বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর থেকে চলমান আন্দোলনে গত ২২ দিনে বিএনপির ১৫ জন নেতার মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হামলায় সারাদেশে ছয় হাজারের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিন রোববার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৫১০ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। মামলা হয়েছে ১৮টি। এতে আসামি করা হয়েছে ২০৮৫ জন নেতাকর্মীকে। আহত হয়েছেন শতাধিক এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে।
রিজভী বলেন, গত ২৮ ও ২৯ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সারাদেশের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী গ্রেপ্তার হয়েছেন মোট ১৬৭০১ জন, মামলা হয়েছে ৭০৭টির অধিক। এসব মামলায় মোট আসামি ৫৯৬০৮ জন, মোট আহত ৬৩২৪ জনের অধিক নেতাকর্মী। এসময়ে মোট মৃত্যু ১৫ জনের (সাংবাদিক ১ জন)।
এছাড়াও মোট ১৮টি মামলায় ৯ জনের মৃত্যু দণ্ডাদেশ ও ১৩৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপির এ নেতা।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হঠাৎ বিদেশ থেকে এসে গতকাল সাভারে জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে তার দাম্ভিকতাপূর্ন কণ্ঠ শুনে দেশের মানুষ স্তম্ভিত-হতবাক হয়েছে। একই সাথে জনগণ অট্টহাসিও দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আগামী ১০-১৫ বছরে বিএনপি বলে কোন দল বাংলাদেশে আর থাকবে না।” তার মানে এই সময়ে তারা বিএনপিকে ধ্বংস ও নিঃশেষ করে দিবেন! দেশে শুধুমাত্র একটাই রাজনৈতিক দল থাকবে। যেখানে ভিন্ন মতাদর্শের কেউ থাকতে পারবে না, কেউ স্বৈরাচারী সরকারের সমালোচনা করতে পারবে না। যোগ করেন বিএনপির এ কেন্দ্রীয় নেতা।