গতকাল ২৭ নভেম্বর (রবিবার) নরওয়ে স্থানীয় সময় বিকেল ০৪:৪০ মিনিটে হোলভেট শহরের হোল মিউনিসিপালিটি থেকে জিয়ালো নিজ বাড়িতে ফেরার সময় হাজাফোস লিংক পয়েন্ট গাড়ীর নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পাশের বাইপাস রোডের বিপরীত দিক থেকে আসা অন্য একটি প্রাইভেট কারের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে নিয়ন্ত্রন হারানো গাড়ীতে থাকা বাংলাদেশী ফারহানা ইসলাম (৩৮) ও জেসিনা ফারাহ (১৪) দুজন আহত হন। গাড়ীর পেছনে থাকা ফারহানা ইসলামের ছোট মেয়ে জেসিকা ফারাহ (৬) তার নানীর কোলে বসা ছিলো। তারা সামান্য আহত হলেও আঘাত তেমন মারাত্মক ছিলো না। ফারহানা ইসলাম নিজেই গাড়ী ড্রাইভ করছিলেন।
অপরদিকে অন্য গাড়ির চালক ঘটনা স্থলে মারাত্মকভাবে আহত হলে হাসপাতালে নেবার পথে মারা যান। নিহত ব্যক্তির পরিচয় না পাওয়া গেলেও তিনি একজন পাকিস্তানী বলে জানা যায়। আহত দুজন সম্পর্কে মা ও মেয়ে।
এদিকে আহত দু’জনের মধ্যে জেসিনা ফারাহ অবস্থা খুব আশংকাজনক। বর্তমানে তাকে আইসিইউতে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে। জেসিনার বাবা জনাব সাইফুল ইসলাম আখন্দ তার ভ্যারিফাইড টুইটারে এক বার্তায় জানান, “আমার স্ত্রী ও আমার একমাত্র মেয়ে একটি গাড়ী এক্সিডেন্টে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমার মেয়েটি জীবন মরনের সন্ধিক্ষনে। আমার মেয়ে ও স্ত্রী’র জন্য সকলের দোয়া চাচ্ছি।”
জানা যায়, জনাব সাইফুল ইসলাম আখন্দ বাংলাদেশের ব্রাক্ষনবাড়িয়ার জেলার অধিবাসী। তিনি ২০০৫ সাল থেকে নরওয়েতে বসবাস করছেন। তার পিতা জনাব মোহসিন ইসলাম আখন্দ চট্টগ্রাম সরকারী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক। ২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়াতে সাইফুল ইসলামের একমাত্র বোন সাজিদা আখন্দ এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।