০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করে এইডসে আক্রান্ত ৩ নারী।

বিশেষ কসমেটিক চিকিৎসা ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করিয়ে এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন তিন নারী। দেশটির দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য নিউ মেক্সিকোর সবচেয়ে জনবহুল শহর আলবুকার্কে এই ঘটনা ঘটেছে।

দেশটির সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল বিভাগ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। তারা জানায়, মাইক্রো নিডলিং এর মাধ্যমে যে এইডসের জীবাণু ছড়াতে পারে তা এই প্রথম জানা গেল।

ফেস লিফিটিংয়ের চেয়ে ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল তুলনামূলক কম ব্যয়বহুল হওয়ায় আজকাল অনেকেই এই ফেসিয়ালের দিকে ঝুঁকছেন। ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়ালে মূলত, ব্যক্তির হাতের কবজি থেকে কিছুটা রক্ত নিয়ে, তার প্লাটিলেট আলাদা করে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে চেহারায় পুশ করা হয়ে থাকে। তবে অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় এই ফেসিয়াল করলে তার ফলাফল মারাত্মক হতে পারে। রক্তের মাধ্যমে এই ফেসিয়াল করা হয় বিধায় এটি ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল নামে পরচিতি পেয়েছে।

সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, মধ্য বয়স্ক প্রথম এক নারীর এইচ আইভি ধরা পড়ে ২০১৮ সালে। তারপর নিউ মেক্সিকোর স্বাস্থ্য বিভাগ ফ্রি এইচআইভি টেস্টের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরপর গত বছর আরেক নারীর এইচআইভি সংক্রমণের পর তারা তাদের তদন্ত আবারও শুরু করে।

তদন্তে বেরিয়ে আসে, ওই নারী কোনো ধরনের মাদক গ্রহণ করেননি বা এইচ আইভি আছে এমন কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শেও আসেননি। তবুও তিনি এই ভাইরারসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে জানান, শুধু মাত্র এই ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল নিয়েছিলেন তিনি।

সিডিসি আরও বলছে, ওই স্পা পরিচালনা করার কোনো বৈধতা ছিল না। এমনকি স্পার রান্নাঘরে পাওয়া গেছে লেবেলবিহীন নানা রকমের রক্তের টিউব।

এই সংস্থা জানায়, ওই স্পা থেকে সেবা নেয়া মোট ৫৯ জন এইচ আইভির ঝুঁকিতে আছেন। তারমধ্যে ২০ জন এই ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল নিয়েছেন। তবে সেখানে কীভাবে এই ভাইরাস এসেছে তা এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি।

এটিএম/

Tag :
About Author Information

৫০০ টাকার জন্য শিশুকে ব্রহ্মপুত্রে ফেলে দিলো কিশোর।

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করে এইডসে আক্রান্ত ৩ নারী।

Update Time : ০৮:৩৬:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

বিশেষ কসমেটিক চিকিৎসা ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল করিয়ে এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন তিন নারী। দেশটির দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য নিউ মেক্সিকোর সবচেয়ে জনবহুল শহর আলবুকার্কে এই ঘটনা ঘটেছে।

দেশটির সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল বিভাগ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। তারা জানায়, মাইক্রো নিডলিং এর মাধ্যমে যে এইডসের জীবাণু ছড়াতে পারে তা এই প্রথম জানা গেল।

ফেস লিফিটিংয়ের চেয়ে ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল তুলনামূলক কম ব্যয়বহুল হওয়ায় আজকাল অনেকেই এই ফেসিয়ালের দিকে ঝুঁকছেন। ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়ালে মূলত, ব্যক্তির হাতের কবজি থেকে কিছুটা রক্ত নিয়ে, তার প্লাটিলেট আলাদা করে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে চেহারায় পুশ করা হয়ে থাকে। তবে অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় এই ফেসিয়াল করলে তার ফলাফল মারাত্মক হতে পারে। রক্তের মাধ্যমে এই ফেসিয়াল করা হয় বিধায় এটি ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল নামে পরচিতি পেয়েছে।

সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, মধ্য বয়স্ক প্রথম এক নারীর এইচ আইভি ধরা পড়ে ২০১৮ সালে। তারপর নিউ মেক্সিকোর স্বাস্থ্য বিভাগ ফ্রি এইচআইভি টেস্টের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এরপর গত বছর আরেক নারীর এইচআইভি সংক্রমণের পর তারা তাদের তদন্ত আবারও শুরু করে।

তদন্তে বেরিয়ে আসে, ওই নারী কোনো ধরনের মাদক গ্রহণ করেননি বা এইচ আইভি আছে এমন কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শেও আসেননি। তবুও তিনি এই ভাইরারসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে জানান, শুধু মাত্র এই ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল নিয়েছিলেন তিনি।

সিডিসি আরও বলছে, ওই স্পা পরিচালনা করার কোনো বৈধতা ছিল না। এমনকি স্পার রান্নাঘরে পাওয়া গেছে লেবেলবিহীন নানা রকমের রক্তের টিউব।

এই সংস্থা জানায়, ওই স্পা থেকে সেবা নেয়া মোট ৫৯ জন এইচ আইভির ঝুঁকিতে আছেন। তারমধ্যে ২০ জন এই ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল নিয়েছেন। তবে সেখানে কীভাবে এই ভাইরাস এসেছে তা এখন পর্যন্ত জানা সম্ভব হয়নি।

এটিএম/