০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আল-আকসা মসজিদে মুসলিমদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হলো

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৫৮:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
  • 33

ইসরায়েলি বাহিনী এবং গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের চলমান যুদ্ধের মধ্যে এবার দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত পবিত্র আল-আকসা মসজিদে মুসলমানদের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। কোনো মুসলিমকে মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি পুলিশ।

পবিত্র স্থানটির দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ওয়াক্‌ফ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে শুধু ইহুদিরা প্রবেশ করছেন। সেখানে ইহুদিদের প্রার্থনা করার সুযোগ দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ।

ফিলিস্তিনির বার্তা সংস্থা ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের কাছে পবিত্র একটি স্থান এবং প্রথম কাবা। সেখানে শুধু মুসলিমরাই নামাজ আদায় করেন। কিন্তু নিয়ম ভঙ্গ করে এখন সেখানে ইহুদিরা প্রার্থনা করছেন।

ফিলিস্তিনির বার্তা সংস্থা ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের কাছে পবিত্র একটি স্থান এবং প্রথম কাবা। সেখানে শুধু মুসলিমরাই নামাজ আদায় করেন। কিন্তু নিয়ম ভঙ্গ করে এখন সেখানে ইহুদিরা প্রার্থনা করছেন।
গত কয়েক মাসের মধ্যে আবারও আল-আকসা মসজিদে মুসলিমদের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। প্রতিবেদনে বলা হয়, মুসলিমদের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হলেও সেখানে ইহুদি উপাসকেরা স্বাভাবিক নিয়মেই ঢুকতে পারছেন।

দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত আল-আকসা মুসলিমদের কাছে ‘হারাম আল-শরীফ’ নামে পরিচিত হলেও ইহুদিদের কাছে এটি তাদের পবিত্রতম স্থান ‘টেম্পল মাউন্ট’। আল-আকসা মসজিদকে মক্কা ও মদিনার পরই ইসলামের তৃতীয় সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মুসলমানরা বিশ্বাস করেন, নবী মুহাম্মদ (সা.) মেরাজের রাতে কাবা শরিফ থেকে প্রথমে আল-আকসায় এসেছিলেন এবং মেরাজে গমনের আগে এখানে সব নবীর সঙ্গে নামাজের সময় ইমামতি করেন।

আল-আকসাকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। চলতি বছরের শুরুতেও সেখানে ইসরায়েলি পুলিশ ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ইসরায়েলি বাহিনী ও গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধ আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ১৮তম দিনে গড়িয়েছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় টানা ইসরায়েলি বোমা হামলায় কমপক্ষে পাঁচ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১৫ হাজারের বেশি। প্রতিদিনিই সেখানে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। হত্যাযজ্ঞের পাশাপাশি ২৩ লাখের বেশি মানুষের এই অঞ্চলে খাবার, পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ: আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

আল-আকসা মসজিদে মুসলিমদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হলো

Update Time : ০৮:৫৮:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

ইসরায়েলি বাহিনী এবং গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের চলমান যুদ্ধের মধ্যে এবার দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত পবিত্র আল-আকসা মসজিদে মুসলমানদের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। কোনো মুসলিমকে মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি পুলিশ।

পবিত্র স্থানটির দায়িত্বে থাকা ইসলামিক ওয়াক্‌ফ বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে শুধু ইহুদিরা প্রবেশ করছেন। সেখানে ইহুদিদের প্রার্থনা করার সুযোগ দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ।

ফিলিস্তিনির বার্তা সংস্থা ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের কাছে পবিত্র একটি স্থান এবং প্রথম কাবা। সেখানে শুধু মুসলিমরাই নামাজ আদায় করেন। কিন্তু নিয়ম ভঙ্গ করে এখন সেখানে ইহুদিরা প্রার্থনা করছেন।

ফিলিস্তিনির বার্তা সংস্থা ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-আকসা মসজিদ মুসলমানদের কাছে পবিত্র একটি স্থান এবং প্রথম কাবা। সেখানে শুধু মুসলিমরাই নামাজ আদায় করেন। কিন্তু নিয়ম ভঙ্গ করে এখন সেখানে ইহুদিরা প্রার্থনা করছেন।
গত কয়েক মাসের মধ্যে আবারও আল-আকসা মসজিদে মুসলিমদের প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। প্রতিবেদনে বলা হয়, মুসলিমদের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হলেও সেখানে ইহুদি উপাসকেরা স্বাভাবিক নিয়মেই ঢুকতে পারছেন।

দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত আল-আকসা মুসলিমদের কাছে ‘হারাম আল-শরীফ’ নামে পরিচিত হলেও ইহুদিদের কাছে এটি তাদের পবিত্রতম স্থান ‘টেম্পল মাউন্ট’। আল-আকসা মসজিদকে মক্কা ও মদিনার পরই ইসলামের তৃতীয় সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মুসলমানরা বিশ্বাস করেন, নবী মুহাম্মদ (সা.) মেরাজের রাতে কাবা শরিফ থেকে প্রথমে আল-আকসায় এসেছিলেন এবং মেরাজে গমনের আগে এখানে সব নবীর সঙ্গে নামাজের সময় ইমামতি করেন।

আল-আকসাকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা প্রায়ই ঘটে। চলতি বছরের শুরুতেও সেখানে ইসরায়েলি পুলিশ ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ইসরায়েলি বাহিনী ও গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধ আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ১৮তম দিনে গড়িয়েছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় টানা ইসরায়েলি বোমা হামলায় কমপক্ষে পাঁচ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১৫ হাজারের বেশি। প্রতিদিনিই সেখানে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। হত্যাযজ্ঞের পাশাপাশি ২৩ লাখের বেশি মানুষের এই অঞ্চলে খাবার, পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল।