০৯:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেসিডেন্টের কাছে মুসলমানদের নামাজ নিষিদ্ধের দাবিতে রক্ত দিয়ে লেখা একটি চিঠি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:২৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০২২
  • 28

পূজা শকুন পান্ডে

পূজা শকুন পান্ডে একজন হিন্দু কর্মী এবং অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার জাতীয় সম্পাদক। তিনি মহামণ্ডলেশ্বর অন্নপূর্ণা ভারতী নামেও পরিচিত। প্রেসিডেন্টের কাছে মুসলমানদের নামাজ নিষিদ্ধের দাবিতে রক্ত দিয়ে একটি চিঠি লেখায় পূজা শকুন পান্ডের বিরুদ্ধে মামলা হয়। গতকাল সোমবার আলিগড় পুলিশ পান্ডেকে হেফাজতে নিয়েছে।
এ ধরনের বিতর্কিত বক্তব্য ও দাবির কারণে এর আগেও একাধিকবার সংবাদে এসেছেন এই কর্মী। ২০২০ সালে পূজা শকুনকে আলিগড়ে তাবলীগি জামাতের সদস্যদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক এবং অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল।
হিন্দু মহাসভা এ বছরের শুরুর দিকে ৩০ জানুয়ারি পন্ডিত নাথুরাম গডসে-নানা আপ্তে ভারতরত্ন প্রদান করে, যেদিন দেশ মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে। এ পুরস্কারপ্রাপ্তদের একজন ছিলেন পূজা শকুন পান্ডে। গান্ধী হত্যার পুনঃপ্রতিক্রিয়া করার জন্য তাকে ২০১৯ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
পূজা শকুন মিরাটে শরীয়া আদালতের সমতুল্য প্রথম হিন্দু আদালতের প্রথম মহিলা বিচারক হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি যদি গডসের আগে জন্ম নিতেন তবে তিনি নিজের হাতে গান্ধীকে হত্যা করতেন। ২০১৯ সালে বিতর্কের জন্য গ্রেফতার হওয়ার সময় তিনি বলেছিলেন, ‘এ প্রশংসা কেবলমাত্র সেই জাতীয়তাবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমার সংকল্পকে শক্তিশালী করবে যার প্রতিবাদে গডসে মারা গিয়েছিলেন’। তার স্বামীও তার পাশে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন যে, পূজা একজন সাহসী মহিলা যিনি হিন্দুত্বের সঠিক মূল্যবোধের প্রচার করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের শিশুদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি, কেউ আমাদের জন্মভূমির ঐক্যকে চ্যালেঞ্জ করলে তাকে হত্যা করার জন্য, আমাদের সন্তানরা আমাদের মতো নির্বোধ হবে না, তারা হত্যার শিকার হওয়ার আগে অনেককে হত্যা করবে’।
পূজা শকুন এখন নামাজ নিষিদ্ধ করার দাবিতে মামলা দায়ের করেছেন। তিনি প্রশাসনের কাছে একটি মেমো দিয়েছেন এবং প্রেসিডেন্টের কাছে রক্ত দিয়ে একটি চিঠি লিখেছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও, অতিরিক্ত (প্রথম) সিটি জজ, আলীগড় কর্তৃক একটি নোটিশ জারি করা হয়েছিল। আলিগড় এসএসপি কালনিধি নাইথানি জানিয়েছেন: ‘পূজা শকুন পান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ১৫৩বি, ২৯৫এ এবং ৫০৫ ধারার অধীনে তার বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে আলিগড়ের গান্ধী পার্ক থানায় একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এ মামলার তদন্ত চলছে এবং ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট বিচারক এ বিষয়ে নোটিশ দিয়েছেন। সূত্র : শিদ্যপিপলটিভি।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রেসিডেন্টের কাছে মুসলমানদের নামাজ নিষিদ্ধের দাবিতে রক্ত দিয়ে লেখা একটি চিঠি

Update Time : ০১:২৯:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০২২

পূজা শকুন পান্ডে একজন হিন্দু কর্মী এবং অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার জাতীয় সম্পাদক। তিনি মহামণ্ডলেশ্বর অন্নপূর্ণা ভারতী নামেও পরিচিত। প্রেসিডেন্টের কাছে মুসলমানদের নামাজ নিষিদ্ধের দাবিতে রক্ত দিয়ে একটি চিঠি লেখায় পূজা শকুন পান্ডের বিরুদ্ধে মামলা হয়। গতকাল সোমবার আলিগড় পুলিশ পান্ডেকে হেফাজতে নিয়েছে।
এ ধরনের বিতর্কিত বক্তব্য ও দাবির কারণে এর আগেও একাধিকবার সংবাদে এসেছেন এই কর্মী। ২০২০ সালে পূজা শকুনকে আলিগড়ে তাবলীগি জামাতের সদস্যদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক এবং অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল।
হিন্দু মহাসভা এ বছরের শুরুর দিকে ৩০ জানুয়ারি পন্ডিত নাথুরাম গডসে-নানা আপ্তে ভারতরত্ন প্রদান করে, যেদিন দেশ মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে। এ পুরস্কারপ্রাপ্তদের একজন ছিলেন পূজা শকুন পান্ডে। গান্ধী হত্যার পুনঃপ্রতিক্রিয়া করার জন্য তাকে ২০১৯ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
পূজা শকুন মিরাটে শরীয়া আদালতের সমতুল্য প্রথম হিন্দু আদালতের প্রথম মহিলা বিচারক হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি যদি গডসের আগে জন্ম নিতেন তবে তিনি নিজের হাতে গান্ধীকে হত্যা করতেন। ২০১৯ সালে বিতর্কের জন্য গ্রেফতার হওয়ার সময় তিনি বলেছিলেন, ‘এ প্রশংসা কেবলমাত্র সেই জাতীয়তাবাদ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমার সংকল্পকে শক্তিশালী করবে যার প্রতিবাদে গডসে মারা গিয়েছিলেন’। তার স্বামীও তার পাশে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন যে, পূজা একজন সাহসী মহিলা যিনি হিন্দুত্বের সঠিক মূল্যবোধের প্রচার করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের শিশুদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি, কেউ আমাদের জন্মভূমির ঐক্যকে চ্যালেঞ্জ করলে তাকে হত্যা করার জন্য, আমাদের সন্তানরা আমাদের মতো নির্বোধ হবে না, তারা হত্যার শিকার হওয়ার আগে অনেককে হত্যা করবে’।
পূজা শকুন এখন নামাজ নিষিদ্ধ করার দাবিতে মামলা দায়ের করেছেন। তিনি প্রশাসনের কাছে একটি মেমো দিয়েছেন এবং প্রেসিডেন্টের কাছে রক্ত দিয়ে একটি চিঠি লিখেছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও, অতিরিক্ত (প্রথম) সিটি জজ, আলীগড় কর্তৃক একটি নোটিশ জারি করা হয়েছিল। আলিগড় এসএসপি কালনিধি নাইথানি জানিয়েছেন: ‘পূজা শকুন পান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ১৫৩বি, ২৯৫এ এবং ৫০৫ ধারার অধীনে তার বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে আলিগড়ের গান্ধী পার্ক থানায় একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এ মামলার তদন্ত চলছে এবং ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট বিচারক এ বিষয়ে নোটিশ দিয়েছেন। সূত্র : শিদ্যপিপলটিভি।