০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেনজির আহমেদের নাম অন্তর্ভুক্তিতে দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন : মির্জা ফখরুল

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:২৩:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২২
  • 54

জাতিসংঘের পুলিশ প্রধানদের সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদের নাম অন্তর্ভুক্তিতে দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ‘অপরিনামদর্শী ফ্যাসিবাদী’ অভিহিত করে বলেন, সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘকে যে ডেলিগেশসের তালিকা প্রদান করে সেখানে ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করার লক্ষ্যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গুম, খুন, বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ডের মতো ভয়ঙ্কর মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদেরকে বৈধ্যতা প্রদানের চেষ্টা করেছে। জাতিসংঘের প্রতিনিধি হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত এই অপরাধীকে প্রতিনিধি দলের যুক্ত করার মধ্য দিয়ে তারা প্রমাণ করলো বিশ্ববিবেক ও মতামতকে তোয়াক্কা না করে তারা তাদের হিংস্র মানবতাবিরোধী অপতৎপরতা চালিয়ে যাবে। সরকারের এই অপরিনামদর্শী ফ্যাসিবাদী সিদ্ধান্তের দায়-দায়িত্ব কেবলমাত্র সরকারকেই বহন করতে হবে।

গতকাল শনিবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বেনজির আহমেদের ভিসা পাওয়ার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, পুলিশ প্রধান বেনজির আহমেদকে যুক্তরাষ্ট্রে শর্ত সাপেক্ষে ভিসা প্রদান করায় জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জাতিসংঘের ১৯৪৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি শুধুমাত্র জাতিংঘের সুনির্দিষ্ট উক্ত সম্মেলনে যোগ দিতে পারবেন এবং তার অবস্থান সীমিত থাকবে জাতিসংঘ প্রাঙ্গনে। আমরা মনে করি, এই ধরনের শর্তসাপেক্ষে ভিসা প্রদান বাংলাদেশের জন্য অবমাননাকর। সরকারের এই ধরনের দায়-দায়িত্বহীন উদ্ধর্তপূর্ণ আচরণের কারণে আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে ঝুঁঁকির মধ্যে ফেলেছে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশের আইন অনুযায়ী একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদেরকে চিহ্নিত করেছে যারা ক্ষমতাসীনদের পক্ষে থেকে এসব মানবাধিকার বিরোধী অপতৎপরতা চালাচ্ছে এবং সেই অভিযোগেই র‌্যাবের উপর এবং র‌্যাব ও পুলিশের কয়েকজন ব্যক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ, ভিসা বাতিল ও তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।

সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ে বিএনপির চলমান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হামলার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন পর্যন্ত ৫০টির অধিক স্থানে হামলা হয়েছে, আহত হয়েছে প্রায় তিন শতাধিক ও গ্রেফতার হয়েছে প্রায় দুই শতাধিক। ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে প্রায় ২০টার মতো জায়গায়, আসামী করা হয়েছে প্রায় দুই হাজার মানুষকে এবং মামলা করা হয়েছে ১৫টার উপরে। এই হামলার পর বিএনপি কী আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, প্রশ্নই উঠে না। বিএনপি তো আন্দোলন শুরুই করেছে, আমাদের লক্ষ্য একটাই এই ভয়াবহ দানবীয় শক্তিকে যারা ক্ষমতায় বসে আছে এদেরকে সরানো এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাসেলেটের যে রিপোর্ট দেয়া হয়েছে তাতে এমন কিছু বলা হয়নি যে বাংলাদেশ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর এহেন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) অপব্যাখ্যা দিয়েছেন এবং সত্যের অপলাপ করেছেন। ইউএস হিউম্যান রাইটসের রিপোর্টে আজকে না পর পর গত চার-পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো উঠে আসছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার রিপোর্টেও তা উঠে এসেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিশেল ব্যাসেলেটের সংবাদ সম্মেলনে পরিস্কার করে সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে যে, মানবাধিকার লঙ্ঘন চলছে এবং এটাও বলা হয়েছে যে, এভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন যদি চলতে থাকে এবং এর সঙ্গে যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কেউ জড়িত থাকেন সে বিষয়টা তারা উল্লেখ করেছেন। তাহলে সে ব্যাপারেও সেটাকে দেখার জন্য দেখার জন্য একটা সিষ্টেম তৈরি করা উচিত। সব শেষে গুরুত্বপূর্ণ যে কথা যেটা বলেছেন, এটার জন্যে একটা সম্পূর্ণ স্বাধীন সংস্থা তৈরি করতে হবে যারা স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো তদন্ত করবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার বাংলাদেশের বিষয়ে বাংলাদেশে অবস্থানকালে পরিস্কার করে বক্তব্য দিয়ে গেছেন। উনি যে প্রেস কনফারেন্স করেছেন সেখানে পরিস্কারভাবে বলে গেছেন বাংলাদেশে কোথায় অবস্থান করছে। উনি লাস্টে যেটা বলেছেন, এই অবস্থা থেকে মুক্ত হতে গেলে একটা স্বচ্ছ, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত করার প্রয়োজনীয়তা আছে। উনি তদন্তের প্রস্তাব দিয়ে গেছেন এবং প্রয়োজনে জাতিসংঘের ওয়ার্কি গ্রুপ এই তদন্তে সহায়তা করবে-এটাও বলে গেছেন। তারপরেও যদি এদের (সরকার) মাথায় এই বিষয়টা না ঢুকে তাহলে তাদের মাথা ড্রিল করার ছাড়া উপায় নাই। ড্রিল করে ঢুকাতে হবে তাহলে এটা ঢুকবে না-আমি বলছি।

সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান উপস্থিত ছিলেন। এ সময়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শায়রুল কবির খান ও চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের শামসুদ্দিন দিদার উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ: আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বেনজির আহমেদের নাম অন্তর্ভুক্তিতে দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন : মির্জা ফখরুল

Update Time : ০২:২৩:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২২

জাতিসংঘের পুলিশ প্রধানদের সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদের নাম অন্তর্ভুক্তিতে দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ‘অপরিনামদর্শী ফ্যাসিবাদী’ অভিহিত করে বলেন, সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘকে যে ডেলিগেশসের তালিকা প্রদান করে সেখানে ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুন্ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করার লক্ষ্যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গুম, খুন, বিচারবর্হিভূত হত্যাকাণ্ডের মতো ভয়ঙ্কর মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদেরকে বৈধ্যতা প্রদানের চেষ্টা করেছে। জাতিসংঘের প্রতিনিধি হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে চিহ্নিত এই অপরাধীকে প্রতিনিধি দলের যুক্ত করার মধ্য দিয়ে তারা প্রমাণ করলো বিশ্ববিবেক ও মতামতকে তোয়াক্কা না করে তারা তাদের হিংস্র মানবতাবিরোধী অপতৎপরতা চালিয়ে যাবে। সরকারের এই অপরিনামদর্শী ফ্যাসিবাদী সিদ্ধান্তের দায়-দায়িত্ব কেবলমাত্র সরকারকেই বহন করতে হবে।

গতকাল শনিবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বেনজির আহমেদের ভিসা পাওয়ার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, পুলিশ প্রধান বেনজির আহমেদকে যুক্তরাষ্ট্রে শর্ত সাপেক্ষে ভিসা প্রদান করায় জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জাতিসংঘের ১৯৪৭ সালের চুক্তি অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি শুধুমাত্র জাতিংঘের সুনির্দিষ্ট উক্ত সম্মেলনে যোগ দিতে পারবেন এবং তার অবস্থান সীমিত থাকবে জাতিসংঘ প্রাঙ্গনে। আমরা মনে করি, এই ধরনের শর্তসাপেক্ষে ভিসা প্রদান বাংলাদেশের জন্য অবমাননাকর। সরকারের এই ধরনের দায়-দায়িত্বহীন উদ্ধর্তপূর্ণ আচরণের কারণে আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে ঝুঁঁকির মধ্যে ফেলেছে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশের আইন অনুযায়ী একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদেরকে চিহ্নিত করেছে যারা ক্ষমতাসীনদের পক্ষে থেকে এসব মানবাধিকার বিরোধী অপতৎপরতা চালাচ্ছে এবং সেই অভিযোগেই র‌্যাবের উপর এবং র‌্যাব ও পুলিশের কয়েকজন ব্যক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ, ভিসা বাতিল ও তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে।

