০২:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হামাসের সবচেয়ে বড় সুড়ঙ্গ খুঁজে পাওয়ার দাবি ইসরায়েলের

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় এ যাবত কালের সবচেয়ে বড় টানেলের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল। টানেলটি কংক্রিট এবং লোহায় মোড়ানো। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দাবির পক্ষে ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে তেল আবিব।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানান, এরেজ সীমান্ত ক্রসিং থেকে ৪০০ মিটার দূরে এ সুড়ঙ্গটির প্রবেশমুখ খুঁজে পাওয়া গেছে। এটির দৈর্ঘ্য চার কিলোমিটারের বেশি বা প্রায় আড়াই মাইল।

নতুন যে টানেলটি খুঁজে পেয়েছে সেটি মাটির ৫০ মিটার গভীরে অবস্থিত এবং এটির উচ্চতা ও প্রস্থ ৩ মিটার। টানেলটিতে বিদ্যুৎ সুবিধাও রয়েছে।

গত ৭ অক্টোবরের হামলায় সুড়ঙ্গটি ব্যবহার করা হয়েছিল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র দানিয়েল হাগারি গতকাল রোববার বলেন, এই সুড়ঙ্গ বানাতে বহু বছর সময় লেগেছে। লাখো ডলার ব্যয় করা হয়েছে। এর ভেতর দিয়ে অনায়াসে গাড়ি চালানো যাবে।

আইডিএফ জানায়, গাজায় ইসরায়েলের চলমান অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য হামাসের আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলগুলো ধ্বংস করা।

গাজা উপত্যকা দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ রয়েছে। সেখানে পণ্য ও ব্যক্তির প্রবেশ কিংবা সেখান থেকে বের হওয়ার জন্য ইসরায়েলের অনুমতি দরকার হয়। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় গোপনে পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপায় এসব সুড়ঙ্গ।

যদিও ইসরায়েল দাবি করে, হামাসের সশস্ত্র কর্মকাণ্ড পরিচালনার অন্যতম কেন্দ্র সুড়ঙ্গগুলো। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের হামলার পর থেকে এসব সুড়ঙ্গ ধ্বংসে উঠেপড়ে লেগেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ: আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

হামাসের সবচেয়ে বড় সুড়ঙ্গ খুঁজে পাওয়ার দাবি ইসরায়েলের

Update Time : ০৫:৪৯:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় এ যাবত কালের সবচেয়ে বড় টানেলের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছে ইসরায়েল। টানেলটি কংক্রিট এবং লোহায় মোড়ানো। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দাবির পক্ষে ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে তেল আবিব।

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।

ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানান, এরেজ সীমান্ত ক্রসিং থেকে ৪০০ মিটার দূরে এ সুড়ঙ্গটির প্রবেশমুখ খুঁজে পাওয়া গেছে। এটির দৈর্ঘ্য চার কিলোমিটারের বেশি বা প্রায় আড়াই মাইল।

নতুন যে টানেলটি খুঁজে পেয়েছে সেটি মাটির ৫০ মিটার গভীরে অবস্থিত এবং এটির উচ্চতা ও প্রস্থ ৩ মিটার। টানেলটিতে বিদ্যুৎ সুবিধাও রয়েছে।

গত ৭ অক্টোবরের হামলায় সুড়ঙ্গটি ব্যবহার করা হয়েছিল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র দানিয়েল হাগারি গতকাল রোববার বলেন, এই সুড়ঙ্গ বানাতে বহু বছর সময় লেগেছে। লাখো ডলার ব্যয় করা হয়েছে। এর ভেতর দিয়ে অনায়াসে গাড়ি চালানো যাবে।

আইডিএফ জানায়, গাজায় ইসরায়েলের চলমান অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য হামাসের আন্ডারগ্রাউন্ড টানেলগুলো ধ্বংস করা।

গাজা উপত্যকা দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ রয়েছে। সেখানে পণ্য ও ব্যক্তির প্রবেশ কিংবা সেখান থেকে বের হওয়ার জন্য ইসরায়েলের অনুমতি দরকার হয়। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় গোপনে পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপায় এসব সুড়ঙ্গ।

যদিও ইসরায়েল দাবি করে, হামাসের সশস্ত্র কর্মকাণ্ড পরিচালনার অন্যতম কেন্দ্র সুড়ঙ্গগুলো। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের হামলার পর থেকে এসব সুড়ঙ্গ ধ্বংসে উঠেপড়ে লেগেছে ইসরায়েলি বাহিনী।