০১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রেল চলাচলের মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পাচ্ছে পদ্মাসেতু

দেশবাসীর জন্য একটি অনন্য দিন মঙ্গলবার।

পদ্মাসেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা অংশে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মাওয়া স্টেশনে সুধী সমাবেশ শেষে বাজবে যাত্রীবাহী ট্রেনের হুইসেল।

পদ্মা পাড়ি দিয়ে ভাঙ্গা পৌঁছানোর পর সেখানকার স্টেডিয়ামের সুধী সমাবেশেও ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

যোগাযোগ ও সমৃদ্ধির নতুন দ্বার উন্মোচনে উচ্ছ্বসিত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ।

বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আরও একটি সুখবর। এবার ট্রেন চলাচলে পূর্ণতা পাচ্ছে পদ্মাসেতু।

কখনও উড়াল, কখনও মাটি ছুয়ে এঁকেবেঁকে বসে গেছে রেল। উড়াল রেল পাথরবিহীন।

৮২ কিলোমিটার রেলপথে প্রস্তুত আটটি আধুনিক সুবিধা সম্বলিত রেলস্টেশনের কাজ প্রায় শেষ। স্বয়ংক্রিয় অপটিক্যাল সিগন্যালিং ব্যবস্থাও কার্যকর।

ধাপে ধাপে রুটের বিভিন্ন অংশে পরীক্ষামূলক চলেছে রেল। এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১২৫ কিলোমিটার গতিবেগে চলেছে।

এতে চলাচলের তথ্য-উপাত্তের ফলাফল ইতিবাচক। সব বিবেচনায় ঢাকা-ভাঙ্গা অংশে যাত্রী পরিবহনে শতভাগ নিরাপদ।

প্রথমবার সড়ক অংশ উন্মুক্ত হওয়ার পর এবার রেল অংশও প্রস্তুত।

পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প ব্যবস্থাপক-১ ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ বলেন, “আমরা ১২৫ কিলোমিটার বেগে চালিয়ে দেখেছি যে স্বাচ্ছন্দে ভ্রমণ করা যাচ্ছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনো রেললাইন এই স্ট্যান্ডার্ডে এখন পর্যন্ত হয়নি। প্রধানত দ্রুতগামি ট্রেনের জন্য।”

কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে এই পথে রেলভ্রমণের সুযোগ আসায় বেজায় খুশি পদ্মাপাড়ের মানুষ।

তারা জানান, রেললাইন পেয়ে আমরা অনেক খুশি।

এখন ইচ্ছা করলে সন্ধ্যার সময় ঢাকা যাব, ১ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছাতে পারবো। কল্পনায়ও যা ছিল না তা এখন বাস্তবে রূপান্তরিত হয়ে গেছে।

কথা হচ্ছিল এই মানুষগুলোর সঙ্গে, তাদের একটাই আক্ষেপ জানা গেল।

এ যাবত বহু সরকার এসেছে আবার গেছেও কিন্তু এতবড় কল্যাণকর অবকাঠামোর উদ্যোগ নিতে কাউকে দেখা যায়নি।

উন্নয়নমুখী এ ধরনের সরকারের ধারাবাহিকতা দেখতে চায় সাধারণ মানুষ।

তারা জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যার জন্য আমরা দোয়া করি, সে দীর্ঘজীবী হোক।

সামনে সে প্রধানমন্ত্রী হোক, আমরা এটা চাই। বঙ্গবন্ধুর কন্যা ছাড়া দক্ষিণবঙ্গে এতো উন্নয়ন জীবনেও সম্ভব হতো না। বার বার দরকার শেখ হাসিনাকে।

দক্ষিণবঙ্গে এ ধরনের উন্নয়ন কারো দ্বারাই হবেনা, আর হয়নিও বিগত আমলে।

সুখের কথা হলো এপাড়-ওপাড় মিলিয়ে প্রথম দিনেই পাঁচটি জেলায় প্রথমবার রেল চালু হচ্ছে।

