১১:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দালালের সঙ্গে পাসপোর্ট অফিস এসেছিলেন রোহিঙ্গা তরুণী ,পুলিশের হাতে আটক

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:৪৭:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 25

ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বিদেশে যেতে চেয়েছিলেন এক রোহিঙ্গা তরুণী। এর জন্য চেষ্টা করছিলেন বাংলাদেশি পাসপোর্ট বানানোর। সেই লক্ষ্যে ধরেছিলেন এক দালালকেও। চেষ্টা করতে করতে দালালের সঙ্গে পাসপোর্ট অফিস পর্যন্তও এসেছিলেন ওই রোহিঙ্গা তরুণী। কিন্তু ঠিকই ধরা পড়েছেন পুলিশের হাতে।

রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তারা ওই রোহিঙ্গা তরুণীসহ এক দালালকে আটক করেন। পরে দালাল ও তরুণীকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন কর্মকর্তারা।

আটককৃত তরুণী নাম হুমায়রা (১৬)। বাবার নাম হামিদুল্লাহ। তার রোহিঙ্গা আইডি নম্বর ১৫৫২০১৭১২২৪১১৫৪৫৯। অন্যদিকে আটককৃত দালালের নাম আবু তাহের (২২)। তিনি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার গোয়াইলমারা গ্রামের বাসিন্দা।

মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাহিদ নেওয়াজ জানান, মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের চরচান্দহর গ্রামের বাসিন্দা পরিচয় দিয়ে এক তরুণী পাসপোর্টের আবেদন করেন। তাসনিম বেগম নামে, মো. খলিলুর রহমান পিতার না, জন্ম সনদ, বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র ও চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সনদপত্রও দেন ওই তরুণী। কিন্তু তার কথায় সন্দেহ দেখা দেয়। তার আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা করে দেখা যায় রোহিঙ্গা হিসেবে নিবন্ধিত ওই তরুণী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রোহিঙ্গা হিসেবে স্বীকার করার পর তাকে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশে দেওয়া হয়।

জানা যায়, পাসপোর্টের আবেদনে ওই নারী সিঙ্গাইরের চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল স্বাক্ষরিত একটি সনদ ও সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে করা জন্মসনদ জমা দেন।

জানতে চাইলে চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল জানান, আমার নামে একটা জাল সনদ দিয়েছে। ওই সনদে যে স্বাক্ষর রয়েছে সেটা আমার নয়। যে তারিখ দেয়া আছে ওই তারিখে আমি কোনো সনদ দেইনি।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি আব্দুর রউফ সরকার জানান, পাসপোর্ট অফিস থেকে মামলা হওয়ার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আপাতত তারা থানা হেফাজতেই আছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Tag :
About Author Information

৫০০ টাকার জন্য শিশুকে ব্রহ্মপুত্রে ফেলে দিলো কিশোর।

দালালের সঙ্গে পাসপোর্ট অফিস এসেছিলেন রোহিঙ্গা তরুণী ,পুলিশের হাতে আটক

Update Time : ১০:৪৭:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বিদেশে যেতে চেয়েছিলেন এক রোহিঙ্গা তরুণী। এর জন্য চেষ্টা করছিলেন বাংলাদেশি পাসপোর্ট বানানোর। সেই লক্ষ্যে ধরেছিলেন এক দালালকেও। চেষ্টা করতে করতে দালালের সঙ্গে পাসপোর্ট অফিস পর্যন্তও এসেছিলেন ওই রোহিঙ্গা তরুণী। কিন্তু ঠিকই ধরা পড়েছেন পুলিশের হাতে।

রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তারা ওই রোহিঙ্গা তরুণীসহ এক দালালকে আটক করেন। পরে দালাল ও তরুণীকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন কর্মকর্তারা।

আটককৃত তরুণী নাম হুমায়রা (১৬)। বাবার নাম হামিদুল্লাহ। তার রোহিঙ্গা আইডি নম্বর ১৫৫২০১৭১২২৪১১৫৪৫৯। অন্যদিকে আটককৃত দালালের নাম আবু তাহের (২২)। তিনি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার গোয়াইলমারা গ্রামের বাসিন্দা।

মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাহিদ নেওয়াজ জানান, মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের চরচান্দহর গ্রামের বাসিন্দা পরিচয় দিয়ে এক তরুণী পাসপোর্টের আবেদন করেন। তাসনিম বেগম নামে, মো. খলিলুর রহমান পিতার না, জন্ম সনদ, বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র ও চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সনদপত্রও দেন ওই তরুণী। কিন্তু তার কথায় সন্দেহ দেখা দেয়। তার আঙ্গুলের ছাপ পরীক্ষা করে দেখা যায় রোহিঙ্গা হিসেবে নিবন্ধিত ওই তরুণী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রোহিঙ্গা হিসেবে স্বীকার করার পর তাকে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশে দেওয়া হয়।

জানা যায়, পাসপোর্টের আবেদনে ওই নারী সিঙ্গাইরের চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল স্বাক্ষরিত একটি সনদ ও সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার সোনাতনী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে করা জন্মসনদ জমা দেন।

জানতে চাইলে চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল জানান, আমার নামে একটা জাল সনদ দিয়েছে। ওই সনদে যে স্বাক্ষর রয়েছে সেটা আমার নয়। যে তারিখ দেয়া আছে ওই তারিখে আমি কোনো সনদ দেইনি।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি আব্দুর রউফ সরকার জানান, পাসপোর্ট অফিস থেকে মামলা হওয়ার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আপাতত তারা থানা হেফাজতেই আছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।