আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এই বাজেটে নিশ্চয়তা আছে, সোশ্যাল সেফটিনেট আগের চেয়েও সাত হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। গতবারের চেয়ে আরও ৭ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে, আওতা বাড়ানো হয়েছে। কাজেই এই বাজেটে সবদিক বিবেচনা করে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের বিষয়ে নজর দেওয়া হয়েছে। কাজেই এটা গরিবের বাজেট, ব্যবসাবান্ধব বাজেট ও গণমুখী বাজেট।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাড়ানো হয়েছে যাতে নিম্ন আয়ের মানুষ সুরক্ষা পায়। এটি গরিববান্ধব বাজেট। তিনি বলেন, প্রতিবার বাজেট পেশ করার পর বিএনপিসহ কিছু রাজনৈতিক দল, কিছু সংস্থা ও বুদ্ধিজীবী বরাবর নেতিবাচক কথা বলে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে- গত সাড়ে ১৩ বছরে সব নেতিবাচক মন্তব্য ও প্রতিক‚লতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, কোভিড-পরবর্তী পরিস্থিতিতে কর্মসংস্থানের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বৈশ্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে খেয়াল রেখেই এই বাজেট খেটে খাওয়া মানুষের বাজেট, ব্যবসাবান্ধব ও গণমুখী বাজেট। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাজেট প্রতিক্রিয়ার জবাবে নাছিম বলেন, বিএনপি ও মির্জা ফখরুলের রাজনীতি লুটপাটের রাজনীতি। দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রাজনীতি। তারা কখনোই সাধারণ মানুষের কথা ভাবেনি। এখনো ভাবে না।
স্বাগত প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটকে স্বাগত জানিয়ে রাজধানীতে আনন্দ মিছিল করেছে আওয়ামী যুবলীগ।আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের নির্দেশে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এ সময় যুবলীগের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।অনেক চ্যালেঞ্জ থাকলেও প্রস্তাবিত বাজেট উন্নয়নমুখী হয়েছে বলে মন্তব্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিনের।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় মতিঝিলে জাতীয় বাজেট নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, বাজেটে সরকার মূল্যস্ফীতি ধরে রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু তা ধরে রাখা কঠিন হবে বলে মনে করেন জসিম উদ্দিন। এআইটি এবং এটি বাড়ানোর ফলে সাপ্লাই ব্যবসায়ীরা দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। আরও বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের কথা ভেবে বাজেটে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যা প্রশংসনীয়।
বাজেট নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ঢাকা চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্টির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজোয়ান রাহমান বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যবসায়ীদের হয়রানি বাড়বে। রাজস্ব আহরণে চাপ কমালে প্রস্তাবিত বাজেট ব্যবসায়ীদের পক্ষে বাস্তবায়নযোগ্য হতো বলে মনে করেন তিনি।
বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মাদ আলী খোকন বলেন, বাজেট সহনীয় পর্যায়ে রেখেছে সরকার। তবে গত বছরের তুলনায় বাজেটে এবার করের পরিমাণ অনেক বেশি। যদিও করদাতার সংখ্যা বাড়েনি।