০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজয় মেলা থেকে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ ৬ ছাত্রলীগ-যুবলীগ

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৪৮:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩
  • 20

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জের বিজয় মেলা থেকে ফেরার পথে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদ্য নির্বাচিত সভাপতি সাহেদ বিন কামাল অনিককে পিটিয়ে জখম করে পায়ের রগ ছিড়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত সাহেদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং গুলিবিদ্ধ একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা যায়। এ ছাড়াও পাথরের ঢিলেও অন্তত আরও ২০ জন আহত হয়েছেন এবং ছয়টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

আজ রবিবার ভোরে মেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের ওপর অতর্কিত এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতরা হলেন- চট্টগ্রাম উত্তরজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাউছার আহমেদ আরিফ, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের উপ-মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক আমজাদ হোসেন ইমন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ, আব্দুর রহমান এবং আরও দুই যুবলীগ কর্মী। যাদের মধ্যে কাউছার আহমেদ আরিফের অবস্থা আশাঙ্কাজনক। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দিন টিটুর নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন আহত নেতাকর্মীরা।

জানা গেছে, গত ২২ ডিসেম্বর থেকে জোরারগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ১০ দিনব্যাপী বিজয় মেলা শুরু হয়ে গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়। এই বিষয়ে স্থানীয় জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী রেজাউল করিম মাস্টার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় আগত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ কারা করেছে সেটি সবাই দেখেছে এবং সবাই জানে। যারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে কিংবা মানুষ হত্যা করে আধিপত্য বিস্তার করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। জোরারগঞ্জ বিজয়মেলা উদযাপন পরিষদের কো- চেয়ারম্যান শ্যামল দেওয়ানজী বলেন, ‘এটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা প্রত্যেকেই সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী ছাড়া এই ধরনের ঘটনা ঘটানো সম্ভব না। এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, ‘রবিবার ভোরে জোরারগঞ্জ বাজারে দুটি পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে আমাদের ফোর্স সেখানে ছুটে যায়। কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে শুনেছি। এখন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ: আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বিজয় মেলা থেকে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ ৬ ছাত্রলীগ-যুবলীগ

Update Time : ১১:৪৮:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০২৩

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জের বিজয় মেলা থেকে ফেরার পথে প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদ্য নির্বাচিত সভাপতি সাহেদ বিন কামাল অনিককে পিটিয়ে জখম করে পায়ের রগ ছিড়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত সাহেদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং গুলিবিদ্ধ একজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা যায়। এ ছাড়াও পাথরের ঢিলেও অন্তত আরও ২০ জন আহত হয়েছেন এবং ছয়টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

আজ রবিবার ভোরে মেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের ওপর অতর্কিত এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতরা হলেন- চট্টগ্রাম উত্তরজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কাউছার আহমেদ আরিফ, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের উপ-মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক আমজাদ হোসেন ইমন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ, আব্দুর রহমান এবং আরও দুই যুবলীগ কর্মী। যাদের মধ্যে কাউছার আহমেদ আরিফের অবস্থা আশাঙ্কাজনক। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দিন টিটুর নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন আহত নেতাকর্মীরা।

জানা গেছে, গত ২২ ডিসেম্বর থেকে জোরারগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ১০ দিনব্যাপী বিজয় মেলা শুরু হয়ে গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়। এই বিষয়ে স্থানীয় জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিজয় মেলা উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়কারী রেজাউল করিম মাস্টার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় আগত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ কারা করেছে সেটি সবাই দেখেছে এবং সবাই জানে। যারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে কিংবা মানুষ হত্যা করে আধিপত্য বিস্তার করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি। জোরারগঞ্জ বিজয়মেলা উদযাপন পরিষদের কো- চেয়ারম্যান শ্যামল দেওয়ানজী বলেন, ‘এটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারা প্রত্যেকেই সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসী ছাড়া এই ধরনের ঘটনা ঘটানো সম্ভব না। এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, ‘রবিবার ভোরে জোরারগঞ্জ বাজারে দুটি পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে আমাদের ফোর্স সেখানে ছুটে যায়। কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে শুনেছি। এখন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।