০৯:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডেঙ্গুতে পুলিশের দুই সদস্যের মৃত্যুর পর বিশেষ সতর্কতা জারি

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ পুলিশের দুই সদস্যের মৃত্যুর পর বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে সংস্থাটির সদর দপ্তর।

বুধবার (১২ জুলাই) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি নাজমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এ সতর্কতা জারি করা হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, বর্তমানে ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু প্রকট আকার ধারণ করেছে।
ইতোমধ্যে দুজন পুলিশ সদস্য ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
অনেক পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রয়েছেন।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সচেতনতা সৃষ্টি ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ একান্ত জরুরি।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মনজুর হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে হবে। এ জন্য পুলিশের সব সদস্যকে সচেতন করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, পুলিশের স্থাপনাগুলো যেমন- পুলিশ লাইনস, থানা, ফাঁড়ি, ফোর্স ব্যারাক, ফোর্সের মেস, এমটি শেড, রিজার্ভ
অফিসসহ অন্যান্য সব স্থাপনায় নিয়মিতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভিযান পরিচালনা করা, পুলিশের সব স্থাপনায় পরিত্যক্ত ড্রাম,
পাত্র, ভাঙা হাড়ি-পাতিল, টিনের কৌটা ও বোতল জাতীয় জিনিসপত্র দ্রুত অপসারণপূর্বক ওই স্থাপনাগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
পানি জমতে পারে এমন স্থান বা বস্তু-যেমন ভবনের ছাদ, ড্রেন, পরিত্যক্ত টায়ার, বালতি, ডাব, প্লাস্টিকের বোতল, ফুলের টব ও
আশপাশে পড়ে থাকা পাত্রে জমে থাকা পানি ফেলে দেওয়া।
বৃষ্টির পর পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনা থেকে জমাকৃত পানি দ্রুত অপসারণের ব্যবস্থা করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, পুলিশের সব স্থাপনায় ফগার মেশিনের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে মশা ধ্বংসকারী স্প্রে করতে হবে।
প্রয়োজনে সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার সহায়তা গ্রহণ করতে হবে।
ঘুম কিংবা বিশ্রামের ক্ষেত্রে দিনে ও রাতে মশারির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
বিশেষ কল্যাণ সভা, ভিডিও কনফারেন্স বা রোল কলের মাধ্যমে সব স্তরের পুলিশ সদস্যদেরকে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।
জ্বর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডেঙ্গু পরীক্ষা করা এবং ডেঙ্গু শনাক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে পূর্ণাঙ্গ বিশ্রামে থাকতে হবে এবং স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি বেশি বেশি তরল খাবার খেতে হবে।
পুলিশের প্রতিটি ইউনিটে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট টিম গঠন করতে হবে।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দুই সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত দুই পুলিশ সদস্য হলেন- হাজারীবাগ থানার কনস্টেবল রাসেল শিকদার ও গেন্ডারিয়া থানার নারী কনস্টেবল আয়েশা আক্তার।
এ ছাড়া ডিএমপির আরও অর্ধ-শতাধিক সদস্য ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ: আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ডেঙ্গুতে পুলিশের দুই সদস্যের মৃত্যুর পর বিশেষ সতর্কতা জারি

Update Time : ১০:৪৮:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ পুলিশের দুই সদস্যের মৃত্যুর পর বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে সংস্থাটির সদর দপ্তর।

বুধবার (১২ জুলাই) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি নাজমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এ সতর্কতা জারি করা হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, বর্তমানে ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু প্রকট আকার ধারণ করেছে।
ইতোমধ্যে দুজন পুলিশ সদস্য ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
অনেক পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রয়েছেন।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সচেতনতা সৃষ্টি ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ একান্ত জরুরি।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মনজুর হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে হবে। এ জন্য পুলিশের সব সদস্যকে সচেতন করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, পুলিশের স্থাপনাগুলো যেমন- পুলিশ লাইনস, থানা, ফাঁড়ি, ফোর্স ব্যারাক, ফোর্সের মেস, এমটি শেড, রিজার্ভ
অফিসসহ অন্যান্য সব স্থাপনায় নিয়মিতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভিযান পরিচালনা করা, পুলিশের সব স্থাপনায় পরিত্যক্ত ড্রাম,
পাত্র, ভাঙা হাড়ি-পাতিল, টিনের কৌটা ও বোতল জাতীয় জিনিসপত্র দ্রুত অপসারণপূর্বক ওই স্থাপনাগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
পানি জমতে পারে এমন স্থান বা বস্তু-যেমন ভবনের ছাদ, ড্রেন, পরিত্যক্ত টায়ার, বালতি, ডাব, প্লাস্টিকের বোতল, ফুলের টব ও
আশপাশে পড়ে থাকা পাত্রে জমে থাকা পানি ফেলে দেওয়া।
বৃষ্টির পর পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনা থেকে জমাকৃত পানি দ্রুত অপসারণের ব্যবস্থা করতে হবে।

এতে আরও বলা হয়, পুলিশের সব স্থাপনায় ফগার মেশিনের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে মশা ধ্বংসকারী স্প্রে করতে হবে।
প্রয়োজনে সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার সহায়তা গ্রহণ করতে হবে।
ঘুম কিংবা বিশ্রামের ক্ষেত্রে দিনে ও রাতে মশারির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
বিশেষ কল্যাণ সভা, ভিডিও কনফারেন্স বা রোল কলের মাধ্যমে সব স্তরের পুলিশ সদস্যদেরকে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।
জ্বর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডেঙ্গু পরীক্ষা করা এবং ডেঙ্গু শনাক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে পূর্ণাঙ্গ বিশ্রামে থাকতে হবে এবং স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি বেশি বেশি তরল খাবার খেতে হবে।
পুলিশের প্রতিটি ইউনিটে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্ট টিম গঠন করতে হবে।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দুই সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত দুই পুলিশ সদস্য হলেন- হাজারীবাগ থানার কনস্টেবল রাসেল শিকদার ও গেন্ডারিয়া থানার নারী কনস্টেবল আয়েশা আক্তার।
এ ছাড়া ডিএমপির আরও অর্ধ-শতাধিক সদস্য ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।