০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরাইল-মার্কিন পণ্য বর্জন করছেন ভারতীয় মুসলিমরা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:৫৭:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩
  • 25

ফিলিস্তিনের জনগণের সমর্থনে ভারতের কিছু মুসলিম দোকানদার ও ক্রেতা ইসরাইলি এবং মার্কিন পণ্য বয়কট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যে দেশটির কিছু অঞ্চলে ক্রেতা-বিক্রেতারা ঘোষণা দিয়ে ওই দুই দেশের পণ্য বজর্ন করেছেন। স্থানীয় সম্প্রদায়ের মাঝে ইসরাইলি ও মার্কিন পণ্য বর্জনের আন্দোলন শুরু করেছেন তারা। মঙ্গলবার কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক ভিডিও প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ভারতের মোহাম্মদ নাদিম নামের এক দোকানদার বলেন, ‘‘পণ্য বর্জনের ফলে আমাদের আয় সামান্য কমে যাবে, আমরা তো তাদের সাথে আসলে লড়াই করতে পারি না। কিন্তু আমরা তাদের অর্থনীতিকে বর্জন করতে পারি।’’ তিনি বলেন, ‘‘আগে ইসরাইলি ও মার্কিন পণ্যের চাহিদা তুমুল থাকলেও বর্তমানে তা কমে গেছে। আমরা যখন এসব বর্জন করবো, তখন কোথাও না কোথাও তা প্রভাব ফেলবে এবং আমরা ইতোমধ্যে বর্জন করেছি।’’ ইসরাইলি ও মার্কিন পণ্য বর্জনে ভারতে যে অল্প কিছু দোকানদার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোহাম্মদ নাদিম তাদের একজন। বর্তমানে তার দোকানে পেপসি এবং কোকা কোলার কোনো মজুদ নেই। ভারতের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ইসরাইলি ও মার্কিন পণ্য বর্জনের আন্দোলন শুরু হয়েছে। কিছু মুসলিম পরিবার বলেছেন, তারাও ইসরাইলি ও মার্কিন পণ্য বর্জন করছেন। ৯ বছর বয়সী আশার ইমতিয়াজও ইসরাইল-মার্কিন পণ্য বর্জনের আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। সে বলেছে, ‘‘ফিলিস্তিনে মুসলিমদের ওপর ইসরাইলের বর্বরতার খবর শোনার পর আমি এসব পণ্য কেনা বন্ধ করে দিয়েছি। শিশু হিসেবে আমরা যেসব ব্র্যান্ডের পণ্য ভালোবাসতাম তারা এখন সহিংস হয়ে উঠছে। তারা ইসরাইলি সরকারের সহায়তায় অর্থ ব্যবহার করছে। আমি আর কোনও সহিংসতা চাই না। যে কারণে গাজাকে রক্ষায় আমাদের এসব পণ্য কেনা বন্ধ করা দরকার।’’ আল-জাজিরা।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ: আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ইসরাইল-মার্কিন পণ্য বর্জন করছেন ভারতীয় মুসলিমরা

Update Time : ০৬:৫৭:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

ফিলিস্তিনের জনগণের সমর্থনে ভারতের কিছু মুসলিম দোকানদার ও ক্রেতা ইসরাইলি এবং মার্কিন পণ্য বয়কট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যে দেশটির কিছু অঞ্চলে ক্রেতা-বিক্রেতারা ঘোষণা দিয়ে ওই দুই দেশের পণ্য বজর্ন করেছেন। স্থানীয় সম্প্রদায়ের মাঝে ইসরাইলি ও মার্কিন পণ্য বর্জনের আন্দোলন শুরু করেছেন তারা। মঙ্গলবার কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক ভিডিও প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ভারতের মোহাম্মদ নাদিম নামের এক দোকানদার বলেন, ‘‘পণ্য বর্জনের ফলে আমাদের আয় সামান্য কমে যাবে, আমরা তো তাদের সাথে আসলে লড়াই করতে পারি না। কিন্তু আমরা তাদের অর্থনীতিকে বর্জন করতে পারি।’’ তিনি বলেন, ‘‘আগে ইসরাইলি ও মার্কিন পণ্যের চাহিদা তুমুল থাকলেও বর্তমানে তা কমে গেছে। আমরা যখন এসব বর্জন করবো, তখন কোথাও না কোথাও তা প্রভাব ফেলবে এবং আমরা ইতোমধ্যে বর্জন করেছি।’’ ইসরাইলি ও মার্কিন পণ্য বর্জনে ভারতে যে অল্প কিছু দোকানদার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোহাম্মদ নাদিম তাদের একজন। বর্তমানে তার দোকানে পেপসি এবং কোকা কোলার কোনো মজুদ নেই। ভারতের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ইসরাইলি ও মার্কিন পণ্য বর্জনের আন্দোলন শুরু হয়েছে। কিছু মুসলিম পরিবার বলেছেন, তারাও ইসরাইলি ও মার্কিন পণ্য বর্জন করছেন। ৯ বছর বয়সী আশার ইমতিয়াজও ইসরাইল-মার্কিন পণ্য বর্জনের আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। সে বলেছে, ‘‘ফিলিস্তিনে মুসলিমদের ওপর ইসরাইলের বর্বরতার খবর শোনার পর আমি এসব পণ্য কেনা বন্ধ করে দিয়েছি। শিশু হিসেবে আমরা যেসব ব্র্যান্ডের পণ্য ভালোবাসতাম তারা এখন সহিংস হয়ে উঠছে। তারা ইসরাইলি সরকারের সহায়তায় অর্থ ব্যবহার করছে। আমি আর কোনও সহিংসতা চাই না। যে কারণে গাজাকে রক্ষায় আমাদের এসব পণ্য কেনা বন্ধ করা দরকার।’’ আল-জাজিরা।