০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডায়াবেটিস রোগীরা কিডনির সুস্থতায় মেনে চলুন ৬ টিপস

ঘরে ঘরে এখন ডায়াবেটিসের সমস্যা। বিশ্বে দ্রুত মাত্রায় প্রসার লাভ করছে ডায়াবেটিস। একবার ডায়াবেটিস ধরা পড়লে তা ক্রমে বাকি অঙ্গের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে শুরু করে। যে কারণে দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে কিডনির সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। তবে সময় থাকতে সচেতন হলে ডায়াবেটিস রোগীরাও সুস্থ থাকতে পারে। 

চলুন জেনে নেওয়া যাক যে নিয়মগুলো মেনে চললে ডায়াবেটিস রোগীদের কিডনি থাকবে সুস্থ।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখলে কিডনি রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে। খাদ্য, ব্যায়াম এবং ওষুধের মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। ডায়াবেটিস রোগীদের নির্দিষ্ট সময় অন্তর-অন্তর ব্লাড সুগার চেক করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সর্বদা ৭-এর নীচে HBA1c বজায় রাখার চেষ্টা করুন।

> অনেক ডায়াবেটিস রোগীর আবার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে, যার ফলে কিডনি রোগ হওয়ার ঝুঁকি আরও বাড়ে। তবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখলে ডায়াবেটিস রোগীদের ঝুঁকি অনেকটাই কমতে পারে। ব্লাড প্রেশার সর্বদা ১৩০/৮০ এর কম থাকা সবচেয়ে ভাল।

> তামাক সেবন শুধু হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় না, কিডনি রোগেরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সর্বদা তামাক থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।

> কম লবণ গ্রহণ এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে কিডনি রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, বিদ্যমান কিডনি রোগের ক্ষেত্রে কম প্রোটিন গ্রহণ এবং জাঙ্ক ফুড এড়ানোরও পরামর্শ দেওয়া হয়। কমপক্ষে রোজ ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন কিংবা হাঁটুন। ওজন রাখতে হবে নিয়ন্ত্রণে। এতে শরীর থাকবে সুস্থ। এতে একদিকে যেমন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তেমনই কিডনিও ভালো থাকবে।

> উপরোক্ত ব্যবস্থাগুলো ছাড়াও, সমস্ত ডায়াবেটিস রোগীদের দু’টি গ্রুপের ওষুধ দেওয়া উচিত, যেগুলো কিডনি রোগ সারাতে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা ভুলেও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাবেন না। এতে শারীরিক জটিলতা আরও বৃদ্ধি পাবে। ডায়াবেটিস রোগীরা ভুলেও এমন কোনও ওষুধ খাবেন না, যাতে কিডনির উপর খারাপ প্রভাব পড়ে।

> নিয়মিত ফলমূল, শাকসবজি খান। চর্বিহীন মাংস, বাদাম, কম লবণ যুক্ত খাবারও খেতে পারেন। কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার ডায়েটে যোগ করুন। বেকারি পণ্য এড়িয়ে চলুন। এতে কিডনি ভালো থাকবে এবং সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াদাওয়া করলে আরও ভালো উপকার পাবেন।

সূত্র: বোল্ডস্কাই
এমএম/

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতে ৩শ’ রুপির গয়না ৬ কোটিতে বিক্রি করে মার্কিন নারীর সঙ্গে প্রতারণা।

ডায়াবেটিস রোগীরা কিডনির সুস্থতায় মেনে চলুন ৬ টিপস

Update Time : ০৬:১৯:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২

ঘরে ঘরে এখন ডায়াবেটিসের সমস্যা। বিশ্বে দ্রুত মাত্রায় প্রসার লাভ করছে ডায়াবেটিস। একবার ডায়াবেটিস ধরা পড়লে তা ক্রমে বাকি অঙ্গের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে শুরু করে। যে কারণে দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে কিডনির সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। তবে সময় থাকতে সচেতন হলে ডায়াবেটিস রোগীরাও সুস্থ থাকতে পারে। 

চলুন জেনে নেওয়া যাক যে নিয়মগুলো মেনে চললে ডায়াবেটিস রোগীদের কিডনি থাকবে সুস্থ।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখলে কিডনি রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে। খাদ্য, ব্যায়াম এবং ওষুধের মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। ডায়াবেটিস রোগীদের নির্দিষ্ট সময় অন্তর-অন্তর ব্লাড সুগার চেক করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সর্বদা ৭-এর নীচে HBA1c বজায় রাখার চেষ্টা করুন।

> অনেক ডায়াবেটিস রোগীর আবার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে, যার ফলে কিডনি রোগ হওয়ার ঝুঁকি আরও বাড়ে। তবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখলে ডায়াবেটিস রোগীদের ঝুঁকি অনেকটাই কমতে পারে। ব্লাড প্রেশার সর্বদা ১৩০/৮০ এর কম থাকা সবচেয়ে ভাল।

> তামাক সেবন শুধু হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায় না, কিডনি রোগেরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সর্বদা তামাক থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।

> কম লবণ গ্রহণ এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, ডায়াবেটিস রোগীদের মধ্যে কিডনি রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, বিদ্যমান কিডনি রোগের ক্ষেত্রে কম প্রোটিন গ্রহণ এবং জাঙ্ক ফুড এড়ানোরও পরামর্শ দেওয়া হয়। কমপক্ষে রোজ ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন কিংবা হাঁটুন। ওজন রাখতে হবে নিয়ন্ত্রণে। এতে শরীর থাকবে সুস্থ। এতে একদিকে যেমন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তেমনই কিডনিও ভালো থাকবে।

> উপরোক্ত ব্যবস্থাগুলো ছাড়াও, সমস্ত ডায়াবেটিস রোগীদের দু’টি গ্রুপের ওষুধ দেওয়া উচিত, যেগুলো কিডনি রোগ সারাতে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা ভুলেও চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাবেন না। এতে শারীরিক জটিলতা আরও বৃদ্ধি পাবে। ডায়াবেটিস রোগীরা ভুলেও এমন কোনও ওষুধ খাবেন না, যাতে কিডনির উপর খারাপ প্রভাব পড়ে।

> নিয়মিত ফলমূল, শাকসবজি খান। চর্বিহীন মাংস, বাদাম, কম লবণ যুক্ত খাবারও খেতে পারেন। কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার ডায়েটে যোগ করুন। বেকারি পণ্য এড়িয়ে চলুন। এতে কিডনি ভালো থাকবে এবং সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাওয়াদাওয়া করলে আরও ভালো উপকার পাবেন।

সূত্র: বোল্ডস্কাই
এমএম/