ইউক্রেনের লড়াইয়ে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আবারও যোগদান করেছে ওয়াগনার সদস্যরা। রাশিয়ার গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, এ সপ্তাহেই আনুষ্ঠানিকভাবে আবারও ইউক্রেনে সক্রিয় হয়েছে তারা। ওয়াগনার সদস্যদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি নতুন ইউনিট। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘কামেরটন’।
সাবেক ওয়াগনার বস ইয়েভজেনি প্রিগোজিন কয়েক মাস আগে এক বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন। এর আগে ওয়াগনার যোদ্ধারা প্রিগোজিনের নেতৃত্বে রুশ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে একদিনের অভ্যুত্থানেও অংশ নিয়েছিল। সব মিলিয়ে ইউক্রেনে ওয়াগনারের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছিল। অবশেষে নতুন নেতৃত্বের অধীনে রুশ বাহিনীর সঙ্গে আবারও তাদের ইউক্রেনে রাশিয়ার নতুন ভূখণ্ডতে মোতায়েন করা হলো।
তবে এই নতুন ইউনিটের কমান্ডারের নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি। তারা চেচেনদের ‘আখমাত’ বাহিনীর অধীনে যুদ্ধ করবে। ওয়াগনারের পাশাপাশি আখমাত বাহিনীও প্রথম থেকেই রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানে সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছে।
এদিকে ওয়াগনার যোদ্ধারা আবারও লড়াইয়ে যোগ দিয়েছে এমন বেশ কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, তারা ড্রোন ও রাইফেল নিয়ে ডনবাস অঞ্চলে যুদ্ধ করছে।
ওয়াগনারের নতুন কমান্ডার জানান, মাদারল্যান্ডের (রাশিয়া) সঙ্গে আমাদের চুক্তি আছে। যার অধীনেই থাকি না কেনো আমরা আগের মতোই যুদ্ধ চালিয়ে যাব। বাহিনীটি আগে যেভাবে স্বাধীনতার সঙ্গে যুদ্ধ করতো, এখনও তাই করবে বলেও জানান তিনি।
তবে নতুন এই ওয়াগনার ইউনিটে কত সদস্য রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। রুশ গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, নতুন ৪০ শতাংশ যোদ্ধা রয়েছে এই ইউনিটে। উল্লেখ্য, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানে প্রথম থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছিল এই ওয়াগনার বাহিনী। এই যুদ্ধের সবথেকে ভয়ঙ্করতম লড়াই ছিল বাখমুতের যুদ্ধ। আর ওই যুদ্ধের প্রথম সারিতেই ছিল ওয়াগনার যোদ্ধারা। যদিও প্রিগোজিনের বিদ্রোহের পর দীর্ঘ সময় তাদেরকে যুদ্ধ থেকে সরিয়ে রাখা হয়েছিল।