১০:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে এক পা শ্রীলংকার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৩৩:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 18

এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলংকা। এই জয়ে ফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রাখলো লংকানরা। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৪ উইকেটে হারায় শ্রীলংকা। ফলে ২ খেলায় ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে শ্রীলংকা। আর প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের পর এবার শ্রীলংকার কাছে হেরে ফাইনাল উঠার সুযোগ একরকম শেষ হয়ে গেল ভারতের। তারপরও অনেক ‘যদি’ উপর নির্ভর করবে ভারতের ফাইনাল খেলা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলংকা। ব্যাট হাতে নেমে তিন ওভারের মধ্যে ডাবল ধাক্কা খায় ভারত। দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার লোকশ রাহুল ৬ ও তৃতীয় ওভারে বিরাট কোহলি শূন্য হাতে প্যাভিলিয়নে ফিরেন। রাহুলকে লেগ বিফোর ফাঁদে ফেলেন স্পিনার মহেশ থিকশানা ও কোহলিকে বোল্ড করেন দিলশান মধুশাঙ্কা।
১৩ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে ভড়কে যাননি আরেক ওপেনার অধিনায়ক রোহিত শর্মা। শ্রীলংকার বোলারদের পাল্টা আক্রমন করেন রোহিত। তার মারমুখী মেজাজে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৪৪ রান পায় ভারত। রোহিতকে সঙ্গ দিয়েছেন চার নম্বরে নামা সূর্যকুমার যাদব।
মারমুখী মেজাজ অব্যাহত রেখে ৩২ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৩২তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রোহিত। এতে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ হাফ-সেঞ্চুরিতে কোহলিকে স্পর্শ করেন তিনি। কোহলিরও ৩২টি অর্ধশতক রয়েছে।
১৩তম ওভারে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪১ বলে ৭২ রান  রোহিতকে থামান চামিকা করুনারতেœ। । তৃতীয় উইকেটে সূর্যর সাথে ৫৮ বলে ৯৭ রান যোগ করেন রোহিত।
দলীয় ১১০ রানে রোহিতের আউটের পর শ্রীলংকার বোলারদের উপর খুব বেশি চড়াও হতে পারেনি ভারতের পরের দিকের ব্যাটাররা। শেষ ৪৬ বলে ৬০ রান পায় ভারত। শেষ পর্যন্ত  ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭৩ রানের সংগ্রহ পায় টিম ইন্ডিয়া। সূর্য় ২৯ বলে ৩৪, হার্ডিক পান্ডিয়া-ঋসভ পান্থ ১৩ বল করে খেলে ১৭ রান করে করেন। শেষদিকে রবীচন্দ্রন অশি^ন ৭ বলে অপরাজিত ১৫ রান তুলেন। শ্রীলংকার মুধশাঙ্কা ২৪ রানে ৩ উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১৭৪ রানের জবাবে উড়ন্ত সূচনা করে শ্রীলংকা। পাওয়ার-প্লেতে ৫৭ রান তুলেন লংক্না দুই ওপেনার কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্কা। ১০ম ওভারে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাফ-সেঞ্চুরি করেন নিশাঙ্কা। এজন্য ৩৩ বল খেলেন তিনি।
১১ ওভার শেষে শ্রীলংকার রান ছিলো বিনা উইকেটে ৯৭। ১২তম ওভারে ভারতকে  ডাবল ব্রেক-থ্রু এনে দেন স্পিনার যুজবেন্দ্রা চাহাল। প্রথম বলে নিশাঙ্কাকে ৫২ রানে ও চতুর্থ বলে চারিথা আসালঙ্কাকে শূন্য হাতে বিদায় দেন চাহাল। ৩৭ বল খেলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন নিশাঙ্কা।
৯৭ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়ে শ্রীলংকাকে চেপে ধরে ভারত। সেই চাপ আরও বাড়ান চাহাল ও অশি^ন। দলীয় ১১০ রানে কুশলকে শিকার করেন চাহাল। আর দানুস্কা গুনাথিলাকাকে ১ রানে ফেরান অশি^ন। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৭ বলে ৫৭ রান করেন কুশল।
কুশল ও গুনাথিলাকা ফেরার সময় জিততে ৩৫ বলে ৬৪ রান দরকার ছিলো শ্রীলংকার। এরপর ২৩ বলে ৪৩ রানের জুটি গড়ে জয়ের সমীকরন শেষ ২ ওভারে ২১ রানে নামিয়ে আনেন ভানুকা রাজাপাকসে ও অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ভুবেনশ^রের করা ১৯তম ওভার থেকে ১৪ রান তুলে নেয় লংকানরা। এতে শেষ ওভারে জিততে ৭ রান দরকার পড়ে শ্রীলংকার।
আর্শদীপ সিংয়ের করা শেষ ওভারের প্রথম চার বলে এক করে চার নেন শানাকা ও রাজাপাকসে। আর পঞ্চম বলে বাই থেকে ২ রান নিয়ে ম্যাচ জয়ের আনন্দে ভাসে  শ্রীলংকা।
