০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্গাপুজো এলেই সকলের মুখে হাসি আসে।মমতা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৪৯:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 16

জাঁকজমকের সঙ্গে বাংলার দুর্গাপুজোকে (Durga Puja 2022) ইউনেস্কোর (UNESCO) স্বীকৃতি উদযাপন করল রাজ্য সরকার। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাংলার সবচেয়ে বড় উৎসবকে তুলে ধরার পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যদের সম্মান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে রেড রোডের মঞ্চে এক হয়ে গেলেন সকলে। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ইতিহাসবিদ তপতী গুহঠাকুর, রাজ্যের মন্ত্রী, রাজ্য সরকার এবং পুলিসের আধিকারিকরা।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি সব সময় বলি ধর্ম যাঁরা যাঁর আপনার, উৎসব সবার। ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি আমাদের ভবিষ্যতে আরও উদ্বুদ্ধ করবে। পুজোকে কেন্দ্র করে ৪০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়। মানবতাকে কারও সঙ্গে ভাগ করা যায় না। মানবতা আমাদের শক্তি। ঐক্য আমাদের শক্তি।” রেড রোডের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “সারা পৃথিবী ঘুরেছি এমন উৎসব কোথাও দেখিনি। দুর্গাপুজো দেখলে বুঝতে পারবেন এটা ঠিক কতটা বড়। ওই সময় শহরের ছবিটাই বদলে যায়। দুর্গাপুজো এলেই সকলের মুখে হাসি আসে। সাত থেকে সত্তর সকলের মুখে হাসি ফোটায় দুর্গাপুজো।”

 

ক্যালেন্ডার মতে পুজো শুরু হতে এখনও একমাস বাকি। কিন্তু পয়লা সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকেই বাঙালির পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গেল। ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে  বৃহস্পতিবার পথে নামেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এ দিন কলকাতা, হাওড়া এবং সল্টলেকের পুজো কমিটিগুলোকে নিয়ে, জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি থেকে বর্ণাঢ্য মিছিল করেন তিনি। এরপর সেন্ট্রাল অ্য়াভিনিউ, ধর্মতলা, রানি রাসমণি রোড হয়ে রেড রোডে শেষ হয় মিছিল। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতেই ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। বৃষ্টির হলেও বিপুল পরিমাণ সাধারণ মানুষ যে তাঁর সঙ্গে রাস্তায় নেমেছেন, সেজন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় পা মেলানোর পাশাপাশি, রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষের সঙ্গেও জনসংযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

একই সঙ্গে কলকাতার রাজপথে আগমনীর সুর বেজে ওঠে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজপথে নামেন টলিউডের বহু অভিনেতা, সমাজের বিশিষ্ট মানুষজন। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পুজো উদ্য়োক্তারা ছাড়াও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় পা মেলান মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের মতো ফুটবল ক্লাবগুলো।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

দুর্গাপুজো এলেই সকলের মুখে হাসি আসে।মমতা

Update Time : ০৯:৪৯:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২

জাঁকজমকের সঙ্গে বাংলার দুর্গাপুজোকে (Durga Puja 2022) ইউনেস্কোর (UNESCO) স্বীকৃতি উদযাপন করল রাজ্য সরকার। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাংলার সবচেয়ে বড় উৎসবকে তুলে ধরার পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যদের সম্মান জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে রেড রোডের মঞ্চে এক হয়ে গেলেন সকলে। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ইতিহাসবিদ তপতী গুহঠাকুর, রাজ্যের মন্ত্রী, রাজ্য সরকার এবং পুলিসের আধিকারিকরা।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি সব সময় বলি ধর্ম যাঁরা যাঁর আপনার, উৎসব সবার। ইউনেস্কোর এই স্বীকৃতি আমাদের ভবিষ্যতে আরও উদ্বুদ্ধ করবে। পুজোকে কেন্দ্র করে ৪০ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়। মানবতাকে কারও সঙ্গে ভাগ করা যায় না। মানবতা আমাদের শক্তি। ঐক্য আমাদের শক্তি।” রেড রোডের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “সারা পৃথিবী ঘুরেছি এমন উৎসব কোথাও দেখিনি। দুর্গাপুজো দেখলে বুঝতে পারবেন এটা ঠিক কতটা বড়। ওই সময় শহরের ছবিটাই বদলে যায়। দুর্গাপুজো এলেই সকলের মুখে হাসি আসে। সাত থেকে সত্তর সকলের মুখে হাসি ফোটায় দুর্গাপুজো।”

 

ক্যালেন্ডার মতে পুজো শুরু হতে এখনও একমাস বাকি। কিন্তু পয়লা সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকেই বাঙালির পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গেল। ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে  বৃহস্পতিবার পথে নামেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এ দিন কলকাতা, হাওড়া এবং সল্টলেকের পুজো কমিটিগুলোকে নিয়ে, জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ি থেকে বর্ণাঢ্য মিছিল করেন তিনি। এরপর সেন্ট্রাল অ্য়াভিনিউ, ধর্মতলা, রানি রাসমণি রোড হয়ে রেড রোডে শেষ হয় মিছিল। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতেই ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। বৃষ্টির হলেও বিপুল পরিমাণ সাধারণ মানুষ যে তাঁর সঙ্গে রাস্তায় নেমেছেন, সেজন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় পা মেলানোর পাশাপাশি, রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষের সঙ্গেও জনসংযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

একই সঙ্গে কলকাতার রাজপথে আগমনীর সুর বেজে ওঠে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজপথে নামেন টলিউডের বহু অভিনেতা, সমাজের বিশিষ্ট মানুষজন। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পুজো উদ্য়োক্তারা ছাড়াও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় পা মেলান মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের মতো ফুটবল ক্লাবগুলো।