০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকার হটানোর এবারের আন্দোলনই ‘শেষ লড়াই’, নেতা-কর্মী‌দের উ‌দ্দে‌শ্যে মির্জা ফকরুল।

  • Reporter Name
  • Update Time : ১২:৪৬:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 20

সরকার হটানোর এবারের আন্দোলনই ‘শেষ লড়াই’ বলে নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শুক্রবার বিকেলে গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনাসভায় তিনি এই আহ্বান জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, এবার শেষ লড়াই হবে। এবার জীবন-মরণ লড়াই করতে হবে। এবার সেই জাগপার কথায় বলতে চাই, হয় জীবন না হয় মরণ। সেই লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে একটা দুর্বার গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এবারের আন্দোলনে উত্তাল সমুদ্রে যে সুনামি হয় সেই সুনামির মতো এই সরকারকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।

পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান রেখে তিনি বলেন, আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমরা পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে নই, আমরা কোনো বাহিনীর বিরুদ্ধে নই। আমার ট্যাক্সের পয়সায় তাদের বেতন হয়, তাদের সংসার চলে, তাদের ছেলে-মেয়েরা লেখা-পড়া শেখে, তাদের বউ-বাচ্চাদের কাপড় দেয়-তাই না। তারা আমাদের লোকজনকে গুলি করে মেরে ফেলতে এটা কী আমরা মেনে নেব? আমরা বলতে চাই, আপনাদের আমরা কখনো প্রতিপক্ষ বানাতে চাই না। আপনারা দয়া করে জনগণের প্রতিপক্ষ হবেন না।

তিনি বলেন, আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু সাহেবে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র একটা প্রতিষ্ঠান র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আপনারা কি চান পুলিশের ওপর এভাবে সেনশন আসুক, আপনারা কি চান এই বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের ওপর সেনশন জারি করুক। আমরা এটা চাই, নিশ্চয় চাই না। আমরা সবাই আশা করব, পুলিশ জনগণের যে ন্যায্য অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার সে জন্য তারা সহযোগিতা করবে এবং যারা অন্যায় করছে, অবিচার করছে, যারা গুলি করে হত্যা করছে, যারা জোর করে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর মতো জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে তাদের বিরুদ্ধে জনগণ জেগে উঠেছে, লড়াই শুরু করেছে, সেই লড়াইয়ে তারাও শরিক হবেন- এই আশা আমরা করতে পারি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘যখন বিএনপি আন্দোলন শুরু করেছে মানুষের সমস্যাগুলো নিয়ে, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, চাল-ডাল-তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে, তখন তারা সেই আগের মতো গুলি করে হত্যা করছে আমাদের সহযোদ্ধাদের-সহকর্মীদের।

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, শাওনের বড় ভাইকে দিয়ে জোর করে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে তারা একটা মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়েছে। আমি হুঁশিয়ার করতে চাই, যারা এ ধরনের মিথ্যা মামলা করাবেন, যারা এভাবে গুলি করে আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করবেন, গণতন্ত্রের নেতাকর্মীদের হত্যা করবেন তাদের প্রত্যেকের সব হিসাব কড়ায়-গণ্ডায় নেওয়া হবে।

বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মহিলাদলের আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন ও কৃষকদলের শহিদুল ইসলাম বাবুল বক্তব্য দেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

সরকার হটানোর এবারের আন্দোলনই ‘শেষ লড়াই’, নেতা-কর্মী‌দের উ‌দ্দে‌শ্যে মির্জা ফকরুল।

Update Time : ১২:৪৬:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

সরকার হটানোর এবারের আন্দোলনই ‘শেষ লড়াই’ বলে নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শুক্রবার বিকেলে গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনাসভায় তিনি এই আহ্বান জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, এবার শেষ লড়াই হবে। এবার জীবন-মরণ লড়াই করতে হবে। এবার সেই জাগপার কথায় বলতে চাই, হয় জীবন না হয় মরণ। সেই লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে একটা দুর্বার গণ-আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এবারের আন্দোলনে উত্তাল সমুদ্রে যে সুনামি হয় সেই সুনামির মতো এই সরকারকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।

পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান রেখে তিনি বলেন, আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমরা পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে নই, আমরা কোনো বাহিনীর বিরুদ্ধে নই। আমার ট্যাক্সের পয়সায় তাদের বেতন হয়, তাদের সংসার চলে, তাদের ছেলে-মেয়েরা লেখা-পড়া শেখে, তাদের বউ-বাচ্চাদের কাপড় দেয়-তাই না। তারা আমাদের লোকজনকে গুলি করে মেরে ফেলতে এটা কী আমরা মেনে নেব? আমরা বলতে চাই, আপনাদের আমরা কখনো প্রতিপক্ষ বানাতে চাই না। আপনারা দয়া করে জনগণের প্রতিপক্ষ হবেন না।

তিনি বলেন, আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু সাহেবে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র একটা প্রতিষ্ঠান র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আপনারা কি চান পুলিশের ওপর এভাবে সেনশন আসুক, আপনারা কি চান এই বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের ওপর সেনশন জারি করুক। আমরা এটা চাই, নিশ্চয় চাই না। আমরা সবাই আশা করব, পুলিশ জনগণের যে ন্যায্য অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার সে জন্য তারা সহযোগিতা করবে এবং যারা অন্যায় করছে, অবিচার করছে, যারা গুলি করে হত্যা করছে, যারা জোর করে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর মতো জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে তাদের বিরুদ্ধে জনগণ জেগে উঠেছে, লড়াই শুরু করেছে, সেই লড়াইয়ে তারাও শরিক হবেন- এই আশা আমরা করতে পারি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘যখন বিএনপি আন্দোলন শুরু করেছে মানুষের সমস্যাগুলো নিয়ে, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, চাল-ডাল-তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে, তখন তারা সেই আগের মতো গুলি করে হত্যা করছে আমাদের সহযোদ্ধাদের-সহকর্মীদের।

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, শাওনের বড় ভাইকে দিয়ে জোর করে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে তারা একটা মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়েছে। আমি হুঁশিয়ার করতে চাই, যারা এ ধরনের মিথ্যা মামলা করাবেন, যারা এভাবে গুলি করে আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করবেন, গণতন্ত্রের নেতাকর্মীদের হত্যা করবেন তাদের প্রত্যেকের সব হিসাব কড়ায়-গণ্ডায় নেওয়া হবে।

বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মহিলাদলের আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন ও কৃষকদলের শহিদুল ইসলাম বাবুল বক্তব্য দেন।