০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাধারণ মানুষেরা কেন বিএনপির অপরাজনীতি ও হিংস্রতার শিকার হলো : তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:০১:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩
  • 42

‘সাধারণ মানুষগুলো কেন বিএনপির অপরাজনীতি ও হিংস্রতার শিকার হলো, বিএনপির কাছে প্রশ্ন’ রেখেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ, যাদের কর্ণকুহরে এদের কান্না-আর্তনাদ পৌঁছায় না, তাদের কাছে এদের কান্না-আর্তনাদটা পৌঁছে দেবেন, বলেন তিনি।
মন্ত্রী আজ অপরাহ্নে রাজধানীর কামরুজ্জামান সরণীতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ-হরতালে পেট্রোলবোমা হামলায় আহতদের চিকিৎসা সেবা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ প্রশ্ন রাখেন।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: রোকেয়া সুলতানা, ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বক ডা: সামন্ত লাল সেন ও চিকিৎসকবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ‘প্রধানমন্ত্রী, আমাদেরকে পাঠিয়েছেন, বিএনপি-জামাতের অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার যে মানুষগুলো এই হাসপাতালে কাতরাচ্ছে তাদের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য। অগ্নিদগ্ধদের সমস্ত চিকিৎসা ব্যয় সরকার বহন করছে। এই ইনস্টিটিউটের পরিচালক সামন্ত লাল সেন এই ইউনিট প্রতিষ্ঠার সাথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, তার নেতৃত্বে চিকিৎসা হচ্ছে। আমরা দলের পক্ষ থেকেও তাদেরকে সহায়তা করবো।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামাতের নির্মমতা, নৃশংসতা, নিষ্ঠুরতা ও অগ্নিসন্ত্রাসের কারণে কিভাবে অসহায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো আজকে বার্ন ইউনিটগুলোতে কাতরাচ্ছে, তা বর্ণনাতীত। ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে তারা যেভাবে মানুষের ওপর আক্রমণ পরিচালনা করেছে, একই কায়দায় তারা আবার মানুষ ও যানবাহনের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা শুরু করেছে।’
‘অসহায় মানুষগুলোকে যেভাবে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদের এই নির্মমতা প্রকাশে ‘নিষ্ঠুরতা’, ‘হিংস্রতা’সহ যে শব্দগুলো বাংলা ভাষায় আছে সেগুলো যথেষ্ঠ নয়’ বলে বেদনা প্রকাশ করেন হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘বার্ন ইনস্টিটিউটে যারা চিকিৎসাধীন আছে, সবাই গাড়ির ড্রাইভার, হেলপার, রিক্সাওয়ালা আর দু’একজন কর্মজীবী। সবাই সাধারণ মানুষ। এদের কি অপরাধ! বিএনপি-জামাতের কাছে আমার প্রশ্ন- এই সাধারণ মানুষগুলোর কি অপরাধ? তারা কেন তাদের অপরাজনীতির, হিংস্রতার শিকার হলো? এটির কোনো জবাব তাদের কাছে নেই।’
‘নিজেদের রাজনৈতিক দাবি-দাওয়ার জন্য, দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত তাদের চেয়ারপারসন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য, তাদের তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি- এগুলোর জন্য সাধারণ মানুষের ওপর বোমা নিক্ষেপ, আগুনে পুড়িয়ে মারা- এটি কেউ কল্পনাও করতে পারে না’ মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর কোথাও গত কয়েক দশকে রাজনৈতিক দাবি-দাওয়ার জন্য এভাবে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়নি।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি-জামাতের এরা পাকিস্তানি বাহিনীর চেয়েও হিংস্র হয়ে গেছে। পাকিস্তানি বাহিনী গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে কিন্তু জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারে নাই। ডেমরাতে মধ্যরাতে বাসে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করার পর একজন হেলপার বাসের মধ্যেই মারা গেছে। আরেকজন এখানে  কোনোরকমে বেঁচে আছে, সে এখনও শঙ্কা মুক্ত নয়।’

