০৩:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গৃহবধূ হত্যায় স্বামীসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৩৩:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 19

যৌতুকের দাবিতে কিশোরগঞ্জে হেনা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় স্বামীসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. হাবিবুল্লাহ এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নিহত গৃহবধূ হেনা আক্তারের স্বামী খোকন মিয়া (৩২), তার বোন জরিনা খাতুন (৩৪) ও মামাতো ভাই জালাল মিয়া (৩৮)। একইসঙ্গে খোকন মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা, জরিনাকে ২০ হাজার টাকা এবং জালালকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খোকনের বাবা ইমান আলী (৫৮), মা কমলা খাতুন (৫৫) ও ভাই সাইদুর রহমানকে (৩৪) বেকসুর খালাস দেন আদালত।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া পাথারিয়াপাড়া গ্রামের খোকন মিয়ার সঙ্গে পাশের কৈলাকুড়ি গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে ফেনা ওরফে হেনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুকের জন্য গৃহবধূর ওপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে স্বামী খোকনসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এক পর্যায়ে হেনার বাবার বাড়ি থেকে খোকনকে নগদ ৪০ হাজার টাকা, গাভী ও নতুন ঘর তৈরি করে দেয়া হয়। এরপরও এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন খোকন।

এ নিয়ে কলহের জের ধরে ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর গভীর রাতে গৃহবধূ ফেনা ওরফে হেনা আক্তারকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেন খোকন ও তার স্বজনরা।

এ ঘটনায় পরদিন হেনা আক্তারের ছোট ভাই মো. সাইকুল ইসলাম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যা‌তন দমন আইনে ৮ জনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালতে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার আসামিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এম এ আফজল বলেন, যৌতুক নিরোধে এটি একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। এতে করে সমাজে যৌতুকের জন্য নারী নির্যাতন কমবে।

Tag :
About Author Information

৫০০ টাকার জন্য শিশুকে ব্রহ্মপুত্রে ফেলে দিলো কিশোর।

গৃহবধূ হত্যায় স্বামীসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

Update Time : ০৬:৩৩:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

যৌতুকের দাবিতে কিশোরগঞ্জে হেনা আক্তার নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় স্বামীসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. হাবিবুল্লাহ এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নিহত গৃহবধূ হেনা আক্তারের স্বামী খোকন মিয়া (৩২), তার বোন জরিনা খাতুন (৩৪) ও মামাতো ভাই জালাল মিয়া (৩৮)। একইসঙ্গে খোকন মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা, জরিনাকে ২০ হাজার টাকা এবং জালালকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খোকনের বাবা ইমান আলী (৫৮), মা কমলা খাতুন (৫৫) ও ভাই সাইদুর রহমানকে (৩৪) বেকসুর খালাস দেন আদালত।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া পাথারিয়াপাড়া গ্রামের খোকন মিয়ার সঙ্গে পাশের কৈলাকুড়ি গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে ফেনা ওরফে হেনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুকের জন্য গৃহবধূর ওপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে স্বামী খোকনসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এক পর্যায়ে হেনার বাবার বাড়ি থেকে খোকনকে নগদ ৪০ হাজার টাকা, গাভী ও নতুন ঘর তৈরি করে দেয়া হয়। এরপরও এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন খোকন।

এ নিয়ে কলহের জের ধরে ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর গভীর রাতে গৃহবধূ ফেনা ওরফে হেনা আক্তারকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেন খোকন ও তার স্বজনরা।

এ ঘটনায় পরদিন হেনা আক্তারের ছোট ভাই মো. সাইকুল ইসলাম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যা‌তন দমন আইনে ৮ জনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আদালতে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার আসামিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এম এ আফজল বলেন, যৌতুক নিরোধে এটি একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। এতে করে সমাজে যৌতুকের জন্য নারী নির্যাতন কমবে।