১১:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন

বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গতকাল মঙ্গলবার ইইউর পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত রোববার বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সংসদীয় নির্বাচনের ফলাফলকে আমলে নিয়েছে। তারা বলছে, ইইউ-বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারত্ব গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের মূল্যবোধের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।

তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় অনেক দল অংশ না নেওয়ায় ইইউ দুঃখ প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরেও বলা হয়, ইইউ তার নির্বাচন বিশেষজ্ঞ মিশনের আসন্ন প্রতিবেদন ও সুপারিশগুলো প্রকাশ করার জন্য কর্তৃপক্ষের সমঝোতাকে স্বাগত জানাই। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার চেতনায় ‘নির্বাচনী অনিয়মের’ পূর্ণ তদন্ত যথাসময়ে নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই।

বিজ্ঞপ্তিতে ইইউ নির্বাচনকালে সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছে।

ইউরোপীয় ২৭টি দেশের এই জোট বলছে, আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, যথাযথ প্রক্রিয়া ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে সম্মান করা ও সমুন্নত রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে বিরোধী ব্যক্তিদের আটক অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজনৈতিক বহুত্ববাদ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানকে সম্মান করতে এবং শান্তিপূর্ণ সংলাপে সম্পৃক্ত হতে ইইউ সব অংশীদারকে জোরালোভাবে উৎসাহিত করে। গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক দলগুলোর ‘সেন্সরশিপ’ বা প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ গুরুত্বপূর্ণ।

ইইউ জানায়, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ‘জিএসপি প্লাস’ অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা পাওয়াসহ রাজনৈতিক, মানবাধিকার, বাণিজ্য ও উন্নয়ন ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ককে চিহ্নিত করে এমন অগ্রাধিকার নিয়ে তারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ: আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন

Update Time : ১২:৪০:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গতকাল মঙ্গলবার ইইউর পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত রোববার বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত সংসদীয় নির্বাচনের ফলাফলকে আমলে নিয়েছে। তারা বলছে, ইইউ-বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারত্ব গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের মূল্যবোধের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।

তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় অনেক দল অংশ না নেওয়ায় ইইউ দুঃখ প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরেও বলা হয়, ইইউ তার নির্বাচন বিশেষজ্ঞ মিশনের আসন্ন প্রতিবেদন ও সুপারিশগুলো প্রকাশ করার জন্য কর্তৃপক্ষের সমঝোতাকে স্বাগত জানাই। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার চেতনায় ‘নির্বাচনী অনিয়মের’ পূর্ণ তদন্ত যথাসময়ে নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই।

বিজ্ঞপ্তিতে ইইউ নির্বাচনকালে সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছে।

ইউরোপীয় ২৭টি দেশের এই জোট বলছে, আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, যথাযথ প্রক্রিয়া ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে সম্মান করা ও সমুন্নত রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে বিরোধী ব্যক্তিদের আটক অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজনৈতিক বহুত্ববাদ, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানকে সম্মান করতে এবং শান্তিপূর্ণ সংলাপে সম্পৃক্ত হতে ইইউ সব অংশীদারকে জোরালোভাবে উৎসাহিত করে। গণমাধ্যম, নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক দলগুলোর ‘সেন্সরশিপ’ বা প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ গুরুত্বপূর্ণ।

ইইউ জানায়, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ‘জিএসপি প্লাস’ অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য সুবিধা পাওয়াসহ রাজনৈতিক, মানবাধিকার, বাণিজ্য ও উন্নয়ন ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ককে চিহ্নিত করে এমন অগ্রাধিকার নিয়ে তারা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।