০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শকুন রক্ষায় এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে এগিয়ে : পরিবেশ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৫৯:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 31

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শকুন রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
তিনি বলেন,  দেশে ২০১০ সালে শকুনের জন্য ক্ষতিকর ঔষধ ডাইক্লোফেনাক নিষিদ্ধ করা হয়, যা এশিয়ার মধ্যে প্রথম। এরপর অন্য আরেকটি ক্ষতিকর ঔষধ কিটোপ্রফেনও নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিটোপ্রফেন নিষিদ্ধের পর নিরাপদ ঔষধ মেলোক্সিক্যাম ও টলফামেনিক এসিডির ব্যবহার বাড়তে শুরু করেছে।
পরিবেশমন্ত্রী আরো বলেন,  এ ব্যাপারে সকল ঔষধ কোম্পানিকে ক্ষতিকর কিটোপ্রফেন উৎপাদন ও বিপণন বন্ধে সরকারি নির্দেশ মেনে চলতে হবে। আর শকুন সংরক্ষণে দীর্ঘমেয়াদি বিজ্ঞানভিত্তিক যে কোন পরিকল্পনা আমাদের মন্ত্রণালয়ে আসলে তা বাস্তবায়নে সহায়তা করা হবে।
শাহাব উদ্দিন আজ রাজধানীর বন অধিদপ্তর মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় শকুন সংরক্ষণ কমিটি’ গঠন, সরকারিভাবে দ’ুটি শকুন নিরাপদ অঞ্চল ঘোষণা এবং দশ বছর মেয়াদি ‘বাংলাদেশ শকুন সংরক্ষণ কর্মপরিকল্পনা’ বাংলাদেশের শকুন রক্ষা করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি কাঠামো হিসেবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে শকুন সংরক্ষণ কর্মপরিকল্পনার অনেক কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে এবং বাকী কার্যক্রমগুলোও সম্পন্ন করতে সরকার বদ্ধপরিকর রয়েছে।
প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার ও অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন।
পরে মন্ত্রী শকুন সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আয়োজিত পোস্টার তৈরি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ: আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শকুন রক্ষায় এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে এগিয়ে : পরিবেশ

Update Time : ০৫:৫৯:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শকুন রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
তিনি বলেন,  দেশে ২০১০ সালে শকুনের জন্য ক্ষতিকর ঔষধ ডাইক্লোফেনাক নিষিদ্ধ করা হয়, যা এশিয়ার মধ্যে প্রথম। এরপর অন্য আরেকটি ক্ষতিকর ঔষধ কিটোপ্রফেনও নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিটোপ্রফেন নিষিদ্ধের পর নিরাপদ ঔষধ মেলোক্সিক্যাম ও টলফামেনিক এসিডির ব্যবহার বাড়তে শুরু করেছে।
পরিবেশমন্ত্রী আরো বলেন,  এ ব্যাপারে সকল ঔষধ কোম্পানিকে ক্ষতিকর কিটোপ্রফেন উৎপাদন ও বিপণন বন্ধে সরকারি নির্দেশ মেনে চলতে হবে। আর শকুন সংরক্ষণে দীর্ঘমেয়াদি বিজ্ঞানভিত্তিক যে কোন পরিকল্পনা আমাদের মন্ত্রণালয়ে আসলে তা বাস্তবায়নে সহায়তা করা হবে।
শাহাব উদ্দিন আজ রাজধানীর বন অধিদপ্তর মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় শকুন সংরক্ষণ কমিটি’ গঠন, সরকারিভাবে দ’ুটি শকুন নিরাপদ অঞ্চল ঘোষণা এবং দশ বছর মেয়াদি ‘বাংলাদেশ শকুন সংরক্ষণ কর্মপরিকল্পনা’ বাংলাদেশের শকুন রক্ষা করার জন্য দীর্ঘমেয়াদি কাঠামো হিসেবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে শকুন সংরক্ষণ কর্মপরিকল্পনার অনেক কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে এবং বাকী কার্যক্রমগুলোও সম্পন্ন করতে সরকার বদ্ধপরিকর রয়েছে।
প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার ও অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন।
পরে মন্ত্রী শকুন সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আয়োজিত পোস্টার তৈরি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।