পরবর্তীতে সুবিধাবঞ্চিত জেলাগুলোতে সম্প্রসারিত হবে রেল।

ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ বলেন, “রোড নেটওয়ার্ক যুক্ত আছে, ট্রেনের মাধ্যমে বিরাট দিগন্ত উন্মোচন হবে। কারণ ট্রেন সবসময়ই সাশ্রয়ী, এটা আরামদায়ক। পণ্য পরিবহন করারও সুযোগ থাকবে। সুন্দর ক্ষণ আগামীকাল ১০ অক্টোবর এটি উদ্বোধন হবে। এর মাধ্যমে সারা বাংলাদেশ উপকৃত হবে।”

এই রেল দেশের জিডিপিতে এক শতাংশ অবদানও রাখবে।

সাথে সাথে একেবারে নতুন রেলট্রাক রেলবুক লোকোমটিভ রেল ভ্রমণে যাত্রীরা ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা নেয়ার সুযোগ পাবেন।

প্রমত্তা পদ্মা পাড়ি দেবে রেল এটা যেন পদ্মাপাড়ের মানুষের কাছে কল্পনার বাইরে একটি বিষয় ছিল।

সেই অসম্ভাবটিও সম্ভব করে দেখিয়েছেন জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর মধ্য দিয়ে রেলওয়ের সুবিধাবঞ্চিত বাংলাদেশের যে জেলাগুলো রয়েছে সেগুলো রেলওয়ের নেটওয়ার্কে আসার সুযোগ তৈরি হলো।

মানুষের চলাচল যেমন সহজ হবে তেমনিভাবে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারও ঘটবে।

আর এই অর্থনৈতিক মুক্তির সোপানটি তৈরি হওয়ার কারণে উচ্ছ্বসিত রেলওয়ের সুবিধাবঞ্চিত এই দেশের মানুষগুলো।

আর এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদও দিতে চায়।

এএইচ

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ: আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

রেল চলাচলের মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পাচ্ছে পদ্মাসেতু

Update Time : ০২:৩৮:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

দেশবাসীর জন্য একটি অনন্য দিন মঙ্গলবার।

পদ্মাসেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা অংশে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মাওয়া স্টেশনে সুধী সমাবেশ শেষে বাজবে যাত্রীবাহী ট্রেনের হুইসেল।

পদ্মা পাড়ি দিয়ে ভাঙ্গা পৌঁছানোর পর সেখানকার স্টেডিয়ামের সুধী সমাবেশেও ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

যোগাযোগ ও সমৃদ্ধির নতুন দ্বার উন্মোচনে উচ্ছ্বসিত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ।

বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আরও একটি সুখবর। এবার ট্রেন চলাচলে পূর্ণতা পাচ্ছে পদ্মাসেতু।

কখনও উড়াল, কখনও মাটি ছুয়ে এঁকেবেঁকে বসে গেছে রেল। উড়াল রেল পাথরবিহীন।

৮২ কিলোমিটার রেলপথে প্রস্তুত আটটি আধুনিক সুবিধা সম্বলিত রেলস্টেশনের কাজ প্রায় শেষ। স্বয়ংক্রিয় অপটিক্যাল সিগন্যালিং ব্যবস্থাও কার্যকর।

ধাপে ধাপে রুটের বিভিন্ন অংশে পরীক্ষামূলক চলেছে রেল। এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১২৫ কিলোমিটার গতিবেগে চলেছে।

এতে চলাচলের তথ্য-উপাত্তের ফলাফল ইতিবাচক। সব বিবেচনায় ঢাকা-ভাঙ্গা অংশে যাত্রী পরিবহনে শতভাগ নিরাপদ।

