০৮:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাখাইন রাজ্য দখলের দাবি আরাকান আর্মির

মিয়ানমারের রাজ্য রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলে নেওয়ার দাবি করেছে অঞ্চলটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)।

মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আরাকান আর্মি এক বিবৃতিতে জানায়, রাখাইন রাজ্যের ১৭টি টাউনশিপের মধ্যে ১৫টিতেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জান্তা বাহিনীর কাছ থেকে ১৪২টি সেনা ঘাঁটি দখল করে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চিন রাজ্যের পালেতওয়ার নিয়ন্ত্রণও তারা নিয়েছে।

মিয়ানমারজুড়েই জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে বেশ সাফল্য লাভ করছে জান্তাবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। শান প্রদেশের একটি বাণিজ্য কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে জাতিগত সংখ্যালঘু যোদ্ধারা। কয়েক দিন আগে চীন অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করার আশ্বাস দেওয়ার পর সংখ্যালঘু যোদ্ধারা গত শনিবার এ ঘোষণা দেয়।

গত শুক্রবার রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলকে এক সাক্ষাৎকারে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিন তুন বলেন, নামশানকে ঘিরে যুদ্ধ চলছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তার ভোন কিয়াও বলছেন, মিয়ানমার সেনারা ১০৫ মাইলের বাণিজ্য জোনও হারিয়ে ফেলেছে। এটি চীন সীমান্তে মিয়ানমারের শান রাজ্যের প্রধান বাণিজ্য প্রণালি হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

গত ২৭ অক্টোবর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী থেকে মোট ৪২২টি ঘাঁটি ও সাতটি শহর দখল করে নিয়েছে বলে জানায় তিন দলীয় জোট। জোটগুলোর আক্রমণের ফলে জান্তার অন্য বিরোধীরাও নড়েচড়ে বসেছে ও মিয়ানমারের পূর্ব এবং পশ্চিমেও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ: আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

রাখাইন রাজ্য দখলের দাবি আরাকান আর্মির

Update Time : ০৫:১৯:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

মিয়ানমারের রাজ্য রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলে নেওয়ার দাবি করেছে অঞ্চলটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)।

মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আরাকান আর্মি এক বিবৃতিতে জানায়, রাখাইন রাজ্যের ১৭টি টাউনশিপের মধ্যে ১৫টিতেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জান্তা বাহিনীর কাছ থেকে ১৪২টি সেনা ঘাঁটি দখল করে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চিন রাজ্যের পালেতওয়ার নিয়ন্ত্রণও তারা নিয়েছে।

মিয়ানমারজুড়েই জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে বেশ সাফল্য লাভ করছে জান্তাবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। শান প্রদেশের একটি বাণিজ্য কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে জাতিগত সংখ্যালঘু যোদ্ধারা। কয়েক দিন আগে চীন অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করার আশ্বাস দেওয়ার পর সংখ্যালঘু যোদ্ধারা গত শনিবার এ ঘোষণা দেয়।

গত শুক্রবার রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলকে এক সাক্ষাৎকারে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিন তুন বলেন, নামশানকে ঘিরে যুদ্ধ চলছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তার ভোন কিয়াও বলছেন, মিয়ানমার সেনারা ১০৫ মাইলের বাণিজ্য জোনও হারিয়ে ফেলেছে। এটি চীন সীমান্তে মিয়ানমারের শান রাজ্যের প্রধান বাণিজ্য প্রণালি হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

গত ২৭ অক্টোবর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী থেকে মোট ৪২২টি ঘাঁটি ও সাতটি শহর দখল করে নিয়েছে বলে জানায় তিন দলীয় জোট। জোটগুলোর আক্রমণের ফলে জান্তার অন্য বিরোধীরাও নড়েচড়ে বসেছে ও মিয়ানমারের পূর্ব এবং পশ্চিমেও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে।