০৬:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সহকারী সচিবের বিধবা স্ত্রী সেজে পেনশন উত্তোলন, শেফালীর ৭ বছরের কারাদণ্ড

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৯:৪৫:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২
  • 16

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমএলএসএস শেফালী বেগমের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ওই মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব হামিদুর রহমানের বিধবা স্ত্রী সেজে পেনশনের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের মামলায় তাকে এ দণ্ড দেয়া হয়।

সোমবার (৩ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় আসামি পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব হামিদুর রহমান ১৯৮৬ সালে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৯৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মারা যান তিনি। এর আগে স্ত্রী মারা যাওয়ায় এবং ছেলেমেয়েরা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় বিধি অনুযায়ী তার পেনশন কার্যক্রম শেষ হয়ে যায়।

দীর্ঘ ৮ বছর পর ২০০৭ সালের ২৮ মে সহকারী সচিব হামিদুরের বিধবা স্ত্রী সেজে পারিবারিক পেনশনের জন্য আবেদন করেন শেফালী। আবেদনের সমর্থনে তার সঙ্গে বিয়ের দুটি ভুয়া কাবিননামা, ওয়ারিশ সার্টিফিকেট দাখিল করেন তিনি।

পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত শেফালী ৭ লাখ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে পেনশন বাবদ উত্তোলন করেন। এ ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালক সোহানা আক্তার বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক সোহানা ২০১৮ সালের ৮ মে শেফালীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ৪ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

Tag :
About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

সহকারী সচিবের বিধবা স্ত্রী সেজে পেনশন উত্তোলন, শেফালীর ৭ বছরের কারাদণ্ড

Update Time : ০৯:৪৫:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ অক্টোবর ২০২২

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমএলএসএস শেফালী বেগমের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ওই মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব হামিদুর রহমানের বিধবা স্ত্রী সেজে পেনশনের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের মামলায় তাকে এ দণ্ড দেয়া হয়।

সোমবার (৩ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় আসামি পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব হামিদুর রহমান ১৯৮৬ সালে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৯৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মারা যান তিনি। এর আগে স্ত্রী মারা যাওয়ায় এবং ছেলেমেয়েরা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় বিধি অনুযায়ী তার পেনশন কার্যক্রম শেষ হয়ে যায়।

দীর্ঘ ৮ বছর পর ২০০৭ সালের ২৮ মে সহকারী সচিব হামিদুরের বিধবা স্ত্রী সেজে পারিবারিক পেনশনের জন্য আবেদন করেন শেফালী। আবেদনের সমর্থনে তার সঙ্গে বিয়ের দুটি ভুয়া কাবিননামা, ওয়ারিশ সার্টিফিকেট দাখিল করেন তিনি।

পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৬ সালের আগস্ট পর্যন্ত শেফালী ৭ লাখ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে পেনশন বাবদ উত্তোলন করেন। এ ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালক সোহানা আক্তার বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক সোহানা ২০১৮ সালের ৮ মে শেফালীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ৪ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।