প্রথমবার সড়ক অংশ উন্মুক্ত হওয়ার পর এবার রেল অংশও প্রস্তুত।

পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প ব্যবস্থাপক-১ ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ বলেন, “আমরা ১২৫ কিলোমিটার বেগে চালিয়ে দেখেছি যে স্বাচ্ছন্দে ভ্রমণ করা যাচ্ছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনো রেললাইন এই স্ট্যান্ডার্ডে এখন পর্যন্ত হয়নি। প্রধানত দ্রুতগামি ট্রেনের জন্য।”

কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে এই পথে রেলভ্রমণের সুযোগ আসায় বেজায় খুশি পদ্মাপাড়ের মানুষ।

তারা জানান, রেললাইন পেয়ে আমরা অনেক খুশি।

এখন ইচ্ছা করলে সন্ধ্যার সময় ঢাকা যাব, ১ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছাতে পারবো। কল্পনায়ও যা ছিল না তা এখন বাস্তবে রূপান্তরিত হয়ে গেছে।

কথা হচ্ছিল এই মানুষগুলোর সঙ্গে, তাদের একটাই আক্ষেপ জানা গেল।

এ যাবত বহু সরকার এসেছে আবার গেছেও কিন্তু এতবড় কল্যাণকর অবকাঠামোর উদ্যোগ নিতে কাউকে দেখা যায়নি।

উন্নয়নমুখী এ ধরনের সরকারের ধারাবাহিকতা দেখতে চায় সাধারণ মানুষ।

তারা জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যার জন্য আমরা দোয়া করি, সে দীর্ঘজীবী হোক।

সামনে সে প্রধানমন্ত্রী হোক, আমরা এটা চাই। বঙ্গবন্ধুর কন্যা ছাড়া দক্ষিণবঙ্গে এতো উন্নয়ন জীবনেও সম্ভব হতো না। বার বার দরকার শেখ হাসিনাকে।

দক্ষিণবঙ্গে এ ধরনের উন্নয়ন কারো দ্বারাই হবেনা, আর হয়নিও বিগত আমলে।

সুখের কথা হলো এপাড়-ওপাড় মিলিয়ে প্রথম দিনেই পাঁচটি জেলায় প্রথমবার রেল চালু হচ্ছে।

পরবর্তীতে সুবিধাবঞ্চিত জেলাগুলোতে সম্প্রসারিত হবে রেল।

ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ বলেন, “রোড নেটওয়ার্ক যুক্ত আছে, ট্রেনের মাধ্যমে বিরাট দিগন্ত উন্মোচন হবে। কারণ ট্রেন সবসময়ই সাশ্রয়ী, এটা আরামদায়ক। পণ্য পরিবহন করারও সুযোগ থাকবে। সুন্দর ক্ষণ আগামীকাল ১০ অক্টোবর এটি উদ্বোধন হবে। এর মাধ্যমে সারা বাংলাদেশ উপকৃত হবে।”

এই রেল দেশের জিডিপিতে এক শতাংশ অবদানও রাখবে।

সাথে সাথে একেবারে নতুন রেলট্রাক রেলবুক লোকোমটিভ রেল ভ্রমণে যাত্রীরা ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা নেয়ার সুযোগ পাবেন।

প্রমত্তা পদ্মা পাড়ি দেবে রেল এটা যেন পদ্মাপাড়ের মানুষের কাছে কল্পনার বাইরে একটি বিষয় ছিল।

সেই অসম্ভাবটিও সম্ভব করে দেখিয়েছেন জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর মধ্য দিয়ে রেলওয়ের সুবিধাবঞ্চিত বাংলাদেশের যে জেলাগুলো রয়েছে সেগুলো রেলওয়ের নেটওয়ার্কে আসার সুযোগ তৈরি হলো।

মানুষের চলাচল যেমন সহজ হবে তেমনিভাবে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারও ঘটবে।

আর এই অর্থনৈতিক মুক্তির সোপানটি তৈরি হওয়ার কারণে উচ্ছ্বসিত রেলওয়ের সুবিধাবঞ্চিত এই দেশের মানুষগুলো।

আর এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদও দিতে চায়।

এএইচ