০৫:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এনবিআর নারী কর্মকর্তাকে অপহরণের পেছনে সাবেক স্বামী।

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) যুগ্ম কমিশনার মাসুমা খাতুনকে অপহরণের ঘটনায় তার সাবেক স্বামীর হাত রয়েছে। আর অপহরণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করেছেন মাসুমা খাতুনের সাবেক গাড়িচালক মাসুদ।

শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর ও রাজধানীর সবুজবাগ থেকে মাসুদসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। বাকি দুজন হলেন- আব্দুল জলিল ও হাফিজ।

খন্দকার আল মঈন জানান, অপহরণের শিকার এই যুগ্ম কমিশনারের সাবেক স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা হারুন-অর রশিদ। হারুনের রাগ-ক্ষোভ ছিল তার স্ত্রীর ওপর। সেই ক্ষোভ থেকেই মাসুমাকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন তিনি। পরিকল্পনায় ব্যবহার করা হয় মাসুমার সাবেক গাড়িচালক মাসুদকে। মাসুদের নেতৃত্বে অপহরণ মিশনে অংশ নেয় মোট সাতজন।

তিনি জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী হারুন ৫০ হাজার টাকায় হাতিরঝিল এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেন। তবে অপহরণের পর মাসুমাকে ওই বাসায় নেওয়া সম্ভব হয় না। এর বদলে তাকে নেওয়া হয় নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকার একটি গ্যারেজে। সেখানে গাড়িতেই মাসুমাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরদিন তাকে নেওয়া হয় মাদারটেক এলাকায়। সেখানে তার চিৎকারে এলাকাবাসীর হাতে আটক হন তিনজন। পালিয়ে যান মাসুদসহ চারজন।

গত ১৭ আগস্ট রাত ৮টার দিকে মাসুমা খাতুন মাইক্রোবাসে করে মগবাজার থেকে সিদ্ধেশ্বরীর বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় মাইক্রোবাস থামিয়ে চালককে মারধর শুরু করেন কয়েকজন ব্যক্তি। একপর্যায়ে গাড়ি থেকে চালককে নামিয়ে মাইক্রোবাসসহ তাকে অপহরণ করেন তারা।

অপহরণের ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত মাসুমা খাতুনের কোনো খোঁজ ছিল না। পরদিন দুপুর ২টার দিকে তিনি কৌশলে গাড়ি থেকে নেমে চিৎকার শুরু করলে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। এ সময় তিন অপহরণকারীকেও আটক করেন তারা।

এ ঘটনায় রাজধানীর রমনা থানায় চারজনের নাম উল্লেখ একটি অপহরণ মামলা করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে মো. মাসুদকে, যিনি জুলাই মাসে মাসুমা খাতুনের ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ছিলেন। আগস্ট মাসের ১ তারিখে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

Tag :
About Author Information

৫০০ টাকার জন্য শিশুকে ব্রহ্মপুত্রে ফেলে দিলো কিশোর।

এনবিআর নারী কর্মকর্তাকে অপহরণের পেছনে সাবেক স্বামী।

Update Time : ০৪:৪১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩

রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) যুগ্ম কমিশনার মাসুমা খাতুনকে অপহরণের ঘটনায় তার সাবেক স্বামীর হাত রয়েছে। আর অপহরণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করেছেন মাসুমা খাতুনের সাবেক গাড়িচালক মাসুদ।

শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর ও রাজধানীর সবুজবাগ থেকে মাসুদসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। বাকি দুজন হলেন- আব্দুল জলিল ও হাফিজ।

খন্দকার আল মঈন জানান, অপহরণের শিকার এই যুগ্ম কমিশনারের সাবেক স্বামী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা হারুন-অর রশিদ। হারুনের রাগ-ক্ষোভ ছিল তার স্ত্রীর ওপর। সেই ক্ষোভ থেকেই মাসুমাকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন তিনি। পরিকল্পনায় ব্যবহার করা হয় মাসুমার সাবেক গাড়িচালক মাসুদকে। মাসুদের নেতৃত্বে অপহরণ মিশনে অংশ নেয় মোট সাতজন।

তিনি জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী হারুন ৫০ হাজার টাকায় হাতিরঝিল এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেন। তবে অপহরণের পর মাসুমাকে ওই বাসায় নেওয়া সম্ভব হয় না। এর বদলে তাকে নেওয়া হয় নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকার একটি গ্যারেজে। সেখানে গাড়িতেই মাসুমাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরদিন তাকে নেওয়া হয় মাদারটেক এলাকায়। সেখানে তার চিৎকারে এলাকাবাসীর হাতে আটক হন তিনজন। পালিয়ে যান মাসুদসহ চারজন।

গত ১৭ আগস্ট রাত ৮টার দিকে মাসুমা খাতুন মাইক্রোবাসে করে মগবাজার থেকে সিদ্ধেশ্বরীর বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় মাইক্রোবাস থামিয়ে চালককে মারধর শুরু করেন কয়েকজন ব্যক্তি। একপর্যায়ে গাড়ি থেকে চালককে নামিয়ে মাইক্রোবাসসহ তাকে অপহরণ করেন তারা।

অপহরণের ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত মাসুমা খাতুনের কোনো খোঁজ ছিল না। পরদিন দুপুর ২টার দিকে তিনি কৌশলে গাড়ি থেকে নেমে চিৎকার শুরু করলে রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। এ সময় তিন অপহরণকারীকেও আটক করেন তারা।

এ ঘটনায় রাজধানীর রমনা থানায় চারজনের নাম উল্লেখ একটি অপহরণ মামলা করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে মো. মাসুদকে, যিনি জুলাই মাসে মাসুমা খাতুনের ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ছিলেন। আগস্ট মাসের ১ তারিখে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।