন।

ইসমাইল হোসেন জানান, রেজাউল পাঠানসহ ৯-১০ জন মহেশপুরের খালিশপুর বাজারের হাজী মসজিদের কাছে ফাঁকা স্থানে গোপন বৈঠক করছে এমন খবরের ভিত্তিতে এলাকাটি ঘিরে ফেলা হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ৭ জন পলিয়ে যায়। ধরা পড়ে রেজাউল পাঠানসহ অপর দুইজন।

অভিযানের নেতৃত্বদানকারী পুলিশ পরিদর্শক আরও জানান, দুইটি প্রাইভেটকার পাশাপাশি রেখে অভিনব কৌশলে বৈঠক করছিল তারা। রেজাউল পাঠানের বাড়ি কোটচাঁদপুর উপজেলা শহরের আদর্শ পাড়ায়। তার বাবার নাম মমিন পাঠান। বর্তমানে মহেশপুর উপজেলা পুরন্দপুর গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে থাকে সে। ইতোপূর্বে কয়েক দফায় র‍্যাব-পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘ দিন কারাগারে ছিল সে। মাদক, স্বর্ণ চোরাচালান, অস্ত্র, ডাকাতির ঘটনায় অসংখ্য মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, রেজাউল পাঠান এক সময় কোটচাঁদপুর পৌরসভার কমিশনার ছিল। পুলিশের সোর্স থেকে আন্ডার ওয়ার্ল্ডের গডফাদার হয়ে উঠে। স্বর্ণ এবং মাদক ধরিয়ে দেয়ার কাজ করতো সে। এক পর্যায়ে চোরাকারবারিদের স্বর্ণ ডাকাতি শুরু করে রেজাউল।