১২:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৫ আগস্টের শোক সভায় বক্তৃতা করায় ২ বিএনপি নেতাকে শোকজ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৪৩:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০২২
  • 24

বিএনপি

দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে একের পর এক রুঢ় ব্যবহার করায় পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম এনামুল হককে শনিবার (২০ আগস্ট) শোকজ করেছে জেলা বিএনপি।

এছাড়া ১৫ আগস্টের শোক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করায় জেলা বিএনপির সদস্য মো. দিদার হোসেন ও তেরখাদা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন জমাদ্দারকে শনিবার শোকজ করেছে দলটি। কেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তার জবাব দিতে ৭ দিনের সময় দেয়া হয়েছে তাদের।

খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান ও সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী জানান, গত ৩১ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি সফলে পাইকগাছা থেকে খুলনায় বাসযোগে আসার সময় পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডা. আব্দুর মজিদ এবং সিনিয়র নেতা আবদুল মজিদ গোলদারের সঙ্গে গাড়ির ভেতর নেতাকর্মীদের সামনে গালিগালাজসহ অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এনামুল হক। পরবর্তীতে ৭ আগস্ট কৃষকদলের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি সফলে নেতাকর্মীরা খুলনা শহরে আসলে ফেরিঘাট মোড়ে কৃষক দলের সভাপতি মেছের আলীকে নেতাকর্মীদের সামনে গালিগালাজসহ মারধর করতে উদ্যত হন। এর আগে ১১ এপ্রিল পাইকগাছা উপজেলা বিএনপি অফিসে সভা চলাকলীন মজিদ গোলদারকে একইভাবে অফিস থেকে বের করে দেন।

এছাড়া খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির কর্মসূচিতে খুলনায় আসার পথে চাঁদখালী ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নানের সঙ্গে গাড়ির ভেতর একই আচরণ করেন। প্রতিটি ঘটনার পর নেতারা এস এম এনামুল হককে মৌখিকভাবে সতর্ক করে আসছেন। বিএনপির দায়িত্বশীল পদে থেকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে একের পর এক এরূপ আচরণ দলীয় গঠনতন্ত্র বিরোধী এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ। কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এ মর্মে ৭ দিনের মধ্যে খুলানা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব বরাবর কারণ ব্যাখ্যা পূর্বক জবাব প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে বলা হয়েছে।

তারা জানান, জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য মো. দিদার হোসেন ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর শোক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়েছেন। বিএনপির দায়িত্বশীল পদে থেকে এরূপ আচরণ দলের গঠণতন্ত্র বিরোধী ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিল।

এছাড়া তেরখাদা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন জমাদ্দার অনুরূপভাবে তার এলাকায় ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর শোক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়েছেন। বিএনপিরর দায়িত্বশীল পদে থেকে এরূপ আচরণ দলের গঠণতন্ত্র বিরোধী ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিল। কেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এ মর্মে ৭ দিনের মধ্যে খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব বরাবর কারণ ব্যাখ্যাপূর্বক জবাব প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে বলা হয়েছে।

Tag :
About Author Information

৫০০ টাকার জন্য শিশুকে ব্রহ্মপুত্রে ফেলে দিলো কিশোর।

১৫ আগস্টের শোক সভায় বক্তৃতা করায় ২ বিএনপি নেতাকে শোকজ

Update Time : ০২:৪৩:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০২২

দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে একের পর এক রুঢ় ব্যবহার করায় পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম এনামুল হককে শনিবার (২০ আগস্ট) শোকজ করেছে জেলা বিএনপি।

এছাড়া ১৫ আগস্টের শোক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করায় জেলা বিএনপির সদস্য মো. দিদার হোসেন ও তেরখাদা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন জমাদ্দারকে শনিবার শোকজ করেছে দলটি। কেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না তার জবাব দিতে ৭ দিনের সময় দেয়া হয়েছে তাদের।

খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান ও সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী জানান, গত ৩১ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি সফলে পাইকগাছা থেকে খুলনায় বাসযোগে আসার সময় পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডা. আব্দুর মজিদ এবং সিনিয়র নেতা আবদুল মজিদ গোলদারের সঙ্গে গাড়ির ভেতর নেতাকর্মীদের সামনে গালিগালাজসহ অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এনামুল হক। পরবর্তীতে ৭ আগস্ট কৃষকদলের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি সফলে নেতাকর্মীরা খুলনা শহরে আসলে ফেরিঘাট মোড়ে কৃষক দলের সভাপতি মেছের আলীকে নেতাকর্মীদের সামনে গালিগালাজসহ মারধর করতে উদ্যত হন। এর আগে ১১ এপ্রিল পাইকগাছা উপজেলা বিএনপি অফিসে সভা চলাকলীন মজিদ গোলদারকে একইভাবে অফিস থেকে বের করে দেন।

এছাড়া খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির কর্মসূচিতে খুলনায় আসার পথে চাঁদখালী ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নানের সঙ্গে গাড়ির ভেতর একই আচরণ করেন। প্রতিটি ঘটনার পর নেতারা এস এম এনামুল হককে মৌখিকভাবে সতর্ক করে আসছেন। বিএনপির দায়িত্বশীল পদে থেকে নেতাকর্মীদের সঙ্গে একের পর এক এরূপ আচরণ দলীয় গঠনতন্ত্র বিরোধী এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ। কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এ মর্মে ৭ দিনের মধ্যে খুলানা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব বরাবর কারণ ব্যাখ্যা পূর্বক জবাব প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে বলা হয়েছে।

তারা জানান, জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য মো. দিদার হোসেন ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর শোক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়েছেন। বিএনপির দায়িত্বশীল পদে থেকে এরূপ আচরণ দলের গঠণতন্ত্র বিরোধী ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিল।

এছাড়া তেরখাদা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন জমাদ্দার অনুরূপভাবে তার এলাকায় ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর শোক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়েছেন। বিএনপিরর দায়িত্বশীল পদে থেকে এরূপ আচরণ দলের গঠণতন্ত্র বিরোধী ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের সামিল। কেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এ মর্মে ৭ দিনের মধ্যে খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব বরাবর কারণ ব্যাখ্যাপূর্বক জবাব প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে বলা হয়েছে।