০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট বানিয়ে শিক্ষিকা বহিষ্কার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৭:২৬:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩
  • 30

এ বছরের শুরুর দিকে প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট তৈরির কারণে স্কুল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন ব্রিয়ানা কোপেজ। এরপর একই পথ অনুসরণ করলেন আরেক শিক্ষিকা মেগান গাইটার। তিনি ওই একই স্কুল সেইন্ট ক্লেয়ার হাই স্কুল, মিসৌরিতে চার বছর যাবৎ শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। পাশাপাশি তিনি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কনটেন্ট তেরি করতেন। এক পর্যায়ে তার প্রাপ্তবয়স্কদের সাবস্ক্রিপশন সার্ভিস প্রকাশ হয়ে যায়। এ খবর দিয়েছে বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ। বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি স্বীকার করেন সব। তিনি বলেন, তার স্টুডেন্ট লোনের পরিমাণটা অনেক বেশি হয়ে গিয়েছিল। তা শোধ করার জন্য নতুন কোনো পন্থা খুঁজছিলেন। তাই বেছে নেন এই পথ।

এনবিসিকে তিনি বলেছেন, ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর অনেক কেঁদেছি।

মনে হচ্ছিল আমার আমিত্বকে হারিয়ে ফেলেছি। কারণ, আমি জানি এর বেদনা। তবে সত্যিকারভাবে আমি এটা করতে চাইনি। আমি এসব ছেড়ে দেব। সব অর্থ ফেরত দিয়ে দেব। আমি আর প্রাপ্তবয়স্কদের ওই সাইটে যোগ দিই নি। কারণ, আমি আমার পেশাকে ভালবাসি। আমি বাচ্চাদের শিক্ষা দিতে খুব পছন্দ করি। দ্বিতীয় একটি কাজ খুঁজে পাওয়ার চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু যখন দেখলাম কোচিং এবং টিচিং নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকি, তাতে তা সম্ভব না। সব কাজ শেষ করে ৬টার পরে বাসায় ফিরতে হয়। একশ থেকে দেড়শ শিক্ষার্থীর খাতা পরীক্ষা করে তাদেরকে গ্রেড দিতে হয়। ফলে আমার পক্ষে দ্বিতীয় কাজ করা সম্ভব হয়নি।
গাইটার বলেন, তিনি প্রাপ্তবয়স্কদের একটি অ্যাপ ব্যবহার করেছেন তিন মাস। তবে কখনো নিজের মুখ দেখাননি। এতে তিনি ভিন্ন নামে একাউন্ট খুলেছিলেন। মধ্য অক্টোবরে হ্যালোইনের ছবি পোস্ট করে তা কোপেজকে ট্যাগ করে দেন। তখনই ধরা পড়ে যান গাইটার। তিনি বলেন, ওই ছবি পোস্ট দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাসেজ পাওয়া শুরু করি। শিক্ষার্থীরা আমাকে চিঠি পাঠাতে থাকে। আমার দরজায় নক করে বলতে থাকে, তারা গোপন বিষয় জেনে গেছে। ফলে তিনি ধরা পড়ে যান। স্কুলে তার শেষ দিনে দরকারি জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। গাইটার প্রাপ্তবয়স্কদের ওই অ্যাপ ব্যবহার করে দুই সপ্তাহে উপার্জন করেছেন ৫৩,১০০ পাউন্ড।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ: আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট বানিয়ে শিক্ষিকা বহিষ্কার

Update Time : ০৭:২৬:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩

এ বছরের শুরুর দিকে প্রাপ্তবয়স্কদের কনটেন্ট তৈরির কারণে স্কুল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন ব্রিয়ানা কোপেজ। এরপর একই পথ অনুসরণ করলেন আরেক শিক্ষিকা মেগান গাইটার। তিনি ওই একই স্কুল সেইন্ট ক্লেয়ার হাই স্কুল, মিসৌরিতে চার বছর যাবৎ শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। পাশাপাশি তিনি প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কনটেন্ট তেরি করতেন। এক পর্যায়ে তার প্রাপ্তবয়স্কদের সাবস্ক্রিপশন সার্ভিস প্রকাশ হয়ে যায়। এ খবর দিয়েছে বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ। বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি স্বীকার করেন সব। তিনি বলেন, তার স্টুডেন্ট লোনের পরিমাণটা অনেক বেশি হয়ে গিয়েছিল। তা শোধ করার জন্য নতুন কোনো পন্থা খুঁজছিলেন। তাই বেছে নেন এই পথ।

এনবিসিকে তিনি বলেছেন, ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর অনেক কেঁদেছি।

মনে হচ্ছিল আমার আমিত্বকে হারিয়ে ফেলেছি। কারণ, আমি জানি এর বেদনা। তবে সত্যিকারভাবে আমি এটা করতে চাইনি। আমি এসব ছেড়ে দেব। সব অর্থ ফেরত দিয়ে দেব। আমি আর প্রাপ্তবয়স্কদের ওই সাইটে যোগ দিই নি। কারণ, আমি আমার পেশাকে ভালবাসি। আমি বাচ্চাদের শিক্ষা দিতে খুব পছন্দ করি। দ্বিতীয় একটি কাজ খুঁজে পাওয়ার চিন্তা করেছিলাম। কিন্তু যখন দেখলাম কোচিং এবং টিচিং নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকি, তাতে তা সম্ভব না। সব কাজ শেষ করে ৬টার পরে বাসায় ফিরতে হয়। একশ থেকে দেড়শ শিক্ষার্থীর খাতা পরীক্ষা করে তাদেরকে গ্রেড দিতে হয়। ফলে আমার পক্ষে দ্বিতীয় কাজ করা সম্ভব হয়নি।
গাইটার বলেন, তিনি প্রাপ্তবয়স্কদের একটি অ্যাপ ব্যবহার করেছেন তিন মাস। তবে কখনো নিজের মুখ দেখাননি। এতে তিনি ভিন্ন নামে একাউন্ট খুলেছিলেন। মধ্য অক্টোবরে হ্যালোইনের ছবি পোস্ট করে তা কোপেজকে ট্যাগ করে দেন। তখনই ধরা পড়ে যান গাইটার। তিনি বলেন, ওই ছবি পোস্ট দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাসেজ পাওয়া শুরু করি। শিক্ষার্থীরা আমাকে চিঠি পাঠাতে থাকে। আমার দরজায় নক করে বলতে থাকে, তারা গোপন বিষয় জেনে গেছে। ফলে তিনি ধরা পড়ে যান। স্কুলে তার শেষ দিনে দরকারি জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। গাইটার প্রাপ্তবয়স্কদের ওই অ্যাপ ব্যবহার করে দুই সপ্তাহে উপার্জন করেছেন ৫৩,১০০ পাউন্ড।