সারাদেশে উপজেলা পর্যায়ে বিএনপির চলমান বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হামলার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন পর্যন্ত ৫০টির অধিক স্থানে হামলা হয়েছে, আহত হয়েছে প্রায় তিন শতাধিক ও গ্রেফতার হয়েছে প্রায় দুই শতাধিক। ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে প্রায় ২০টার মতো জায়গায়, আসামী করা হয়েছে প্রায় দুই হাজার মানুষকে এবং মামলা করা হয়েছে ১৫টার উপরে। এই হামলার পর বিএনপি কী আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, প্রশ্নই উঠে না। বিএনপি তো আন্দোলন শুরুই করেছে, আমাদের লক্ষ্য একটাই এই ভয়াবহ দানবীয় শক্তিকে যারা ক্ষমতায় বসে আছে এদেরকে সরানো এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাসেলেটের যে রিপোর্ট দেয়া হয়েছে তাতে এমন কিছু বলা হয়নি যে বাংলাদেশ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর এহেন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) অপব্যাখ্যা দিয়েছেন এবং সত্যের অপলাপ করেছেন। ইউএস হিউম্যান রাইটসের রিপোর্টে আজকে না পর পর গত চার-পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো উঠে আসছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার রিপোর্টেও তা উঠে এসেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিশেল ব্যাসেলেটের সংবাদ সম্মেলনে পরিস্কার করে সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে যে, মানবাধিকার লঙ্ঘন চলছে এবং এটাও বলা হয়েছে যে, এভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন যদি চলতে থাকে এবং এর সঙ্গে যদি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কেউ জড়িত থাকেন সে বিষয়টা তারা উল্লেখ করেছেন। তাহলে সে ব্যাপারেও সেটাকে দেখার জন্য দেখার জন্য একটা সিষ্টেম তৈরি করা উচিত। সব শেষে গুরুত্বপূর্ণ যে কথা যেটা বলেছেন, এটার জন্যে একটা সম্পূর্ণ স্বাধীন সংস্থা তৈরি করতে হবে যারা স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো তদন্ত করবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার বাংলাদেশের বিষয়ে বাংলাদেশে অবস্থানকালে পরিস্কার করে বক্তব্য দিয়ে গেছেন। উনি যে প্রেস কনফারেন্স করেছেন সেখানে পরিস্কারভাবে বলে গেছেন বাংলাদেশে কোথায় অবস্থান করছে। উনি লাস্টে যেটা বলেছেন, এই অবস্থা থেকে মুক্ত হতে গেলে একটা স্বচ্ছ, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত করার প্রয়োজনীয়তা আছে। উনি তদন্তের প্রস্তাব দিয়ে গেছেন এবং প্রয়োজনে জাতিসংঘের ওয়ার্কি গ্রুপ এই তদন্তে সহায়তা করবে-এটাও বলে গেছেন। তারপরেও যদি এদের (সরকার) মাথায় এই বিষয়টা না ঢুকে তাহলে তাদের মাথা ড্রিল করার ছাড়া উপায় নাই। ড্রিল করে ঢুকাতে হবে তাহলে এটা ঢুকবে না-আমি বলছি।

সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান উপস্থিত ছিলেন। এ সময়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শায়রুল কবির খান ও চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের শামসুদ্দিন দিদার উপস্থিত ছিলেন।