০২:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘যারা নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেঈমান হিসেবে চিহ্নিত হবে’

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৪১:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩
  • 24

যে দল বা ব্যাক্তি এই সরকার (আওয়ামী লীগ) ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তারা জাতীয় বেঈমান হিসেবে চিহ্নিত হবে বলে জানিয়েছে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ভাবে ভোট ডাকাতি হয় কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না! তাই দলীয় সরকার ও আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই।’

শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত ‘আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ ও ১ দফা যুগপৎ আন্দোলনের’ দাবিতে এক আলোচনা সভায় নেতারা এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, ‘সম্প্রতি লক্ষীপুর উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের এক নেতা নৌকা মার্কার ব্যালটে ৫৭ সেকেন্ডে ৪৭ ভোটে সিল মেরে রেকর্ড করেছেন। আগামী নির্বাচনে এই সরকার আরো ভয়ঙ্কর নির্বাচন করতে চায়। আর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আর কোনো নির্বাচন এই সরকারের অধীনে হতে দেওয়া হবে না।’

নেতারা দেশবাসী ও সকল রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আরো বলেন, স্বৈরাচারী শাসককে আর বিশ্বাস করা যায় না। এই সরকার বিগত পনের বছর ধরে দেশ এবং দেশের জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।

সরকারের উদ্দেশে তারা বলেন, ‘বাংলাদেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবেন না। ২৮ অক্টোবরের সমাবেশের সময় হামলা সরকারের পূর্বপরিকল্পিত। অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।’

১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাড. সৈয়দ এহসানুল হুদাকে সাদা পোশাকে গাড়িতে তুলে নেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘অবিলম্বে এহসানুল হুদার সন্ধান দিয়ে তাকে দ্রুত মুক্তি দিন। মনে রাখবেন, গ্রেপ্তার করে ১২ দলীয় জোটকে ভাঙা যাবে না। ১২ দলীয় জোট অটুট আছে এবং থাকবে।’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং ১২ দলীয় জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার এর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব তমিজউদদীন টিটুর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান এবং ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র, মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীর প্রতিক), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নুর, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, আমার বাংলাদেশ পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আমিন, মাওলানা আবদুল করিম, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মুজিবুর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাকির হোসেন খান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব প্রমুখ।

Tag :
About Author Information

৫০০ টাকার জন্য শিশুকে ব্রহ্মপুত্রে ফেলে দিলো কিশোর।

‘যারা নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেঈমান হিসেবে চিহ্নিত হবে’

Update Time : ১২:৪১:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

যে দল বা ব্যাক্তি এই সরকার (আওয়ামী লীগ) ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তারা জাতীয় বেঈমান হিসেবে চিহ্নিত হবে বলে জানিয়েছে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। তারা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ভাবে ভোট ডাকাতি হয় কিন্তু সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না! তাই দলীয় সরকার ও আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই।’

শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত ‘আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ ও ১ দফা যুগপৎ আন্দোলনের’ দাবিতে এক আলোচনা সভায় নেতারা এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, ‘সম্প্রতি লক্ষীপুর উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের এক নেতা নৌকা মার্কার ব্যালটে ৫৭ সেকেন্ডে ৪৭ ভোটে সিল মেরে রেকর্ড করেছেন। আগামী নির্বাচনে এই সরকার আরো ভয়ঙ্কর নির্বাচন করতে চায়। আর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আর কোনো নির্বাচন এই সরকারের অধীনে হতে দেওয়া হবে না।’

নেতারা দেশবাসী ও সকল রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আরো বলেন, স্বৈরাচারী শাসককে আর বিশ্বাস করা যায় না। এই সরকার বিগত পনের বছর ধরে দেশ এবং দেশের জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।

সরকারের উদ্দেশে তারা বলেন, ‘বাংলাদেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবেন না। ২৮ অক্টোবরের সমাবেশের সময় হামলা সরকারের পূর্বপরিকল্পিত। অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।’

১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাড. সৈয়দ এহসানুল হুদাকে সাদা পোশাকে গাড়িতে তুলে নেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ‘অবিলম্বে এহসানুল হুদার সন্ধান দিয়ে তাকে দ্রুত মুক্তি দিন। মনে রাখবেন, গ্রেপ্তার করে ১২ দলীয় জোটকে ভাঙা যাবে না। ১২ দলীয় জোট অটুট আছে এবং থাকবে।’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং ১২ দলীয় জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার এর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব তমিজউদদীন টিটুর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান এবং ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র, মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীর প্রতিক), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নুর, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, আমার বাংলাদেশ পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আমিন, মাওলানা আবদুল করিম, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মুজিবুর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাকির হোসেন খান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব প্রমুখ।