০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের জইশ কমান্ডার রহিম পাকিস্তানে নিহত

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৩১:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩
  • 24

১৪ নবেম্বর, ইন্ডিয়া টিভি : তিনি হলেন জইশ কম্যান্ডার মৌলানা রহিম উল্লা তারিক। করাচির একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মৌলানা তারিককে খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করে অজ্ঞাতপরিচয় দু’জন আততায়ী। তারা তিনবার গুলি করার পর স্থান ত্যাগ করেছে বলে জানিয়েছে । পাকিস্তান এরি নিউজের উদ্ধৃতি দিয়ে ইন্ডিয়া টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমাঞ্চীয় পুলিশের সিনিয়র সুপারিন্টেনডেন্ট এই হত্যাকে ‘টার্গেটেড কিলিং’ বলে উল্লেখ করেছেন। ফরেনসিক দল রহিম উল্লা তারিকের মোবাইল ফোন ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রি উদ্ধার করেছে। রহিম উল্লার পরিবার শত্রুতামূলক হত্যার বিষয়টি প্রত্যাখান করেছে।

দি ওয়ালের প্রতিবেদনে পাকিস্তানের পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, করাচির ওরাঙ্গি টাউন এলাকায় এক সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন মৌলানা তারিক। সেই সময়ই মৌলানাকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি ছুটে আসে। মঞ্চেই লুটিয়ে পড়েন জইশ নেতা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই সভায় কয়েক হাজার মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। ভিড়ের মধ্য থেকেই গুলি চালানো হয়। খুব কাছ থেকে মৌলানাকে গুলি করা হয়।

ঘটনার পরেই সভায় হট্টগোল শুরু হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মৌলানাকে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কয়েকদিন আগেই জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-জব্বরের প্রতিষ্ঠাতা দাউদ মালিকও মারা যায় পাকিস্তানে। পাকিস্তান পুলিশের দাবি, দাউদ মালিককে মারতেই পরিকল্পিত ভাবে এই হামলা চালানো হয়েছিল। এই দাউদ মালিকও ছিল মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ।

পাকিস্তান সরকারের দাবি, মৌলানা তারিককে খুন করার পিছনে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা র’-এর হাত আছে। সম্প্রতি কানাডায় খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের খুনেও ভারতীয় এজেন্টদের হাত ছিল বলে দাবি করে কানাডা পুলিশ।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ: আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ভারতের জইশ কমান্ডার রহিম পাকিস্তানে নিহত

Update Time : ০১:৩১:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

১৪ নবেম্বর, ইন্ডিয়া টিভি : তিনি হলেন জইশ কম্যান্ডার মৌলানা রহিম উল্লা তারিক। করাচির একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মৌলানা তারিককে খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করে অজ্ঞাতপরিচয় দু’জন আততায়ী। তারা তিনবার গুলি করার পর স্থান ত্যাগ করেছে বলে জানিয়েছে । পাকিস্তান এরি নিউজের উদ্ধৃতি দিয়ে ইন্ডিয়া টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমাঞ্চীয় পুলিশের সিনিয়র সুপারিন্টেনডেন্ট এই হত্যাকে ‘টার্গেটেড কিলিং’ বলে উল্লেখ করেছেন। ফরেনসিক দল রহিম উল্লা তারিকের মোবাইল ফোন ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রি উদ্ধার করেছে। রহিম উল্লার পরিবার শত্রুতামূলক হত্যার বিষয়টি প্রত্যাখান করেছে।

দি ওয়ালের প্রতিবেদনে পাকিস্তানের পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, করাচির ওরাঙ্গি টাউন এলাকায় এক সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন মৌলানা তারিক। সেই সময়ই মৌলানাকে লক্ষ্য করে পরপর গুলি ছুটে আসে। মঞ্চেই লুটিয়ে পড়েন জইশ নেতা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই সভায় কয়েক হাজার মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। ভিড়ের মধ্য থেকেই গুলি চালানো হয়। খুব কাছ থেকে মৌলানাকে গুলি করা হয়।

ঘটনার পরেই সভায় হট্টগোল শুরু হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মৌলানাকে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কয়েকদিন আগেই জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-জব্বরের প্রতিষ্ঠাতা দাউদ মালিকও মারা যায় পাকিস্তানে। পাকিস্তান পুলিশের দাবি, দাউদ মালিককে মারতেই পরিকল্পিত ভাবে এই হামলা চালানো হয়েছিল। এই দাউদ মালিকও ছিল মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ।

পাকিস্তান সরকারের দাবি, মৌলানা তারিককে খুন করার পিছনে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা র’-এর হাত আছে। সম্প্রতি কানাডায় খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের খুনেও ভারতীয় এজেন্টদের হাত ছিল বলে দাবি করে কানাডা পুলিশ।