গোপালগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে নারিকেল গাছ প্রতীকের প্রার্থী শেখ রকিব হোসেন বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। গোপালগঞ্জ পৌরসভায় উন্মুক্ত নির্বাচন দেওয়া হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচা শেখ রকিব হোসেনের পক্ষে তার প্রতিদ্বন্দ্বী নয় প্রার্থী তাঁকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচনি মাঠ থেকে সরে দাঁড়ান। ফলে নিয়মরক্ষার নির্বাচনে মেয়র হিসেবে ৩৪ হাজার ৪৬ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন শেখ রকিব হোসেন।এই নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ছিলেন ১০ জন। তবে, তার মধ্যে নয়জনই সরে দাঁড়িয়েছেন নির্বাচন থেকে। এখন এ পদে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শেখ রকিব হোসেন।
গতকাল সোমবার রাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. দিদারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে যান। একইসঙ্গে তিনি মেয়র প্রার্থী শেখ রকিব হোসেনকে সমর্থন জানান।শেখ রকিব নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে লড়ছিলেন। মো. দিদারুল ইসলাম সমর্থন দেওয়ার পার তাঁর আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী থাকল না।গত ৬ জুন মৃণাল কান্তি রায় চৌধুরী পপা সর্ব প্রথম শেখ রকিব হোসেনকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচনী মাঠ ছাড়েন। এরপর একে একে নির্বাচন থেকে সরে যান আট প্রার্থী।গত শুক্রবার দুপুরে শহরের চৌরঙ্গী এলাকায় জনসমাবেশ করে জেলা যুবলীগের সভাপতি ও স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী জিএম সাহাবুদ্দিন আজম এবং বিকেলে শহরতলীর সোনাকূড় নিজ বসতবাড়িতে সাবেক মেয়র জেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক মো. রেজাউল হক শিকদার রাজু সরে যান। তাঁরাও শেখ রকিব হোসেনকে সমর্থন জানান।রাতে শহরের শিকদারপাড়ার নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলন করে আরেক স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী দীলিপ কুমার সাহা দিপু নির্বাচন থেকে সরে যান।
পরদিন শনিবার বিকেলে মিয়াপাড়া নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী এস এম নজরুল ইসলাম ও আবুল ফাত্তাহ সজু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।গত রোববার বিকেলে মোহাম্মদপাড়া এলাকার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে পৌর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী লিয়াকত আলী লেকু। এসময় তিনি শেখ রকিব হোসেনকে সমর্থন জানান। পরে সড়ে যান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাস-মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মুশফিকুর রহমান লিটন। আর গতকাল রাতে শেখ রকিবকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ালেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. দিদারুল ইসলাম।
Leave a Reply