মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা চলছিল বেশ।
তবে এসবকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আয়োজক দেশটি নিজস্ব সংস্কৃতিকে ধরে রেখে সুন্দরভাবে খেলা উপহার দিতে বদ্ধ পরিকর।
তবুও মরুর বুকে বিশ্বকাপকে ঘিরে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছেই না।
বিশ্বকাপের ৬০ ম্যাচ শেষে এসে আবারও শুরু হয়েছে বিতর্ক। এবার এই তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে রেফারিং ইস্যু।
চলতি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলোতে তেমন বিতর্ক না থাকলেও নকআউট পর্বের কোয়ার্টার ফাইনালের দুই ম্যাচে রেফারিং নিয়ে মুখ খুলেছেন ফুটবলাররা।
যেখানে অকপটে নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা প্রকাশ করেছেন তারা। যা খুব একটা ভালো লাগেনি বৈশ্বিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফারও।
সেজন্য বিশ্বকাপের বাকি ম্যাচগুলোতে সাবধানতার পথ খুঁজে নিয়েছে সংস্থাটি।
এজন্য আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যকার সেমিফাইনালের প্রথম ম্যাচ পরিচালনায় মূল রেফারি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইতালির অভিজ্ঞ রেফারি দানিয়েল ওরসাতোকে।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতির মাধ্যমে ওরসাতোকে এই দায়িত্ব দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে ফিফা।
এবারের বিশ্বকাপের কাতার ও ইকুয়েডরের মধ্যকার উদ্বোধনী ম্যাচেও রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ওরসাতো।
এছাড়াও গ্রুপ পর্বে আর্জেন্টিনার মেক্সিকোর বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ের ম্যাচেও রেফারি হিসেবে ছিলেন তিনি।
তবে কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্ব এবং কোয়ার্টার ফাইনালের কোন ম্যাচেই তাকে দেখা যায়নি।
তিনি বিশ্বকাপ কিংবা ক্লাব ফুটবলে রেফারিং করে বেশ ভালো প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
এবারের বিশ্বকাপ ফাইনাল পরিচালনার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য রেফারির তালিকায় তারও নাম রয়েছে।
ফলে আগের যে বিড়ম্বনা দেখা গেছে মাঠে, তা অনেকটা কেটে যাবে বলে ধারণা অনেকের।
ইতালিয়ান ঘরোয়া লিগে বেশ চেনা মুখ দানিয়েল ওরসাতো। যেখানে আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়ার অনেক ফুটবলার খেলার কারণে তাকে বেশ ভালোভাবেই জানা আছে।
এছাড়া ক্যারিয়ারে ৩ বার ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচে রেফারি ছিলেন তিনি।
যেখানে মদ্রিচরা দুইবার জয় লাভ করেছে এবং আরেকটি ম্যচে ইউরো ২০২০ এ ইংল্যান্ডের কাছে ১-০ ব্যবধানে হেরেছিল।
Leave a Reply