০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রতিহিংসা ফুটে উঠেছে

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৪৭:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩
  • 25

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রতিহিংসা ফুটে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার বিকালে ভার্চ্যুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিহিংসা এবং জিঘাংসা চরিতার্থ করার হীন মনোবৃত্তি ফুটে উঠেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে তিনি হত্যা করতে চান। এজন্য একটির পর একটি মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশী রায়ে সাজা দিয়েছেন। জনগণের বিজয় অর্জনের পরে তারেক রহমান অচিরেই দেশে ফিরবেন।

তিনি বলেন, রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নরসিংদীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে যে হুংকার দিয়েছেন তা শুনে হতবাক এবং আতংকিত দেশের মানুষ। তিনি বলেছেন, ‘আরে ব্যাটা তোর যদি সাহস থাকে তাহলে বাংলাদেশে ফিরে আয়, আমরা একটু দেখি।’ গত ২রা নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বিএনপি নেতাদের জানোয়ার বলেছেন। রোববার তিনি আরো অনেক কথা বলেছেন যা কেবল মানসিক বিকারগ্রস্ত মানুষের পক্ষেই বলা সম্ভব। উনার বাক্যদূষণ’ ইদানীং প্রায় মহামারীর পর্যায়ে পৌঁছেছে। সকল রীতিনীতি, শিষ্টাচার, সুরুচি ও সভ্যতাকে তোয়াক্কা না করে লাগামছাড়া, উস্কানিমূলক, অসংলগ্ন ও ভারসাম্যহীন-জিঘাংসামূলক ভাষায় বক্তব্য রেখেছেন।
রিজভী বলেন, এটা কি কোন সভ্য দেশের সরকার প্রধানের মুখের ভাষা হতে পারে? মনে হয়েছে গলির সন্ত্রাসী মাস্তানের হুংকার।

বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য যে, এই ধরনের মানুষ এখন প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার দখল করে বসে আছেন। একজন প্রধানমন্ত্রীর কথা-বার্তায় শালীনতা থাকা বাঞ্ছনীয়। “তুই তোকারি’ আর গালিগালাজ করে নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করছেন তিনি। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এতো ক্ষমতা, সাহস ও আত্মম্ভরিতা। কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনলে তিনি আঁতকে উঠেন। বলতে চাই যদি সাহস থাকে সন্ত্রাসীদের মতো খিস্তি-খেউড় আর হুংকার বাদ দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। ভোটাররাই ফায়সালা করবে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ: আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রতিহিংসা ফুটে উঠেছে

Update Time : ১০:৪৭:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রতিহিংসা ফুটে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার বিকালে ভার্চ্যুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিহিংসা এবং জিঘাংসা চরিতার্থ করার হীন মনোবৃত্তি ফুটে উঠেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে তিনি হত্যা করতে চান। এজন্য একটির পর একটি মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশী রায়ে সাজা দিয়েছেন। জনগণের বিজয় অর্জনের পরে তারেক রহমান অচিরেই দেশে ফিরবেন।

তিনি বলেন, রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নরসিংদীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে যে হুংকার দিয়েছেন তা শুনে হতবাক এবং আতংকিত দেশের মানুষ। তিনি বলেছেন, ‘আরে ব্যাটা তোর যদি সাহস থাকে তাহলে বাংলাদেশে ফিরে আয়, আমরা একটু দেখি।’ গত ২রা নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বিএনপি নেতাদের জানোয়ার বলেছেন। রোববার তিনি আরো অনেক কথা বলেছেন যা কেবল মানসিক বিকারগ্রস্ত মানুষের পক্ষেই বলা সম্ভব। উনার বাক্যদূষণ’ ইদানীং প্রায় মহামারীর পর্যায়ে পৌঁছেছে। সকল রীতিনীতি, শিষ্টাচার, সুরুচি ও সভ্যতাকে তোয়াক্কা না করে লাগামছাড়া, উস্কানিমূলক, অসংলগ্ন ও ভারসাম্যহীন-জিঘাংসামূলক ভাষায় বক্তব্য রেখেছেন।
রিজভী বলেন, এটা কি কোন সভ্য দেশের সরকার প্রধানের মুখের ভাষা হতে পারে? মনে হয়েছে গলির সন্ত্রাসী মাস্তানের হুংকার।

বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য যে, এই ধরনের মানুষ এখন প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার দখল করে বসে আছেন। একজন প্রধানমন্ত্রীর কথা-বার্তায় শালীনতা থাকা বাঞ্ছনীয়। “তুই তোকারি’ আর গালিগালাজ করে নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করছেন তিনি। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এতো ক্ষমতা, সাহস ও আত্মম্ভরিতা। কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা শুনলে তিনি আঁতকে উঠেন। বলতে চাই যদি সাহস থাকে সন্ত্রাসীদের মতো খিস্তি-খেউড় আর হুংকার বাদ দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। ভোটাররাই ফায়সালা করবে।