১১:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সৈয়দ আমিরুল ইসলাম সাহসী ও অত্যন্ত ভালো বিচারক ছিলেন : প্রধান বিচারপতি

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:১৮:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • 26

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম অত্যন্ত সাহসী ও ভালো বিচারক ছিলেন।
সুপ্রিমকোর্টের ইনার গার্ডেনে বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলামের জানাজার আগে দেয়া বক্তৃতায় তিনি আজ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন তখনই হবে যখন আমরা তাকে অনুসরণ করতে পারব। আমার কাছে মনে হয়  তিনি যে জাজমেন্টগুলো দিয়েছেন; সেগুলো আমাদের আলোকিত করবে।’
মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম বলেন, ‘বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম প্রগতিশীল চেতনার মানুষ ছিলেন। তিনি যা বিশ্বাস করতেন, তা করে দেখাতেন। অসংখ্য আলোচিত রায়ের মাধ্যমে তিনি আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।’
আজ দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে সুপ্রিমকোর্টের ইনার গার্ডেনে বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলামের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিন, সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হক, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম, আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ, এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিমকোর্ট বার সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল, সাবেক সম্পাদক এএম মাহবুব উদ্দিন খোজন, সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবীগণসহ বিপুল সংখ্যক আইনজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।
জানাজা শেষে বিচারপতি মরহুমের মরদেহে প্রধান বিচারপতি, এটর্নি জেনারেলসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে তার মরদেহ দাফনের উদ্দেশে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
গতকাল ৭ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে মারা যান তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম ১৯৪০ সালের ১৩ জানুয়ারি কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম এ ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব ল ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি পরে ১৯৬৫ সালে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৭২ সালে সৈয়দ আমিরুল ইসলাম লন্ডনের ‘লিং কনস ইন’ থেকে বার এট ল ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৯৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। ২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের পদ থেকে অবসরে যান। অবসরের পরও আইন সংক্রান্ত নানা ইস্যুতে তিনি সক্রিয় ছিলেন।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

সৈয়দ আমিরুল ইসলাম সাহসী ও অত্যন্ত ভালো বিচারক ছিলেন : প্রধান বিচারপতি

Update Time : ০৫:১৮:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম অত্যন্ত সাহসী ও ভালো বিচারক ছিলেন।
সুপ্রিমকোর্টের ইনার গার্ডেনে বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলামের জানাজার আগে দেয়া বক্তৃতায় তিনি আজ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন তখনই হবে যখন আমরা তাকে অনুসরণ করতে পারব। আমার কাছে মনে হয়  তিনি যে জাজমেন্টগুলো দিয়েছেন; সেগুলো আমাদের আলোকিত করবে।’
মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম বলেন, ‘বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম প্রগতিশীল চেতনার মানুষ ছিলেন। তিনি যা বিশ্বাস করতেন, তা করে দেখাতেন। অসংখ্য আলোচিত রায়ের মাধ্যমে তিনি আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।’
আজ দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে সুপ্রিমকোর্টের ইনার গার্ডেনে বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলামের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. রুহুল আমিন, সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হক, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম, আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ, এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিমকোর্ট বার সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল, সাবেক সম্পাদক এএম মাহবুব উদ্দিন খোজন, সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবীগণসহ বিপুল সংখ্যক আইনজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।
জানাজা শেষে বিচারপতি মরহুমের মরদেহে প্রধান বিচারপতি, এটর্নি জেনারেলসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে তার মরদেহ দাফনের উদ্দেশে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
গতকাল ৭ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে মারা যান তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম ১৯৪০ সালের ১৩ জানুয়ারি কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম এ ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব ল ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি পরে ১৯৬৫ সালে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৭২ সালে সৈয়দ আমিরুল ইসলাম লন্ডনের ‘লিং কনস ইন’ থেকে বার এট ল ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৯৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সৈয়দ আমিরুল ইসলাম সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। ২০০৭ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের পদ থেকে অবসরে যান। অবসরের পরও আইন সংক্রান্ত নানা ইস্যুতে তিনি সক্রিয় ছিলেন।