০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ড্রাইভার থেকে শত শত কোটি টাকার মালিক চেয়ারম্যান জাকির

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:১৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 20

এ এক অভিনব প্রতারণার গল্প। যার নায়ক কুমিল্লার মানিকারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। ৩৪ বছরের এই যুবক মাত্র ৬ বছরের ব্যবধানে প্রাইভেটকারের চালক থেকে হয়েছেন শত শত কোটি টাকার মালিক। 

এই সম্পদ গড়তে একের পর এক বোকা বানিয়েছেন পুলিশসহ সরকারি শত শত কর্মকর্তাকে। কি সেই আলাদীনের চেরাগ, যা ঘষে ভাগ্য বদলে ফেলেছেন জাকির?

ভুক্তভোগীরা জানান, তারা জাকির চেয়ারম্যানের কাছ থেকে গাড়ি কিনতেন। ২৩ লাখ টাকার গাড়ি ১৭ লাখ টাকায় বিক্রি করে চেয়ারম্যান নিজেই আবার সে গাড়ি ৭০ হাজার টাকা মাস চুক্তিতে ভাড়া করতেন।

গাড়ি কিনলেও কেউ মালিকানার কাগজ পেতেন না। এমনকি গাড়ি চোখেও দেখেননি অনেকে। এভাবে শত শত মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন জাকির, যারা প্রতিদিনই ভিড় জমান তার অফিস কিংবা বাড়িতে। এ যেন আধুনিক বোকা কুমির ও চতুর শেয়ালের গল্প।

এসব অভিযোগকে অবশ্য থোরাই কেয়ার করেন জাকির। নিজেকে পরিচয় দেন সফল ব্যবসায়ী ও তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে।

জাকির চেয়ারম্যানের এই অভিনব প্রতারণার তালিকায় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও রয়েছেন। এসব ঘটনায় মামলা যেমন হয়েছে, অভিযোগের পাহাড় জমেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ জানান, অনেক ভুক্তভোগী আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন। আবার কেউ কেউ থানায় মামলাও করেছেন। অভিযোগগুলো আমরা তদন্ত করছি।

এত অভিযোগ থাকার পরও জাকির চেয়ারম্যান কিভাবে বহাল-তবিয়তে রয়েছেন, তা এক রহস্যই বটে!

Tag :
About Author Information

৫০০ টাকার জন্য শিশুকে ব্রহ্মপুত্রে ফেলে দিলো কিশোর।

ড্রাইভার থেকে শত শত কোটি টাকার মালিক চেয়ারম্যান জাকির

Update Time : ১২:১৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

এ এক অভিনব প্রতারণার গল্প। যার নায়ক কুমিল্লার মানিকারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। ৩৪ বছরের এই যুবক মাত্র ৬ বছরের ব্যবধানে প্রাইভেটকারের চালক থেকে হয়েছেন শত শত কোটি টাকার মালিক। 

এই সম্পদ গড়তে একের পর এক বোকা বানিয়েছেন পুলিশসহ সরকারি শত শত কর্মকর্তাকে। কি সেই আলাদীনের চেরাগ, যা ঘষে ভাগ্য বদলে ফেলেছেন জাকির?

ভুক্তভোগীরা জানান, তারা জাকির চেয়ারম্যানের কাছ থেকে গাড়ি কিনতেন। ২৩ লাখ টাকার গাড়ি ১৭ লাখ টাকায় বিক্রি করে চেয়ারম্যান নিজেই আবার সে গাড়ি ৭০ হাজার টাকা মাস চুক্তিতে ভাড়া করতেন।

গাড়ি কিনলেও কেউ মালিকানার কাগজ পেতেন না। এমনকি গাড়ি চোখেও দেখেননি অনেকে। এভাবে শত শত মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন জাকির, যারা প্রতিদিনই ভিড় জমান তার অফিস কিংবা বাড়িতে। এ যেন আধুনিক বোকা কুমির ও চতুর শেয়ালের গল্প।

এসব অভিযোগকে অবশ্য থোরাই কেয়ার করেন জাকির। নিজেকে পরিচয় দেন সফল ব্যবসায়ী ও তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে।

জাকির চেয়ারম্যানের এই অভিনব প্রতারণার তালিকায় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও রয়েছেন। এসব ঘটনায় মামলা যেমন হয়েছে, অভিযোগের পাহাড় জমেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ জানান, অনেক ভুক্তভোগী আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন। আবার কেউ কেউ থানায় মামলাও করেছেন। অভিযোগগুলো আমরা তদন্ত করছি।

এত অভিযোগ থাকার পরও জাকির চেয়ারম্যান কিভাবে বহাল-তবিয়তে রয়েছেন, তা এক রহস্যই বটে!