১০:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ, শিক্ষক গ্রেপ্তার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:০৭:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 28

কুমিল্লার ব্রা‏হ্মণপাড়ায় একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসার ৯ বছর বয়সী এক ছাত্রকে বাসায় ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকারের (ধর্ষণের) অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই মাদ্রাসার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে।

গত শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনাটি ঘটেছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঘটনার পর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণের মামলা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষক হাফেজ নুর মোহাম্মদ (১৯) সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার বগাইয়া হাওর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কুমিল্লার ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলার আসাদনগর পূর্বপাড়া রওয়াদুতুল আলফা হাফেজিয়া ও এতিম খানার শিক্ষক।

গ্রেপ্তার হওয়া ওই শিক্ষককে রোববার দুপুরে কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৯ বছর বয়সী মাদ্রাসার ছাত্র ওই মাদ্রাসায় হাফেজিয়া শাখায় পড়াশোনা করতো। ওই মাদ্রাসায় হাফেজিয়া শাখায় শিক্ষকতা করতেন হাফেজ নুর মোহাম্মদ। গত শনিবার রাতে ওই শিক্ষক তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার (ধর্ষণ) করে। এ সময় ওই ছাত্রের চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে এ দৃশ্য দেখতে পায়।

তখন অভিযুক্তকে আটক করে ব্রা‏হ্মণপাড়া থানা পুলিশে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।

ওইদিন রাতেই ওই ছাত্রের পিতা বাদী হয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/০৩) এর ৯(১) ধারায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ওই শিক্ষককে রোববার দুপুরে কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

ব্রা‏হ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, ঘটনাটি খুবই ন্যাক্কারজনক। শিশুটিকে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। শিশুর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন দৌড়ে গিয়ে তাকে আটক করে রেখেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তার শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

Tag :
About Author Information

৫০০ টাকার জন্য শিশুকে ব্রহ্মপুত্রে ফেলে দিলো কিশোর।

মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ, শিক্ষক গ্রেপ্তার

Update Time : ০৮:০৭:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২

কুমিল্লার ব্রা‏হ্মণপাড়ায় একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসার ৯ বছর বয়সী এক ছাত্রকে বাসায় ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকারের (ধর্ষণের) অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই মাদ্রাসার শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে।

গত শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনাটি ঘটেছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঘটনার পর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণের মামলা হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষক হাফেজ নুর মোহাম্মদ (১৯) সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার বগাইয়া হাওর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কুমিল্লার ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলার আসাদনগর পূর্বপাড়া রওয়াদুতুল আলফা হাফেজিয়া ও এতিম খানার শিক্ষক।

গ্রেপ্তার হওয়া ওই শিক্ষককে রোববার দুপুরে কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৯ বছর বয়সী মাদ্রাসার ছাত্র ওই মাদ্রাসায় হাফেজিয়া শাখায় পড়াশোনা করতো। ওই মাদ্রাসায় হাফেজিয়া শাখায় শিক্ষকতা করতেন হাফেজ নুর মোহাম্মদ। গত শনিবার রাতে ওই শিক্ষক তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার (ধর্ষণ) করে। এ সময় ওই ছাত্রের চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে এ দৃশ্য দেখতে পায়।

তখন অভিযুক্তকে আটক করে ব্রা‏হ্মণপাড়া থানা পুলিশে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।

ওইদিন রাতেই ওই ছাত্রের পিতা বাদী হয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/০৩) এর ৯(১) ধারায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ওই শিক্ষককে রোববার দুপুরে কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

ব্রা‏হ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, ঘটনাটি খুবই ন্যাক্কারজনক। শিশুটিকে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। শিশুর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন দৌড়ে গিয়ে তাকে আটক করে রেখেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তার শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।