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ: আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সাধারণ মানুষেরা কেন বিএনপির অপরাজনীতি ও হিংস্রতার শিকার হলো : তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন

Update Time : ১১:০১:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

‘সাধারণ মানুষগুলো কেন বিএনপির অপরাজনীতি ও হিংস্রতার শিকার হলো, বিএনপির কাছে প্রশ্ন’ রেখেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ, যাদের কর্ণকুহরে এদের কান্না-আর্তনাদ পৌঁছায় না, তাদের কাছে এদের কান্না-আর্তনাদটা পৌঁছে দেবেন, বলেন তিনি।
মন্ত্রী আজ অপরাহ্নে রাজধানীর কামরুজ্জামান সরণীতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ-হরতালে পেট্রোলবোমা হামলায় আহতদের চিকিৎসা সেবা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ প্রশ্ন রাখেন।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা: রোকেয়া সুলতানা, ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বক ডা: সামন্ত লাল সেন ও চিকিৎসকবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান জানান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ‘প্রধানমন্ত্রী, আমাদেরকে পাঠিয়েছেন, বিএনপি-জামাতের অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার যে মানুষগুলো এই হাসপাতালে কাতরাচ্ছে তাদের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য। অগ্নিদগ্ধদের সমস্ত চিকিৎসা ব্যয় সরকার বহন করছে। এই ইনস্টিটিউটের পরিচালক সামন্ত লাল সেন এই ইউনিট প্রতিষ্ঠার সাথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, তার নেতৃত্বে চিকিৎসা হচ্ছে। আমরা দলের পক্ষ থেকেও তাদেরকে সহায়তা করবো।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামাতের নির্মমতা, নৃশংসতা, নিষ্ঠুরতা ও অগ্নিসন্ত্রাসের কারণে কিভাবে অসহায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো আজকে বার্ন ইউনিটগুলোতে কাতরাচ্ছে, তা বর্ণনাতীত। ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে তারা যেভাবে মানুষের ওপর আক্রমণ পরিচালনা করেছে, একই কায়দায় তারা আবার মানুষ ও যানবাহনের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা শুরু করেছে।’
‘অসহায় মানুষগুলোকে যেভাবে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদের এই নির্মমতা প্রকাশে ‘নিষ্ঠুরতা’, ‘হিংস্রতা’সহ যে শব্দগুলো বাংলা ভাষায় আছে সেগুলো যথেষ্ঠ নয়’ বলে বেদনা প্রকাশ করেন হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘বার্ন ইনস্টিটিউটে যারা চিকিৎসাধীন আছে, সবাই গাড়ির ড্রাইভার, হেলপার, রিক্সাওয়ালা আর দু’একজন কর্মজীবী। সবাই সাধারণ মানুষ। এদের কি অপরাধ! বিএনপি-জামাতের কাছে আমার প্রশ্ন- এই সাধারণ মানুষগুলোর কি অপরাধ? তারা কেন তাদের অপরাজনীতির, হিংস্রতার শিকার হলো? এটির কোনো জবাব তাদের কাছে নেই।’
‘নিজেদের রাজনৈতিক দাবি-দাওয়ার জন্য, দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত তাদের চেয়ারপারসন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের মুক্তির জন্য, তাদের তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি- এগুলোর জন্য সাধারণ মানুষের ওপর বোমা নিক্ষেপ, আগুনে পুড়িয়ে মারা- এটি কেউ কল্পনাও করতে পারে না’ মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর কোথাও গত কয়েক দশকে রাজনৈতিক দাবি-দাওয়ার জন্য এভাবে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়নি।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি-জামাতের এরা পাকিস্তানি বাহিনীর চেয়েও হিংস্র হয়ে গেছে। পাকিস্তানি বাহিনী গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে কিন্তু জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারে নাই। ডেমরাতে মধ্যরাতে বাসে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করার পর একজন হেলপার বাসের মধ্যেই মারা গেছে। আরেকজন এখানে  কোনোরকমে বেঁচে আছে, সে এখনও শঙ্কা মুক্ত নয়।’