০২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গত ২৫ দি‌নে রাজশাহী মে‌ডি‌কে‌লে ক‌রোনায় মৃত্যু ২৭৪, গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ জন।

  • Reporter Name
  • Update Time : ১১:৪২:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১
  • 38

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের পাঁচজনের করোনা পজেটিভ ছিল। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এদিকে রাজশাহীতে ৩০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে করোনা শনাক্তের হার।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টার বিভিন্ন সময় তারা মারা যায়। এদের মধ্যে রাজশাহীর ছয়জন। বাকিদের মধ্যে চাঁপাইনবাগঞ্জের চারজন, নাটোরের একজন ও নওগাঁর তিনজন। দুইজন মারা যান আইসিইউতে।

মৃতদের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও সাতজন নারী। এদের মধ্যে চারজনের বয়স ৬১ বছরের উপরে। বাকিদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চারজন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের একজন।

এ নিয়ে চলতি মাসের গত ২৫ দিনে এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ২৭৪ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ১২৭ জন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৯৭ জন। সবচেয়ে বেশি মারা যায় গতকাল ২৪ জুন ১৮ জন এবং সবচেয়ে কম ১২ জুন চারজন।

শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৫ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ৪৪ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৮, নাটোরের পাঁচ, নওগাঁর ছয়, পাবনার একজন ও কুষ্টিয়ায় একজন। একই সময়ে সুস্থ্য হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৩ জন।

শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৩৫৭ বেডের বিপরীতে মোট চিকিৎসাধীন রোগী আছেন ৪২৩ জন। বাকিদেরকে মেঝে ও বারান্দায় অতিরিক্ত বেড তৈরি করে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান হাসপাতাল পরিচালক।

এর মধ্যে রাজশাহীর ২৮৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৬৪ জন, নাটোরের ৩১ জন, নওগাঁর ২৯ জন, পাবনার আট জন, কুষ্টিয়ার তিনজন, চুয়াডাঙ্গার দুইজন, দিনাজপুরের একজন ও ঢাকার একজন রয়েছেন। আইউসিইউতে ভর্তি আছেন ২০ জন।

এদিকে রাজশাহীতে ৩০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে করোনা শনাক্তের হার। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে শনাক্তের হার ৩০ থেকে ৫০ এর ঘরে ছিল। যা বেড়ে সর্বোচ্চ ৬১ শতাংশের উপরে উঠে। তিন সপ্তাহের চলমান লকডাউনের মধ্যে গত পাঁচদিন থেকে শনাক্ত কমতে শুরু করে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, বৃহস্পতিবার দুটি ল্যাবে রাজশাহীর ৪০০ নমুনা পরীক্ষায় ১১৯ জনের শরীরে ভাইরাস পাওয়া গেছে। যা আগের দিনের চেয়ে ৪ দশমিক ২ শতাংশ কমে করোনা শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। যা আগের দিন ছিল ৩৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এর আগের মঙ্গলবার ৩৩ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং সোমবার ছিল ৩৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।

রাজশাহী ছাড়াও নওগাঁর ১৬০ নমুনা পরীক্ষায় পজেটিভ এসেছে ৬১ জনের। শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। এছাড়াও বিদেশগামী আটজনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ঈদের পর থেকে রাজশাহীতে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকলে গত ১১ জুন সিটি করপোরেশন এলাকায় এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ১৬ জুন সেটি আরেক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২৪ জুন মধ্য রাত পর্যন্ত করা হয়। তা আরেক দফা বাড়িয়ে আগামী ৩০ জুন মধ্য রাত পর্যন্ত করা হয়েছে।

আজ থেকে রাজশাহীতে তৃতীয় দফার লকডাউন শুরু হয়েছে।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতে ৩শ’ রুপির গয়না ৬ কোটিতে বিক্রি করে মার্কিন নারীর সঙ্গে প্রতারণা।

গত ২৫ দি‌নে রাজশাহী মে‌ডি‌কে‌লে ক‌রোনায় মৃত্যু ২৭৪, গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ জন।

Update Time : ১১:৪২:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের পাঁচজনের করোনা পজেটিভ ছিল। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এদিকে রাজশাহীতে ৩০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে করোনা শনাক্তের হার।

হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টার বিভিন্ন সময় তারা মারা যায়। এদের মধ্যে রাজশাহীর ছয়জন। বাকিদের মধ্যে চাঁপাইনবাগঞ্জের চারজন, নাটোরের একজন ও নওগাঁর তিনজন। দুইজন মারা যান আইসিইউতে।

মৃতদের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও সাতজন নারী। এদের মধ্যে চারজনের বয়স ৬১ বছরের উপরে। বাকিদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চারজন এবং ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের একজন।

এ নিয়ে চলতি মাসের গত ২৫ দিনে এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেলেন ২৭৪ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ১২৭ জন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৯৭ জন। সবচেয়ে বেশি মারা যায় গতকাল ২৪ জুন ১৮ জন এবং সবচেয়ে কম ১২ জুন চারজন।

শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৫ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ৪৪ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৮, নাটোরের পাঁচ, নওগাঁর ছয়, পাবনার একজন ও কুষ্টিয়ায় একজন। একই সময়ে সুস্থ্য হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪৩ জন।

শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৩৫৭ বেডের বিপরীতে মোট চিকিৎসাধীন রোগী আছেন ৪২৩ জন। বাকিদেরকে মেঝে ও বারান্দায় অতিরিক্ত বেড তৈরি করে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান হাসপাতাল পরিচালক।

এর মধ্যে রাজশাহীর ২৮৩ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৬৪ জন, নাটোরের ৩১ জন, নওগাঁর ২৯ জন, পাবনার আট জন, কুষ্টিয়ার তিনজন, চুয়াডাঙ্গার দুইজন, দিনাজপুরের একজন ও ঢাকার একজন রয়েছেন। আইউসিইউতে ভর্তি আছেন ২০ জন।

এদিকে রাজশাহীতে ৩০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে করোনা শনাক্তের হার। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে শনাক্তের হার ৩০ থেকে ৫০ এর ঘরে ছিল। যা বেড়ে সর্বোচ্চ ৬১ শতাংশের উপরে উঠে। তিন সপ্তাহের চলমান লকডাউনের মধ্যে গত পাঁচদিন থেকে শনাক্ত কমতে শুরু করে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, বৃহস্পতিবার দুটি ল্যাবে রাজশাহীর ৪০০ নমুনা পরীক্ষায় ১১৯ জনের শরীরে ভাইরাস পাওয়া গেছে। যা আগের দিনের চেয়ে ৪ দশমিক ২ শতাংশ কমে করোনা শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ। যা আগের দিন ছিল ৩৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এর আগের মঙ্গলবার ৩৩ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং সোমবার ছিল ৩৩ দশমিক ৫১ শতাংশ।

রাজশাহী ছাড়াও নওগাঁর ১৬০ নমুনা পরীক্ষায় পজেটিভ এসেছে ৬১ জনের। শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। এছাড়াও বিদেশগামী আটজনের নমুনা পরীক্ষায় একজনের পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ঈদের পর থেকে রাজশাহীতে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকলে গত ১১ জুন সিটি করপোরেশন এলাকায় এক সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ১৬ জুন সেটি আরেক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২৪ জুন মধ্য রাত পর্যন্ত করা হয়। তা আরেক দফা বাড়িয়ে আগামী ৩০ জুন মধ্য রাত পর্যন্ত করা হয়েছে।

আজ থেকে রাজশাহীতে তৃতীয় দফার লকডাউন শুরু হয়েছে।