০১:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি ভারতে গিয়ে দেশের কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলো : তথ্যমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:২০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 23

সাংবাদিকদের জন্য নতুন আইন হচ্ছে না

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপিই ভারতে গিয়ে দেশের কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলো, ভারত থেকে যা আদায় সেটি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাই করেছেন।
তিনি আজ দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘গতকাল মির্জা ফখরুল সাহেব প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে যা বলেছেন সেটি বিএনপি এবং বেগম খালেদা জিয়ার বেলায় প্রযোজ্য। আপনাদের মনে আছে, বেগম খালেদা জিয়া ভারত সফর থেকে আসার পর তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে কি কথা হয়েছে। তখন বেগম জিয়া বলেছিলেন- আল্লাহ আমি তো ওটা ভুলেই গিয়েছিলাম। যাদের নেত্রী ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যার কথা বলতে ভুলে যায়, তারাই সবসময় ভারতকে সব দিয়েছে, কিছু আদায় করতে পারে নাই।’
ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকারের সাথে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার, রক্তের অক্ষরে লেখা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আমাদের দু’দেশের সম্পর্ক ন্যায্যতার ভিত্তিতে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। আমাদের সরকার ভারত থেকে অনেক কিছু আদায় করেছে। প্রধানমন্ত্রী পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিচালনার প্রথমবার তামাক জাতীয় পণ্যসহ মাত্র ২০টি পণ্য বাদে সকল পণ্যের ওপর শুল্কমুক্ত রপ্তানি আদায় করেছেন।’
তথ্যমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে যে মৈত্রী চুক্তি করেছিলেন সেটির অধীনেই কিন্তু আমাদের ছিটমহলগুলো আমাদেরকে হস্তান্তর করার কথা ছিলো। মাঝখানে বিএনপি কয়েক দফা ক্ষমতায় ছিলো, এরশাদ সাহেব ক্ষমতায় ছিলো, জরুরি সরকার ক্ষমতায় ছিলো। কিন্তু কেউ এই ছিটমহলগুলোর অধিকার আদায় করতে পারেনি। ছিটমহলে লাখ লাখ মানুষের কোনো দেশের পরিচয় ছিলো না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারই ভারতের সাথে আলাপ আলোচনা করে চুক্তি হওয়ার বহু দশক পরে সেটি আদায় করেছে, ছিটমহলগুলো আমাদের অধিকারে এসেছে, আমাদের দেশের আয়তন বেড়েছে। ভারতের সাথে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে আমরা সমুদ্রসীমা জয়লাভ করেছি। সুতরাং ভারতের কাছ থেকে যা কিছু আদায় সেটি আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে, জননেত্রী শেখ হাসিনাই করেছেন। আর বিএনপি ভারতকে সব দিয়ে এসেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভারত সফরে যাননি সে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী যখন বিদেশে যান তখন সবসময় সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সফরসঙ্গী হন না। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছুটা অসুস্থ, সে কারণেই তিনি যাননি। প্রশ্ন করতে পারেন তাহলে উনি গতকাল অফিসে গেলেন কিভাবে? কিছুটা অসুস্থ থাকলে অফিস করা যায় কিন্তু এরকম হাই লেভেল ভিজিট করা সম্ভব নয়।’
বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ‘সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে’ এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘অগণতান্ত্রিকভাবে বন্দুকের নল থেকে বিএনপি’র উৎপত্তি। জিয়াউর রহমান বন্দুকের নল উঁচিয়ে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে যে দল প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেই দল যখন গণতন্ত্রের কথা বলে তখন মানুষ হাসে, গাধাও হাসে।’

Tag :
About Author Information

৫০০ টাকার জন্য শিশুকে ব্রহ্মপুত্রে ফেলে দিলো কিশোর।

বিএনপি ভারতে গিয়ে দেশের কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলো : তথ্যমন্ত্রী

Update Time : ০৬:২০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপিই ভারতে গিয়ে দেশের কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলো, ভারত থেকে যা আদায় সেটি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাই করেছেন।
তিনি আজ দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘গতকাল মির্জা ফখরুল সাহেব প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে যা বলেছেন সেটি বিএনপি এবং বেগম খালেদা জিয়ার বেলায় প্রযোজ্য। আপনাদের মনে আছে, বেগম খালেদা জিয়া ভারত সফর থেকে আসার পর তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে কি কথা হয়েছে। তখন বেগম জিয়া বলেছিলেন- আল্লাহ আমি তো ওটা ভুলেই গিয়েছিলাম। যাদের নেত্রী ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যার কথা বলতে ভুলে যায়, তারাই সবসময় ভারতকে সব দিয়েছে, কিছু আদায় করতে পারে নাই।’
ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকারের সাথে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার, রক্তের অক্ষরে লেখা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আমাদের দু’দেশের সম্পর্ক ন্যায্যতার ভিত্তিতে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। আমাদের সরকার ভারত থেকে অনেক কিছু আদায় করেছে। প্রধানমন্ত্রী পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিচালনার প্রথমবার তামাক জাতীয় পণ্যসহ মাত্র ২০টি পণ্য বাদে সকল পণ্যের ওপর শুল্কমুক্ত রপ্তানি আদায় করেছেন।’
তথ্যমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে যে মৈত্রী চুক্তি করেছিলেন সেটির অধীনেই কিন্তু আমাদের ছিটমহলগুলো আমাদেরকে হস্তান্তর করার কথা ছিলো। মাঝখানে বিএনপি কয়েক দফা ক্ষমতায় ছিলো, এরশাদ সাহেব ক্ষমতায় ছিলো, জরুরি সরকার ক্ষমতায় ছিলো। কিন্তু কেউ এই ছিটমহলগুলোর অধিকার আদায় করতে পারেনি। ছিটমহলে লাখ লাখ মানুষের কোনো দেশের পরিচয় ছিলো না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারই ভারতের সাথে আলাপ আলোচনা করে চুক্তি হওয়ার বহু দশক পরে সেটি আদায় করেছে, ছিটমহলগুলো আমাদের অধিকারে এসেছে, আমাদের দেশের আয়তন বেড়েছে। ভারতের সাথে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে আমরা সমুদ্রসীমা জয়লাভ করেছি। সুতরাং ভারতের কাছ থেকে যা কিছু আদায় সেটি আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে, জননেত্রী শেখ হাসিনাই করেছেন। আর বিএনপি ভারতকে সব দিয়ে এসেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভারত সফরে যাননি সে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী যখন বিদেশে যান তখন সবসময় সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সফরসঙ্গী হন না। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছুটা অসুস্থ, সে কারণেই তিনি যাননি। প্রশ্ন করতে পারেন তাহলে উনি গতকাল অফিসে গেলেন কিভাবে? কিছুটা অসুস্থ থাকলে অফিস করা যায় কিন্তু এরকম হাই লেভেল ভিজিট করা সম্ভব নয়।’
বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ‘সরকারকে হটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে’ এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘অগণতান্ত্রিকভাবে বন্দুকের নল থেকে বিএনপি’র উৎপত্তি। জিয়াউর রহমান বন্দুকের নল উঁচিয়ে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে যে দল প্রতিষ্ঠা করেছেন, সেই দল যখন গণতন্ত্রের কথা বলে তখন মানুষ হাসে, গাধাও হাসে।’