০২:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই কাউন্সিলরের হয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল দুই কিশোর

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:১৮:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 21

কাজল শেখ (বাঁয়ে) ও শরিফুল ইসলামছবি: সংগৃহীত

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি পরীক্ষার্থী পৌর কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের নেতা কাজল শেখ (৪৫) ও শরিফুল ইসলাম (৪৪)। কিন্তু তাঁদের হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল দুই কিশোর। ভ্রাম্যমাণ আদালত বিষয়টি হাতেনাতে ধরে ওই দুই কাউন্সিলরকে পরীক্ষার্থী হিসেবে বহিষ্কার করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার চর যশোহরদী ইউনিয়নের চাঁদহাট গ্রামে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। বেলা তিনটার দিকে এ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমাম রাজী। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় পরীক্ষায় ‘প্রক্সি’ দেওয়া ওই দুই কিশোরের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রের সচিবের কাছে ওই কেন্দ্রের তিন শিক্ষককে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে

ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের একটি কক্ষ থেকে শিক্ষকেরা বই নিয়ে ছোটাছুটি করতে থাকেন এবং কয়েকজন পরীক্ষার্থী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

বহিষ্কৃত কাজল শেখ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। শরিফুল ইসলাম একই পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। পাশাপাশি কাজল শেখ মুকসুদপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং শরিফুল ইসলাম ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ওই পরীক্ষাকেন্দ্রে নানা ধরনের অনিয়ম হচ্ছে, এ খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের একটি কক্ষ থেকে শিক্ষকেরা বই নিয়ে ছোটাছুটি করতে থাকেন এবং কয়েকজন পরীক্ষার্থী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় ১৬-১৭ বছর বয়সী দুই কিশোরকে পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে আসতে দেখা যায়।

ইউএনও ইমাম রাজী বলেন, ওই দুই কিশোরকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা জানায়, তারা নিজেরা পরীক্ষার্থী নয়, তারা একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তারা দুজন মুকসুদপুর পৌরসভার দুই কাউন্সিলরের হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল।

বহিষ্কারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পৌর কাউন্সিলর কাজল শেখ (৪৫)। তবে তিনি দাবি করেন, দেখে লেখার জন্য তাঁদের দুই কাউন্সিলরকে বহিষ্কার করা হয়। তাঁদের ছেলে বা ভাগনে তাদের হয়ে প্রক্সি পরীক্ষা দিচ্ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেরাই পরীক্ষা দিচ্ছিলাম।’

আরেক কাউন্সিলর মো. শরিফুল ইসলামও দাবি করেন, তিনি কাউকে দিয়ে প্রক্সি পরীক্ষা দেননি। তিনি নিজেই পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।

Tag :
About Author Information

৫০০ টাকার জন্য শিশুকে ব্রহ্মপুত্রে ফেলে দিলো কিশোর।

দুই কাউন্সিলরের হয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল দুই কিশোর

Update Time : ১১:১৮:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি পরীক্ষার্থী পৌর কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের নেতা কাজল শেখ (৪৫) ও শরিফুল ইসলাম (৪৪)। কিন্তু তাঁদের হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল দুই কিশোর। ভ্রাম্যমাণ আদালত বিষয়টি হাতেনাতে ধরে ওই দুই কাউন্সিলরকে পরীক্ষার্থী হিসেবে বহিষ্কার করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার চর যশোহরদী ইউনিয়নের চাঁদহাট গ্রামে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। বেলা তিনটার দিকে এ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমাম রাজী। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় পরীক্ষায় ‘প্রক্সি’ দেওয়া ওই দুই কিশোরের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রের সচিবের কাছে ওই কেন্দ্রের তিন শিক্ষককে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে

ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের একটি কক্ষ থেকে শিক্ষকেরা বই নিয়ে ছোটাছুটি করতে থাকেন এবং কয়েকজন পরীক্ষার্থী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

বহিষ্কৃত কাজল শেখ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। শরিফুল ইসলাম একই পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। পাশাপাশি কাজল শেখ মুকসুদপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং শরিফুল ইসলাম ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ওই পরীক্ষাকেন্দ্রে নানা ধরনের অনিয়ম হচ্ছে, এ খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের একটি কক্ষ থেকে শিক্ষকেরা বই নিয়ে ছোটাছুটি করতে থাকেন এবং কয়েকজন পরীক্ষার্থী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় ১৬-১৭ বছর বয়সী দুই কিশোরকে পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে আসতে দেখা যায়।

ইউএনও ইমাম রাজী বলেন, ওই দুই কিশোরকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা জানায়, তারা নিজেরা পরীক্ষার্থী নয়, তারা একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তারা দুজন মুকসুদপুর পৌরসভার দুই কাউন্সিলরের হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল।

বহিষ্কারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পৌর কাউন্সিলর কাজল শেখ (৪৫)। তবে তিনি দাবি করেন, দেখে লেখার জন্য তাঁদের দুই কাউন্সিলরকে বহিষ্কার করা হয়। তাঁদের ছেলে বা ভাগনে তাদের হয়ে প্রক্সি পরীক্ষা দিচ্ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেরাই পরীক্ষা দিচ্ছিলাম।’

আরেক কাউন্সিলর মো. শরিফুল ইসলামও দাবি করেন, তিনি কাউকে দিয়ে প্রক্সি পরীক্ষা দেননি। তিনি নিজেই পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।