শানাকা ১৮ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ৩৩ রান করেন। আর ২টি ছক্কায় ১৭ বলে অপরাজিত ২৫ রান করেন রাজাপাকসে। ভারতের চাহাল ৩৪ রানে ৩ উইকেট নেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে এক পা শ্রীলংকার

Update Time : ০১:৩৩:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলংকা। এই জয়ে ফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রাখলো লংকানরা। সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৪ উইকেটে হারায় শ্রীলংকা। ফলে ২ খেলায় ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে শ্রীলংকা। আর প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের পর এবার শ্রীলংকার কাছে হেরে ফাইনাল উঠার সুযোগ একরকম শেষ হয়ে গেল ভারতের। তারপরও অনেক ‘যদি’ উপর নির্ভর করবে ভারতের ফাইনাল খেলা।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলংকা। ব্যাট হাতে নেমে তিন ওভারের মধ্যে ডাবল ধাক্কা খায় ভারত। দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার লোকশ রাহুল ৬ ও তৃতীয় ওভারে বিরাট কোহলি শূন্য হাতে প্যাভিলিয়নে ফিরেন। রাহুলকে লেগ বিফোর ফাঁদে ফেলেন স্পিনার মহেশ থিকশানা ও কোহলিকে বোল্ড করেন দিলশান মধুশাঙ্কা।
১৩ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে ভড়কে যাননি আরেক ওপেনার অধিনায়ক রোহিত শর্মা। শ্রীলংকার বোলারদের পাল্টা আক্রমন করেন রোহিত। তার মারমুখী মেজাজে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেটে ৪৪ রান পায় ভারত। রোহিতকে সঙ্গ দিয়েছেন চার নম্বরে নামা সূর্যকুমার যাদব।
মারমুখী মেজাজ অব্যাহত রেখে ৩২ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ৩২তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রোহিত। এতে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ হাফ-সেঞ্চুরিতে কোহলিকে স্পর্শ করেন তিনি। কোহলিরও ৩২টি অর্ধশতক রয়েছে।
১৩তম ওভারে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪১ বলে ৭২ রান  রোহিতকে থামান চামিকা করুনারতেœ। । তৃতীয় উইকেটে সূর্যর সাথে ৫৮ বলে ৯৭ রান যোগ করেন রোহিত।
দলীয় ১১০ রানে রোহিতের আউটের পর শ্রীলংকার বোলারদের উপর খুব বেশি চড়াও হতে পারেনি ভারতের পরের দিকের ব্যাটাররা। শেষ ৪৬ বলে ৬০ রান পায় ভারত। শেষ পর্যন্ত  ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭৩ রানের সংগ্রহ পায় টিম ইন্ডিয়া। সূর্য় ২৯ বলে ৩৪, হার্ডিক পান্ডিয়া-ঋসভ পান্থ ১৩ বল করে খেলে ১৭ রান করে করেন। শেষদিকে রবীচন্দ্রন অশি^ন ৭ বলে অপরাজিত ১৫ রান তুলেন। শ্রীলংকার মুধশাঙ্কা ২৪ রানে ৩ উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১৭৪ রানের জবাবে উড়ন্ত সূচনা করে শ্রীলংকা। পাওয়ার-প্লেতে ৫৭ রান তুলেন লংক্না দুই ওপেনার কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্কা। ১০ম ওভারে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাফ-সেঞ্চুরি করেন নিশাঙ্কা। এজন্য ৩৩ বল খেলেন তিনি।
১১ ওভার শেষে শ্রীলংকার রান ছিলো বিনা উইকেটে ৯৭। ১২তম ওভারে ভারতকে  ডাবল ব্রেক-থ্রু এনে দেন স্পিনার যুজবেন্দ্রা চাহাল। প্রথম বলে নিশাঙ্কাকে ৫২ রানে ও চতুর্থ বলে চারিথা আসালঙ্কাকে শূন্য হাতে বিদায় দেন চাহাল। ৩৭ বল খেলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন নিশাঙ্কা।
৯৭ রানে ২ উইকেট তুলে নিয়ে শ্রীলংকাকে চেপে ধরে ভারত। সেই চাপ আরও বাড়ান চাহাল ও অশি^ন। দলীয় ১১০ রানে কুশলকে শিকার করেন চাহাল। আর দানুস্কা গুনাথিলাকাকে ১ রানে ফেরান অশি^ন। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৭ বলে ৫৭ রান করেন কুশল।
কুশল ও গুনাথিলাকা ফেরার সময় জিততে ৩৫ বলে ৬৪ রান দরকার ছিলো শ্রীলংকার। এরপর ২৩ বলে ৪৩ রানের জুটি গড়ে জয়ের সমীকরন শেষ ২ ওভারে ২১ রানে নামিয়ে আনেন ভানুকা রাজাপাকসে ও অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ভুবেনশ^রের করা ১৯তম ওভার থেকে ১৪ রান তুলে নেয় লংকানরা। এতে শেষ ওভারে জিততে ৭ রান দরকার পড়ে শ্রীলংকার।
আর্শদীপ সিংয়ের করা শেষ ওভারের প্রথম চার বলে এক করে চার নেন শানাকা ও রাজাপাকসে। আর পঞ্চম বলে বাই থেকে ২ রান নিয়ে ম্যাচ জয়ের আনন্দে ভাসে  শ্রীলংকা।
শানাকা ১৮ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ৩৩ রান করেন। আর ২টি ছক্কায় ১৭ বলে অপরাজিত ২৫ রান করেন রাজাপাকসে। ভারতের চাহাল ৩৪ রানে ৩ উইকেট নেন।