১২:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সৌদি আরব বাংলাদেশীদের জন্য প্রথম ই-ভিসা চালু করেছে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৮:১৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০২৩
  • 25

সৌদি আরব আজ ই-ভিসা চালু করেছে, ভ্রমণ, বিভিন্ন কাজ এবং ট্রানজিটের জন্য ভিসা স্টিকার বাদ দিয়েছে এবং নতুন উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে।
আজ বিকেলে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা ইউসেফ ইসা আলদুহাইলান এ ঘোষনা দিয়ে বলেন, আমরা নতুন প্রযুক্তি বাস্তবায়নের জন্য প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছি।
আজ থেকে বাংলাদেশী নাগরিকদের তেল সমৃদ্ধ দেশটিতে ভ্রমণের জন্য কাজের ভিসাসহ যে কোনও বিভাগের স্টিকার ভিসা পেতে হবে না। বর্তমানে সৌদিতে ২০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিক রয়েছে।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, আরবি এবং ইংরেজি উভয় ভাষা ব্যবহার করে একটি ত্রুটি-মুক্ত ই-ভিসা প্রবর্তন সৌদি ভিসা পেতে ঝামেলা, খরচ এবং সময় কমিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, সৌদি সরকার স্টিকার ভিসা ইস্যু করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে অথচ এ ধরনের স্টিকার ছাপানো একটি কঠিন কাজ।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি ইচ্ছুক সৌদি গমনেচ্ছু বাংলাদেশী কর্মীদের এবং রিক্রুটিং এজেন্সিসহ অন্যান্য অংশীজন, উভয় পক্ষের সুবিধা হবে এবং তার দেশ প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীদের উন্নতির জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
এর আগে সৌদি আরব শুধুমাত্র ওমরাহ ভিসার জন্য ই-ভিসা সুবিধা চালু করেছিল।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ই-ভিসার প্রবর্তন এখানকার দূতাবাসকে বিপুল সংখ্যক ভিসা আবেদন পরিচালনা করতে সাহায্য করবে, বর্তমানে সৌদি মিশন প্রতিদিন ৭০০০ থেকে ৮০০০ ভিসা প্রদান করে।
সৌদি সরকার শেষ পর্যন্ত অন্যান্য দেশেও একই ধরনের ই-ভিসা ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা করেছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শহিদুল আলম।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

সৌদি আরব বাংলাদেশীদের জন্য প্রথম ই-ভিসা চালু করেছে

Update Time : ০৮:১৫:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০২৩

সৌদি আরব আজ ই-ভিসা চালু করেছে, ভ্রমণ, বিভিন্ন কাজ এবং ট্রানজিটের জন্য ভিসা স্টিকার বাদ দিয়েছে এবং নতুন উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে।
আজ বিকেলে বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত এসা ইউসেফ ইসা আলদুহাইলান এ ঘোষনা দিয়ে বলেন, আমরা নতুন প্রযুক্তি বাস্তবায়নের জন্য প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছি।
আজ থেকে বাংলাদেশী নাগরিকদের তেল সমৃদ্ধ দেশটিতে ভ্রমণের জন্য কাজের ভিসাসহ যে কোনও বিভাগের স্টিকার ভিসা পেতে হবে না। বর্তমানে সৌদিতে ২০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিক রয়েছে।
সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, আরবি এবং ইংরেজি উভয় ভাষা ব্যবহার করে একটি ত্রুটি-মুক্ত ই-ভিসা প্রবর্তন সৌদি ভিসা পেতে ঝামেলা, খরচ এবং সময় কমিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, সৌদি সরকার স্টিকার ভিসা ইস্যু করতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে অথচ এ ধরনের স্টিকার ছাপানো একটি কঠিন কাজ।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এটি ইচ্ছুক সৌদি গমনেচ্ছু বাংলাদেশী কর্মীদের এবং রিক্রুটিং এজেন্সিসহ অন্যান্য অংশীজন, উভয় পক্ষের সুবিধা হবে এবং তার দেশ প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীদের উন্নতির জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
এর আগে সৌদি আরব শুধুমাত্র ওমরাহ ভিসার জন্য ই-ভিসা সুবিধা চালু করেছিল।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ই-ভিসার প্রবর্তন এখানকার দূতাবাসকে বিপুল সংখ্যক ভিসা আবেদন পরিচালনা করতে সাহায্য করবে, বর্তমানে সৌদি মিশন প্রতিদিন ৭০০০ থেকে ৮০০০ ভিসা প্রদান করে।
সৌদি সরকার শেষ পর্যন্ত অন্যান্য দেশেও একই ধরনের ই-ভিসা ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা করেছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শহিদুল আলম।